গোরা–-৭১ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের বাহাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন এই আঘাতে গোরার মনে একটা পরিবর্তন আসিল। সুচরিতার দ্বারা গোরার মন যে আক্রান্ত হইয়াছে তাহার কারণ সে ভাবিয়া দেখিল— সে ইহাদের সঙ্গে মিশিয়াছে, কখন্‌ নিজের অগোচরে সে ইহাদের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করিয়া ফেলিয়াছে। যেখানে নিষেধের সীমা টানা ছিল সেই সীমা গোরা দম্ভভরে লঙ্ঘন করিয়াছে। ইহা আমাদের দেশের পদ্ধতি … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭২ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের তেহাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গঙ্গার ধারে বাগানে প্রায়শ্চিত্তসভার আয়োজন হইতে লাগিল। অবিনাশের মনে একটা আক্ষেপ বোধ হইতেছিল যে, কলিকাতার বাহিরে অনুষ্ঠানটা ঘটিতেছে, ইহাতে লোকের চক্ষু তেমন করিয়া আকৃষ্ট হইবে না। অবিনাশ জানিত, গোরার নিজের জন্য প্রায়শ্চিত্তের কোনো প্রয়োজন নাই, প্রয়োজন দেশের লোকের জন্য। মরাল এফেক্‌ট্‌! এইজন্য ভিড়ের মধ্যে এ কাজ দরকার। কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫৭ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের আটান্নতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অপরাহ্নে সুচরিতা পরেশবাবুর কাছে যাইবে বলিয়া প্রস্তুত হইতেছিল এমন সময় বেহারা আসিয়া খবর দিল একজন বাবু আসিয়াছেন। “কে বাবু? বিনয়বাবু?” বেহারা কহিল, “না, খুব গৌরবর্ণ, লম্বা একটি বাবু।” সুচরিতা চমকিয়া উঠিয়া কহিল, “বাবুকে উপরের ঘরে এনে বসাও।” আজ সুচরিতা কী কাপড় পরিয়াছে ও কেমন করিয়া পরিয়াছে এতক্ষণ তাহা … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫৮ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ঊনষাটতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিনয় আনন্দময়ীকে কহিল, “দেখো মা, আমি তোমাকে সত্য বলছি, যতবার আমি ঠাকুরকে প্রণাম করেছি আমার মনের ভিতরে কেমন লজ্জা বোধ হয়েছে। সে লজ্জা আমি চেপে দিয়েছি— উলটে আরো ঠাকুরপূজার পক্ষ নিয়ে ভালো ভালো প্রবন্ধ লিখেছি। কিন্তু সত্য তোমাকে বলছি, আমি যখন প্রণাম করেছি আমার মনের ভিতরটা তখন সায় … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫৯ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ষাটতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন পরেশবাবু উপাসনার পর তাঁহার ঘরের সম্মুখের বারান্দায় স্তব্ধ হইয়া বসিয়া ছিলেন। সূর্য সদ্য অস্ত গিয়াছে। এমন সময় ললিতাকে সঙ্গে লইয়া বিনয় সেখানে প্রবেশ করিল ও ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিয়া পরেশের পদধূলি লইল। পরেশ উভয়কে এভাবে প্রবেশ করিতে দেখিয়া কিছু বিস্মিত হইলেন। কাছে বসিতে দিবার চৌকি ছিল না, তাই … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬০ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের একষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরা যে আজ আসিবে সুচরিতা তাহা নিশ্চয় জানিত। ভোরবেলা হইতে তাহার বুকের ভিতরটা কাঁপিয়া উঠিতেছিল। সুচরিতার মনে গোরার আগমন-প্রত্যাশার আনন্দের সঙ্গে যেন একটা ভয় জড়িত ছিল। কেননা, গোরা তাহাকে যে দিকে টানিতেছিল এবং আশৈশব তাহার জীবন আপনার শিকড় ও সমস্ত ডালপালা লইয়া যে দিকে বাড়িয়া উঠিয়াছে দুয়ের মধ্যে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬১ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের বাষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন আজ সকাল হইতে গোরার ঘরে খুব একটা আন্দোলন উঠিয়াছে। প্রথমে মহিম তাঁহার হুঁকা টানিতে টানিতে আসিয়া গোরাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তা হলে, এতদিন পরে বিনয় শিকলি কাটল বুঝি?” গোরা কথাটা বুঝিতে পারিল না, মহিমের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। মহিম কহিলেন, “আমাদের কাছে আর ভাঁড়িয়ে কী হবে বল? তোমার বন্ধুর … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬২ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের তেষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন হরিমোহিনী জিজ্ঞাসা করিলেন, “রাধারানী, কাল রাত্রে তুমি কিছু খেলে না কেন?” সুচরিতা বিস্মিত হইয়া কহিল, “কেন, খেয়েছি বৈকি।” হরিমোহিনী তাহার ঢাকা খাবার দেখাইয়া কহিলেন, “কোথায় খেয়েছ? ঐ-যে পড়ে রয়েছে।” তখন সুচরিতা বুঝিল, কাল খাবার কথা তাহার মনেই ছিল না। হরিমোহিনী রুক্ষ স্বরে কহিলেন, “এ-সব তো ভালো কথা নয়। … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬৩ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের চৌষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সুচরিতার সম্মুখে গোরা যেমন করিয়া কথা কহিয়াছে এমন আর কাহারো কাছে কহে নাই। এতদিন সে তাহার শ্রোতাদের কাছে নিজের মধ্য হইতে কেবল বাক্যকে, মতকে, উপদেশকে বাহির করিয়া আসিয়াছে— আজ সুচরিতার সম্মুখে সে নিজের মধ্য হইতে নিজেকেই বাহির করিল। এই আত্মপ্রকাশের আনন্দে, শুধু শক্তিতে নহে, একটা রসে তাহার সমস্ত … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬৪ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের পয়ষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন মাঝখানে নিজের একটুখানি আত্মবিস্মৃতি ঘটিয়াছিল এই কথা স্মরণ করিয়া গোরা পূর্বের চেয়ে আরো বেশি কড়া হইয়া উঠিল। সে যে সমাজকে ভুলিয়া প্রবল একটা মোহে অভিভূত হইয়াছিল, নিয়মপালনের শৈথিল্যকেই সে তাহার কারণ বলিয়া স্থির করিয়াছিল। সকালবেলায় সন্ধ্যাহ্নিক সারিয়া গোরা ঘরের মধ্যে আসিতেই দেখিল, পরেশবাবু বসিয়া আছেন। তাহার বুকের ভিতরে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!