রাজর্ষি –তৃতীয় পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের চতুর্থ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   রাজার সভা বসিয়াছে। ভুবনেশ্বরী-দেবী-মন্দিরের পুরোহিত কার্যবশত রাজদর্শনে আসিয়াছেন। পুরোহিতের নাম রঘুপতি। এ দেশে পুরোহিতকে চোন্তাই বলিয়া থাকে। ভুবনেশ্বরী দেবীর পূজার চৌদ্দ দিন পরে গভীর রাত্রে চতুর্দশ দেবতার এক পূজা হয়। এই পূজার সময় এক দিন দুই রাত্রি কেহ ঘরের বাহির হইতে পারে না, রাজাও না। রাজা যদি … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –চতুর্থ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের পঞ্চম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   ভুবনেশ্বরী-দেবী-মন্দিরের ভৃত্য জয়সিংহ জাতিতে রাজপুত, ক্ষত্রিয়। তাঁহার বাপ সুচেতসিংহ ত্রিপুরার রাজবাটীর একজন পুরাতন ভৃত্য ছিলেন। সুচেতসিংহের মৃত্যুকালে জয়সিংহ নিতান্ত বালক ছিলেন। এই অনাথ বালককে রাজা মন্দিরের কাজে নিযুক্ত করেন। জয়সিংহ মন্দিরের পুরোহিত রঘুপতির দ্বারাই পালিত ও শিক্ষিত হইয়াছেন। ছেলেবেলা হইতে মন্দিরে পালিত হইয়া জয়সিংহ মন্দিরকে গৃহের মতো … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –পঞ্চম পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   প্রভাতে নক্ষত্ররায় আসিয়া রঘুপতিকে প্রণাম করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঠাকুর, কী আদেশ করেন ?” রঘুপতি কহিলেন, “তোমার প্রতি মায়ের আদেশ আছে। আগে মাকে প্রণাম করিবে চলো।” উভয়ে মন্দিরে গেলেন। জয়সিংহও সঙ্গে সঙ্গে গেলেন। নক্ষত্ররায় ভুবনেশ্বরী-প্রতিমার সম্মুখে সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাত করিলেন। রঘুপতি নক্ষত্ররায়কে কহিলেন, “কুমার, তুমি রাজা হইবে।” নক্ষত্ররায় কহিলেন, … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের সপ্তম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নক্ষত্ররায় চলিয়া গেলে জয়সিংহ কহিলেন, “গুরুদেব, এমন ভয়ানক কথা কখনো শুনি নাই। আপনি মায়ের সম্মুখে মায়ের নাম করিয়া ভাইকে দিয়া ভ্রাতৃহত্যার প্রস্তাব করিলেন, আর আমাকে তাই দাঁড়াইয়া শুনিতে হইল!” রঘুপতি বলিলেন, “আর কী উপায় আছে বলো।” জয়সিংহ কহিলেন, “উপায়! কিসের উপায়!” রঘুপতি। তুমিও যে নক্ষত্ররায়ের মতো হইলে দেখিতেছি। … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –সপ্তম পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের অষ্টম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন জয়সিংহের সমস্ত রাত্রি নিদ্রা হইল না। গুরুর সহিত যে কথা লইয়া আলোচনা হইয়াছিল, দেখিতে দেখিতে তাহার শাখাপ্রশাখা বাহির হইতে লাগিল। অধিকাংশ সময়েই আরম্ভ আমাদের আয়ত্ত, শেষ আমাদের আয়ত্ত নহে। চিন্তা সম্বন্ধেও এই কথা খাটে। জয়সিংহের মনে অনিবার্য বেগে এমন-সকল কথা উঠিতে লাগিল যাহা তাঁহার আশৈশব বিশ্বাসের মূলে অবিশ্রাম … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –অষ্টম পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের নবম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   গোমতী নদীর দক্ষিণ দিকের এক স্থানের পাড় অতিশয় উচ্চ। বর্ষার ধারা ও ছোটো ছোটো স্রোত এই উন্নত ভূমিকে নানা গুহাগহ্বরে বিভক্ত করিয়া ফেলিয়াছে। ইহার কিছু দূরে প্রায় অর্ধচন্দ্রাকারে বড়ো বড়ো শাল ও গাম্ভারি গাছে এই শতধাবিদীর্ণ ভূমিখণ্ডকে ঘিরিয়া রাখিয়াছে, কিন্তু মাঝখানের এই জমিটুকুর মধ্যে বড়ো গাছ একটিও … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –নবম পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের দশম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন মন্দির অনেক দূরে নয়। কিন্তু জয়সিংহ বিজন নদীর ধার দিয়া অনেক ঘুরিয়া ধীরে ধীরে মন্দিরের দিকে চলিলেন। বিস্তর ভাবনা তাঁহার মনে উদয় হইতে লাগিল। এক জায়গায় নদীর তীরে গাছের তলায় বসিয়া পড়িলেন। দুই হস্তে মুখ আচ্ছাদন করিয়া ভাবিতে লাগিলেন, “একটা কাজ করিয়া ফেলিয়াছি, অথচ সংশয় যাইতেছে না। আজ … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –দশম পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের একাদশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   গৃহে ফিরিয়া আসিয়া মহারাজ নিয়মিত রাজকার্য সমাপন করিলেন। প্রাতঃকালের সূর্যালোক আচ্ছন্ন হইয়া গেছে। মেঘের ছায়ায় দিন আবার অন্ধকার হইয়া আসিয়াছে। মহারাজ অত্যন্ত বিমনা আছেন। অন্যদিন রাজসভায় নক্ষত্ররায় উপস্থিত থাকিতেন, আজ তিনি উপস্থিত ছিলেন না। রাজা তাঁহাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন, তিনি ওজর করিয়া বলিয়া পাঠাইলেন তাঁহার শরীর অসুস্থ। রাজা … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –একাদশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের দ্বাদশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নক্ষত্ররায় রাজার হাত ধরিয়া অরণ্যের মধ্য দিয়া যখন গৃহে ফিরিয়া আসিতেছেন তখনো আকাশ হইতে অল্প অল্প আলো আসিতেছিল– কিন্তু অরণ্যের নীচে অত্যন্ত অন্ধকার হইয়াছে। যেন অন্ধকারের বন্যা আসিয়াছে, কেবল গাছগুলোর মাথা উপরে জাগিয়া আছে। ক্রমে তাহাও ডুবিয়া যাইবে; তখন অন্ধকারে পূর্ণ হইয়া আকাশে পৃথিবীতে এক হইয়া যাইবে। প্রাসাদের … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –দ্বাদশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন তাহার পরদিন যখন জয়সিংহ মন্দিরে ফিরিয়া আসিলেন, তখন পূজার সময় অতীত হইয়া গিয়াছে। রঘুপতি বিমর্ষ মুখে একাকী বসিয়া আছেন। ইহার পূর্বে কখনো এরূপ অনিয়ম হয় নাই। জয়সিংহ আসিয়া গুরুর কাছে না গিয়া তাঁহার বাগানের মধ্যে গেলেন। তাঁহার গাছপালাগুলির মধ্যে গিয়া বসিলেন। তাহারা তাঁহার চারি দিকে কাঁপিতে লাগিল, নড়িতে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!