মালঞ্চ –দশম পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের প্রথম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন আদিত্য একটা পেয়ালায় ওষুধ নিয়ে ঘরে এসে প্রবেশ করলে। নীরজা বললে, “এ আবার কী।” আদিত্য বললে, “ডাক্তার বলে গেছে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ওষুধ খাওয়াতে হবে।” “ওষুধ খাওয়াবার জন্যে বুঝি আর পাড়ায় লোক জুটল না! না হয় দিনের বেলাকার জন্যে একজন নার্স রেখে দাও-না, যদি মনে এতই উদ্‌‍বেগ থাকে।” “সেবার … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –প্রথম পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ভুবনেশ্বরী মন্দিরের পাথরের ঘাট গোমতী নদীতে গিয়া প্রবেশ করিয়াছে। ত্রিপুরার মহারাজা গোবিন্দমাণিক্য একদিন গ্রীষ্মকালের প্রভাতে স্নান করিতে আসিয়াছেন, সঙ্গে তাঁহার ভাই নক্ষত্ররায়ও আসিয়াছেন। এমন সময়ে একটি ছোটো মেয়ে তাহার ছোটো ভাইকে সঙ্গে করিয়া সেই ঘাটে আসিল। রাজার কাপড় টানিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কে ?” রাজা ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –প্রথম পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের দ্বিতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন পিঠের দিকে বালিশগুলো উঁচু-করা। নীরজা আধ-শোওয়া পড়ে আছে রোগশয্যায়। পায়ের উপরে সাদা রেশমের চাদর টানা, যেন তৃতীয়ার ফিকে জ্যোৎস্না হালকা মেঘের তলায়। ফ্যাকাশে তার শাঁখের মতো রঙ, ঢিলে হয়ে পড়েছে চুড়ি, রোগা হাতে নীল শিরার রেখা, ঘনপক্ষ্ম চোখের পল্লবে লেগেছে রোগের কালিমা। মেঝে সাদা মার‌্‌বেলে বাঁধানো, দেয়ালে রামকৃষ্ণ … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –দ্বিতীয় পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের তৃতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   নীরজা ডাকল, “রোশনি!” আয়া এল ঘরে। প্রৌঢ়া, কাঁচা-পাকা চুল, শক্ত হাতে মোটা পিতলের কঙ্কণ, ঘাঘরার উপরে ওড়না। মাংসবিরল দেহের ভঙ্গিতে ও শুষ্ক মুখের ভাবে একটা চিরস্থায়ী কঠিনতা। যেন ওর আদালতে এদের সংসারের প্রতিকূলে ও রায় দিতে বসেছে। মানুষ করেছে নীরজাকে, সমস্ত দরদ তার ’পরেই। তার কাছাকাছি যারা … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –তৃতীয় পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন কিছুক্ষণ পরে ওর খুড়তুতো দেওর রমেন এসে বললে, “বউদি, দাদা পাঠিয়ে দিলেন। আজ আপিসে কাজের ভিড়, হোটেলে খাবেন, দেরি হবে ফিরতে।” নীরজা হেসে বললে, “খবর দেবার ছুতো করে একদৌড়ে ছুটে এসেছ ঠাকুরপো! কেন, আপিসের বেহারাটা মরেছে বুঝি ?” “তোমার কাছে আসতে তুমি ছাড়া অন্য ছুতোর দরকার কিসের বউদি। … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭০ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের একাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অনেক দিন পীড়নের পর এ কয়েক দিন আনন্দময়ীর কাছে সুচরিতা যেমন আরাম পাইল এমন সে কোনোদিন পায় নাই। আনন্দময়ী এমনি সহজে তাহাকে এত কাছে টানিয়া লইয়াছেন যে, কোনোদিন যে তিনি তাহার অপরিচিতা বা দূর ছিলেন তাহা সুচরিতা মনেও করিতে পারে না। তিনি কেমন একরকম করিয়া সুচরিতার সমস্ত মনটা … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭১ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের বাহাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন এই আঘাতে গোরার মনে একটা পরিবর্তন আসিল। সুচরিতার দ্বারা গোরার মন যে আক্রান্ত হইয়াছে তাহার কারণ সে ভাবিয়া দেখিল— সে ইহাদের সঙ্গে মিশিয়াছে, কখন্‌ নিজের অগোচরে সে ইহাদের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করিয়া ফেলিয়াছে। যেখানে নিষেধের সীমা টানা ছিল সেই সীমা গোরা দম্ভভরে লঙ্ঘন করিয়াছে। ইহা আমাদের দেশের পদ্ধতি … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭২ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের তেহাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গঙ্গার ধারে বাগানে প্রায়শ্চিত্তসভার আয়োজন হইতে লাগিল। অবিনাশের মনে একটা আক্ষেপ বোধ হইতেছিল যে, কলিকাতার বাহিরে অনুষ্ঠানটা ঘটিতেছে, ইহাতে লোকের চক্ষু তেমন করিয়া আকৃষ্ট হইবে না। অবিনাশ জানিত, গোরার নিজের জন্য প্রায়শ্চিত্তের কোনো প্রয়োজন নাই, প্রয়োজন দেশের লোকের জন্য। মরাল এফেক্‌ট্‌! এইজন্য ভিড়ের মধ্যে এ কাজ দরকার। কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭৩ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের চুহাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন কাল প্রায়শ্চিত্তসভা বসিবে, আজ রাত্রি হইতেই গোরা বাগানে গিয়া বাস করিবে এইরূপ স্থির আছে। যখন সে যাত্রা করিবার উপক্রম করিতেছে এমন সময় হরিমোহিনী আসিয়া উপস্থিত। তাঁহাকে দেখিয়া গোরা প্রসন্নতা অনুভব করিল না। গোরা কহিল, “আপনি এসেছেন— আমাকে যে এখনই বেরোতে হবে— মাও তো কয়েক দিন বাড়িতে নেই। যদি … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৭৪ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের পচাত্তরতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরা কহিল—‘না। প্রায়শ্চিত্ত কাল না। আজই আমার প্রায়শ্চিত্ত আরম্ভ হয়েছে। কালকের চেয়ে ঢের বড়ো আগুন আজ জ্বলেছে। আমার নবজীবনের আরম্ভে খুব একটা বড়ো আহুতি আমাকে দিতে হবে বলেই বিধাতা আমার মনে এতবড়ো একটা প্রবল বাসনাকে জাগিয়ে তুলেছেন। নইলে এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটল কেন? আমি ছিলুম কোন্‌ ক্ষেত্রে! এদের … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!