পাকা ফলার

পাড়াগাঁয়ে এক ফলারে বামুন ছিল। তাহাকে যাহারা নিমন্ত্রণ করিত, তাহারা সকলেই খুব গরিব, দৈ-চিঁড়ের বেশি কিছু দিবার ক্ষমতা তাহাদের ছিল না। ব্রাহ্মণ শুনিয়াছিল, দৈ-চিঁড়ের ফলারের চাইতে পাকা ফলারটা ঢের ভাল। সুতরাং এরপর যে ফলারের নিমন্ত্রণ করিতে আসিল, তাহাকে সে বলিল, ‘পাকা ফলার খাওয়াতে হবে।’ সে বেচারা গরিব লোক, পাকা ফলার সে কোথা হইতে দিবে? তাই … বিস্তারিত পড়ুন

ঈগল শিয়াল ও মানুষের গল্প

বনের মাঝখানে একটা বিশাল ফাঁকা মাঠ। মাঠের এক পাশে একটা বুড়ো বটগাছ। বটগাছের ডালে ঈগল পাখির বাসা। সকাল বেলা ঘুম ভাঙার পর ডানা মেলে আকাশে উড়তে ভালো লাগে তার। সে একটানা অনেকক্ষণ ওড়ার পর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই বটগাছে তার বাসায় ফিরে আসে। হঠাৎ কার যেন মিহি কান্না শুনতে পায়। কান্না শুনে নিচে নেমে দেখতে … বিস্তারিত পড়ুন

বেজি ও শিয়াল

গাঁয়ের পাশে বিরাট এক বন। সেই বনে থাকতো এক শিয়াল, আর বনের মাঝে গর্তে বাস করতো এক বেজি। শিয়াল আর বেজির খুব বন্ধুত্ব, কাউকে একদিন না দেখলে আর একজনের মন হয় উতলা। একদিন শিয়াল বেজিকে বলল, বন্ধু, চলো আমরা বিদেশে যাই। বেজি সানন্দে রাজী হলো। শুভ দিনক্ষণ দেখে দুই বন্ধু একদিন বেরিয়ে পড়লো অজানা অচেনা … বিস্তারিত পড়ুন

উকুনে-বুড়ির কথা-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে ছিল উকুনে-বুড়ি, তার মাথায় বড্ড ভয়ানক উকুন ছিল। সে যখন তার বুড়োকে ভাত খেতে দিতে যেন তখন ঝরঝর করে সেই উকুন বুড়োর পাতে পড়ত। তাইতে সে একদিন রেগে গিয়ে, ঠাঁই করে বুড়িকে এক ঠেঙার বাড়ি মারলে। তখন বুড়ি ভাতের হাঁড়ি আছড়ে গুঁড়ো করে রাগের ভয়ে সেই যে নদীর ধার দিয়ে চলে গেল, আর … বিস্তারিত পড়ুন

কাজির বিচার-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

রামকানাই ভাল মানুষ-নেহাত গোবেচারা। কিন্তু ঝুটারাম লোকটি বেজায় ফন্দিবাজ। দুইজনে দেখা-শোনা আলাপ-সালাপ হল। ঝুটরাম বললে, ‘ভাই দুজনেই বোঝা বয়ে কামকা কষ্ট পাই কেন? এই নাও, আমার পুঁটলিটাও তোমায় দিই-এখন তুমি সব বয়ে নাও। ফিরবার সময় আমি বইব। ‘রামকানাই ভালমানুষের মত দুজনের বোঝা ঘাড়ে বয়ে চলল। গ্রামের কাছে এসে তাদের খুব খিদে পেয়েছে। রামকানাই বলল, ‘এখন … বিস্তারিত পড়ুন

কুঁজো বুড়ি

এক যে ছিল কুঁজো বুড়ি। সে লাঠি ভর দিয়ে কুঁজো হয়ে চলত, আর তার মাথাটা খালি ঠক-ঠক করে নড়ত। বুড়ির দুটো কুকুর ছিল। একটা নাম রঙ্গা, আর একটার নাম ভঙ্গা। বুড়ি যাবে নাতনীর বাড়ি, তাই কুকুর দুটোকে বললে, ‘তোরা যেন বাড়ি থাকিস, কোথাও চলে টলে যাসনে।’ রঙ্গা-ভঙ্গা বললে, ‘আচ্ছা’। তারপর বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে, কুঁজো … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!