গোরা–-৭৩ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের চুহাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন কাল প্রায়শ্চিত্তসভা বসিবে, আজ রাত্রি হইতেই গোরা বাগানে গিয়া বাস করিবে এইরূপ স্থির আছে। যখন সে যাত্রা করিবার উপক্রম করিতেছে এমন সময় হরিমোহিনী আসিয়া উপস্থিত। তাঁহাকে দেখিয়া গোরা প্রসন্নতা অনুভব করিল না। গোরা কহিল, “আপনি এসেছেন— আমাকে যে এখনই বেরোতে হবে— মাও তো কয়েক দিন বাড়িতে নেই। যদি … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭৪ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের পচাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরা কহিল—‘না। প্রায়শ্চিত্ত কাল না। আজই আমার প্রায়শ্চিত্ত আরম্ভ হয়েছে। কালকের চেয়ে ঢের বড়ো আগুন আজ জ্বলেছে। আমার নবজীবনের আরম্ভে খুব একটা বড়ো আহুতি আমাকে দিতে হবে বলেই বিধাতা আমার মনে এতবড়ো একটা প্রবল বাসনাকে জাগিয়ে তুলেছেন। নইলে এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটল কেন? আমি ছিলুম কোন্‌ ক্ষেত্রে! এদের … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭৫ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ছিয়াত্তর তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরা লিখনটি লিখিয়া যখন হরিমোহিনীর হাতে দিল তখন তাহার মনে হইল সুচরিতা সম্বন্ধে সে যেন ত্যাগপত্র লিখিয়া দিল। কিন্তু দলিল লিখিয়া দিলেই তো তখনই কাজ শেষ হয় না। তাহার হৃদয় যে সে দলিলকে একেবারে অগ্রাহ্য করিয়া দিল। সে দলিলে কেবল গোরার ইচ্ছাশক্তি জোর কলমে নামসই করিয়া দিয়াছিল … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬০ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের একষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরা যে আজ আসিবে সুচরিতা তাহা নিশ্চয় জানিত। ভোরবেলা হইতে তাহার বুকের ভিতরটা কাঁপিয়া উঠিতেছিল। সুচরিতার মনে গোরার আগমন-প্রত্যাশার আনন্দের সঙ্গে যেন একটা ভয় জড়িত ছিল। কেননা, গোরা তাহাকে যে দিকে টানিতেছিল এবং আশৈশব তাহার জীবন আপনার শিকড় ও সমস্ত ডালপালা লইয়া যে দিকে বাড়িয়া উঠিয়াছে দুয়ের মধ্যে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬১ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের বাষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন আজ সকাল হইতে গোরার ঘরে খুব একটা আন্দোলন উঠিয়াছে। প্রথমে মহিম তাঁহার হুঁকা টানিতে টানিতে আসিয়া গোরাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তা হলে, এতদিন পরে বিনয় শিকলি কাটল বুঝি?” গোরা কথাটা বুঝিতে পারিল না, মহিমের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। মহিম কহিলেন, “আমাদের কাছে আর ভাঁড়িয়ে কী হবে বল? তোমার বন্ধুর … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬২ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের তেষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন হরিমোহিনী জিজ্ঞাসা করিলেন, “রাধারানী, কাল রাত্রে তুমি কিছু খেলে না কেন?” সুচরিতা বিস্মিত হইয়া কহিল, “কেন, খেয়েছি বৈকি।” হরিমোহিনী তাহার ঢাকা খাবার দেখাইয়া কহিলেন, “কোথায় খেয়েছ? ঐ-যে পড়ে রয়েছে।” তখন সুচরিতা বুঝিল, কাল খাবার কথা তাহার মনেই ছিল না। হরিমোহিনী রুক্ষ স্বরে কহিলেন, “এ-সব তো ভালো কথা নয়। … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬৩ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের চৌষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সুচরিতার সম্মুখে গোরা যেমন করিয়া কথা কহিয়াছে এমন আর কাহারো কাছে কহে নাই। এতদিন সে তাহার শ্রোতাদের কাছে নিজের মধ্য হইতে কেবল বাক্যকে, মতকে, উপদেশকে বাহির করিয়া আসিয়াছে— আজ সুচরিতার সম্মুখে সে নিজের মধ্য হইতে নিজেকেই বাহির করিল। এই আত্মপ্রকাশের আনন্দে, শুধু শক্তিতে নহে, একটা রসে তাহার সমস্ত … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬৪ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের পয়ষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন মাঝখানে নিজের একটুখানি আত্মবিস্মৃতি ঘটিয়াছিল এই কথা স্মরণ করিয়া গোরা পূর্বের চেয়ে আরো বেশি কড়া হইয়া উঠিল। সে যে সমাজকে ভুলিয়া প্রবল একটা মোহে অভিভূত হইয়াছিল, নিয়মপালনের শৈথিল্যকেই সে তাহার কারণ বলিয়া স্থির করিয়াছিল। সকালবেলায় সন্ধ্যাহ্নিক সারিয়া গোরা ঘরের মধ্যে আসিতেই দেখিল, পরেশবাবু বসিয়া আছেন। তাহার বুকের ভিতরে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬৫ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ষেষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন হরিমোহিনী তাঁহার দেবর কৈলাসের নিকট হইতে পত্র পাইয়াছেন। তিনি লিখিতেছেন, ‘শ্রীচরণাশীর্বাদে অত্রস্থ মঙ্গল, আপনকার কুশলসমাচারে আমাদের চিন্তা দূর করিবেন।’ বলা বাহুল্য হরিমোহিনী তাহাদের বাড়ি পরিত্যাগ করার পর হইতেই এই চিন্তা তাহারা বহন করিয়া আসিতেছে, তথাপি কুশলসমাচারের অভাব দূর করিবার জন্য তাহারা কোনোপ্রকার চেষ্টা করে নাই। খুদি পটল ভজহরি … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৬৬ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের সাতষট্টিতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সুচরিতা পরেশের কাছে যে কথা কয়টি শুনিল তাহা গোরাকে বলিবার জন্য তাহার মন অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিল। যে ভারতবর্ষের অভিমুখে গোরা তাহার দৃষ্টিকে প্রসারিত এবং চিত্তকে প্রবল প্রেমে আকৃষ্ট করিয়াছে, এত দিন পরে সেই ভারতবর্ষে কালের হস্ত পড়িয়াছে, সেই ভারতবর্ষ ক্ষয়ের মুখে চলিয়াছে, সে কথা কি গোরা চিন্তা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!