রাজর্ষি –সপ্তদশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সেইদিন সন্ধ্যাবেলায় নক্ষত্ররায়কে দেখিয়া ধ্রুব “কাকা” বলিয়া ছুটিয়া আসিল, দুটি ছোটো হাতে তাঁহার গলা জড়াইয়া তাঁহার কপোলে কপোল দিয়া মুখের কাছে মুখ রাখিল। চুপি চুপি বলিল, “কাকা।” নক্ষত্র কহিলেন, “ছি, ও কথা বোলো না, আমি তোমার কাকা না।” ধ্রুব তাঁহাকে এতকাল বরাবর কাকা বলিয়া আসিতেছিল, আজ সহসা বারণ … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের তৃতীয় পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   তাহার পরদিন হইতে ঘুম ভাঙিলে সূর্য উঠিলেও রাজার প্রভাত হইত না, ছোটো দুটি ভাইবোনের মুখ দেখিলে তবে তাঁহার প্রভাত হইত। প্রতিদিন তাহাদিগকে ফুল তুলিয়া দিয়া তবে তিনি স্নান করিতেন; দুই ভাইবোনে ঘাটে বসিয়া তাঁহার স্নান দেখিত। যেদিন সকালে এই দুটি ছেলেমেয়ে না আসিত, সেদিন তাঁহার সন্ধ্যা-আহ্নিক যেন … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –তৃতীয় পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের চতুর্থ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   রাজার সভা বসিয়াছে। ভুবনেশ্বরী-দেবী-মন্দিরের পুরোহিত কার্যবশত রাজদর্শনে আসিয়াছেন। পুরোহিতের নাম রঘুপতি। এ দেশে পুরোহিতকে চোন্তাই বলিয়া থাকে। ভুবনেশ্বরী দেবীর পূজার চৌদ্দ দিন পরে গভীর রাত্রে চতুর্দশ দেবতার এক পূজা হয়। এই পূজার সময় এক দিন দুই রাত্রি কেহ ঘরের বাহির হইতে পারে না, রাজাও না। রাজা যদি … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –প্রথম পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের দ্বিতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন পিঠের দিকে বালিশগুলো উঁচু-করা। নীরজা আধ-শোওয়া পড়ে আছে রোগশয্যায়। পায়ের উপরে সাদা রেশমের চাদর টানা, যেন তৃতীয়ার ফিকে জ্যোৎস্না হালকা মেঘের তলায়। ফ্যাকাশে তার শাঁখের মতো রঙ, ঢিলে হয়ে পড়েছে চুড়ি, রোগা হাতে নীল শিরার রেখা, ঘনপক্ষ্ম চোখের পল্লবে লেগেছে রোগের কালিমা। মেঝে সাদা মার‌্‌বেলে বাঁধানো, দেয়ালে রামকৃষ্ণ … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –দ্বিতীয় পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের তৃতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   নীরজা ডাকল, “রোশনি!” আয়া এল ঘরে। প্রৌঢ়া, কাঁচা-পাকা চুল, শক্ত হাতে মোটা পিতলের কঙ্কণ, ঘাঘরার উপরে ওড়না। মাংসবিরল দেহের ভঙ্গিতে ও শুষ্ক মুখের ভাবে একটা চিরস্থায়ী কঠিনতা। যেন ওর আদালতে এদের সংসারের প্রতিকূলে ও রায় দিতে বসেছে। মানুষ করেছে নীরজাকে, সমস্ত দরদ তার ’পরেই। তার কাছাকাছি যারা … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –তৃতীয় পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন কিছুক্ষণ পরে ওর খুড়তুতো দেওর রমেন এসে বললে, “বউদি, দাদা পাঠিয়ে দিলেন। আজ আপিসে কাজের ভিড়, হোটেলে খাবেন, দেরি হবে ফিরতে।” নীরজা হেসে বললে, “খবর দেবার ছুতো করে একদৌড়ে ছুটে এসেছ ঠাকুরপো! কেন, আপিসের বেহারাটা মরেছে বুঝি ?” “তোমার কাছে আসতে তুমি ছাড়া অন্য ছুতোর দরকার কিসের বউদি। … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –চতুর্থ পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের পঞ্চম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন রমেন চলে গেলে নীরজা হাতের মধ্যে মুখ লুকিয়ে বিছানায় পড়ে রইল। ভাবতে লাগল, এমন মন-মাতানো দিন তারও ছিল। কত বসন্তের রাতকে সে উতলা করেছে। সংসারের বারো-আনা মেয়ের মতো সে কি ছিল স্বামীর ঘরকন্নার আসবাব। বিছানায় শুয়ে শুয়ে কেবলই মনে পড়ে, কতদিন তার স্বামী তার অলক ধরে টেনে আর্দ্রকণ্ঠে … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –পঞ্চম পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ষষ্ঠ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন দিঘির ও পারের পাড়িতে চালতা গাছের আড়ালে চাঁদ উঠছে, জলে পড়েছে ঘন কালো ছায়া। এ পারে বাসন্তী গাছে কচি পাতা শিশুর ঘুমভাঙা চোখের মতো রাঙা, তার কাঁচাসোনার বরন ফুল, ঘন গন্ধ ভারী হয়ে জমে উঠেছে, গন্ধের কুয়াশা যেন। জোনাকির দল ঝলমল করছে জারুল গাছের ডালে। শান-বাঁধানো ঘাটের বেদির … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –ষষ্ঠ পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের সপ্তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন রমেন দরজার কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করলে, “বউদি, ডেকেছ কি।” নীরজা রুদ্ধ গলা পরিষ্কার করে নিয়ে উত্তর দিলে, “এসো।” ঘরের সব আলো নেবানো। জানলা খোলা, জ্যোৎস্না পড়েছে বিছানায়, পড়েছে নীরজার মুখে, আর শিয়রের কাছে আদিত্যের দেওয়া সেই ল্যাবার্নম গুচ্ছের উপর, বাকি সমস্ত অস্পষ্ট। বালিশে হেলান দিয়ে নীরজা অর্ধেক উঠে … বিস্তারিত পড়ুন

মালঞ্চ –সপ্তম পর্ব– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের অষ্টম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন “আদিত্য ওর সঙ্গে এল দেখে সরলা বললে, “কেন এলে। ভালো করো নি। ফিরে যাও। আমার সঙ্গে তোমাকে এমন করে দেব না জড়াতে।” “তুমি দেবে কি না সে তো কথা নয়, জড়িয়ে যে গেছেই। সেটা ভালো হোক বা মন্দ হোক তাতে আমাদের হাত নেই।” “সে-সব কথা পরে হবে, ফিরে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!