গোরা–-৪৩ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের চুয়াল্লিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন পরেশবাবুর বাসার কাছেই সর্বদা তাঁহার তত্ত্বাবধানে থাকিয়া বাস করিতে পাইবে এই কথা শুনিয়া সুচরিতা অত্যন্ত আরামবোধ করিয়াছিল। কিন্তু যখন তাহার নূতন বাড়ির গৃহসজ্জা সমাপ্ত এবং সেখানে উঠিয়া যাইবার সময় নিকটবর্তী হইল তখন সুচরিতার বুকের ভিতর যেন টানিয়া ধরিতে লাগিল। কাছে থাকা না-থাকা লইয়া কথা নয়, কিন্তু জীবনের সঙ্গে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪৪ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের পয়তাল্লিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন হারানবাবু রণক্ষেত্রে প্রবেশ করিলেন। আজ প্রায় পনেরো দিন হইয়া গিয়াছে ললিতা স্টীমারে করিয়া বিনয়ের সঙ্গে আসিয়াছে। কথাটা দুই-এক জনের কানে গিয়াছে এবং অল্পে অল্পে ব্যাপ্ত হইবারও চেষ্টা করিতেছে। কিন্তু সম্প্রতি দুই দিনের মধ্যেই এই সংবাদ শুকনো খড়ে আগুন লাগার মতো ছড়াইয়া পড়িয়াছে। ব্রাহ্মপরিবারের ধর্মনৈতিক জীবনের প্রতি লক্ষ রাখিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪৫ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ছেঁচল্লিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিনয় যেখানে এই কয়দিন অতিথিরূপে ও বন্ধুরূপে এমন নিশ্চিতভাবে পদার্পণ করিয়াছিল তাহার তলদেশে সামাজিক আগ্নেয়গিরি এমন সচেষ্টভাবে উত্তপ্ত হইয়া আছে তাহা সে স্বপ্নেও জানিত না। প্রথম যখন সে পরেশবাবুর পরিবারের সঙ্গে মিশিতেছিল তখন তাহার মনে যথেষ্ট সংকোচ ছিল; কোথায় কতদূর পর্যন্ত তাহার অধিকারের সীমা তাহা সে নিশ্চিত জানিত … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪৬ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের সাঁতচল্লিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ললিতা পরেশবাবুকে আসিয়া কহিল, “আমরা ব্রাহ্ম বলে কোনো হিন্দু মেয়ে আমাদের কাছে পড়তে আসতে চায় না — তাই মনে করছি হিন্দুসমাজের কাউকে এর মধ্যে রাখলে কাজের সুবিধা হবে। কী বল বাবা?” পরেশবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “হিন্দুসমাজের কাউকে পাবে কোথায়?” ললিতা খুব কোমর বাঁধিয়া আসিয়াছিল বটে, তবু বিনয়ের নাম করিতে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪৭ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের আটচল্লিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন চারি দিন পরে একখানি চিঠি হাতে করিয়া হারানবাবু বরদাসুন্দরীর কাছে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। আজকাল পরেশবাবুর আশা তিনি একেবারেই পরিত্যাগ করিয়াছেন। হারানবাবু চিঠিখানি বরদাসুন্দরীর হাতে দিয়া কহিলেন, “আমি প্রথম হতেই আপনাদের সাবধান করে দিতে অনেক চেষ্টা করেছি। সেজন্যে আপনাদের অপ্রিয়ও হয়েছি। এখন এই চিঠি থেকেই বুঝতে পারবেন ভিতরে ভিতরে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪৮ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ঊনপঞ্চাশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সুচরিতা ভাবিতে লাগিল ললিতা এ কী কাণ্ড বাধাইয়া বসিল। কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া ললিতার গলা ধরিয়া কহিল, “আমার কিন্তু ভাই ভয় হচ্ছে।” ললিতা জিজ্ঞাসা করিল, “কিসের ভয়?” সুচরিতা কহিল, “ব্রাহ্মসমাজে তো চারি দিকে হুলস্থূল পড়ে গেছে— কিন্তু শেষকালে বিনয়বাবু যদি রাজি না হন?” ললিতা মুখ নিচু করিয়া দৃঢ়স্বরে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪৯ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের পঞ্চাশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন আনন্দময়ীর বাড়ি হইতে রোজ সকালবেলায় বিনয় একবার বাসায় আসিত। আজ সকালে আসিয়া সে একখানা চিঠি পাইল। চিঠিতে কাহারও নাম নাই। ললিতাকে বিবাহ করিলে বিনয়ের পক্ষে কোনোমতেই তাহা সুখের হইতে পারে না এবং ললিতার পক্ষে তাহা অমঙ্গলের কারণ হইবে এই কথা লইয়া চিঠিতে দীর্ঘ উপদেশ আছে এবং সকলের শেষে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫০ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের একান্নতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন যখন বিনয়ের বাসায় হারানবাবুর আবির্ভাব হইয়াছে সেই সময়েই অবিনাশ আনন্দময়ীর কাছে গিয়া খবর দিয়াছে যে, বিনয়ের সঙ্গে ললিতার বিবাহ স্থির হইয়া গেছে। আনন্দময়ী কহিলেন, “এ কথা কখনোই সত্য নয়।” অবিনাশ কহিল, “কেন সত্য নয়? বিনয়ের পক্ষে এ কি অসম্ভব?” আনন্দময়ী কহিলেন, “সে আমি জানি নে, কিন্তু এত বড়ো … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫১ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের বায়ান্নতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সুচরিতা হঠাৎ আনন্দময়ীকে দেখিয়া আশ্চর্য হইয়া কহিল, “আমি যে এখনই আপনার ওখানে যাব বলে প্রস্তুত হচ্ছিলুম।” আনন্দময়ী হাসিয়া কহিলেন, “তুমি যে প্রস্তুত হচ্ছিলে তা আমি জানতুম না, কিন্তু যেজন্যে প্রস্তুত হচ্ছিলে সেই খবরটা পেয়ে আমি থাকতে পারলুম না, চলে এলুম।” আনন্দময়ী খবর পাইয়াছেন শুনিয়া সুচরিতা আশ্চর্য হইয়া গেল। … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৩৯ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের চল্লিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বরদাসুন্দরী তাঁহার ব্রাহ্মিকাবন্ধুদিগকে প্রায়ই নিমন্ত্রণ করিতে লাগিলেন। মাঝে মাঝে তাঁহাদের ছাদের উপরেই সভা হইত। হরিমোহিনী তাঁহার স্বাভাবিক গ্রাম্য সরলতার সহিত মেয়েদের আদর-অভ্যর্থনা করিতে চেষ্টা করিতেন, কিন্তু ইহারা যে তাঁহাকে অবজ্ঞা করে তাহা তাঁহার কাছে গোপন রহিল না। এমন-কি, হিন্দুদের সামাজিক আচার-ব্যবহার লইয়া তাঁহার সমক্ষেই বরদাসুন্দরী তীব্র সমালোচনা উত্থাপিত … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!