রাজর্ষি –- ত্রিংশ পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

একত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন এই বৎসরে ত্রিপুরায় এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটিল। উত্তর হইতে সহসা পালে পালে ইঁদুর ত্রিপুরার শস্যক্ষেত্রে আসিয়া পড়িল। শস্য সমস্ত নষ্ট করিয়া ফেলিল, এমন-কি, কৃষকের ঘরে শস্য যত-কিছু সঞ্চিত ছিল তাহাও অধিকাংশ খাইয়া ফেলিল– রাজ্যে হাহাকার পড়িয়া গেল। দেখিতে দেখিতে দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইল। বন হইতে ফল মূল আহরণ করিয়া লোকে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- একত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দ্বাত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   মোগল-সৈন্যের কর্তা হইয়া নক্ষত্ররায় পথের মধ্যে তেঁতুলে-নামক একটি ক্ষুদ্র গ্রামে বিশ্রাম করিতেছিলেন। প্রভাতে রঘুপতি আসিয়া কহিলেন, “যাত্রা করিতে হইবে মহারাজ, প্রস্তুত হোন।” সহসা রঘুপতির মুখে মহারাজ শব্দ অত্যন্ত মিষ্ট শুনাইল। নক্ষত্ররায় উল্লসিত হইয়া উঠিলেন। তিনি কল্পনায় পৃথিবীসুদ্ধ লোকের মুখ হইতে মহারাজ সম্ভাষণ শুনিতে লাগিলেন। তিনি মনে মনে ত্রিপুরার … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- দ্বাত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ত্রয়স্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ত্রিপুরায় ইঁদুরের উৎপাত যখন আরম্ভ হয় তখন শ্রাবণ মাস। তখন ক্ষেত্রে কেবল ভুট্টা ফলিয়াছিল, এবং পাহাড়ে জমিতে ধান্যক্ষেত্রেও পাক ধরিতে আরম্ভ করিয়াছিল। তিন মাস কোনোমতে কাটিয়া গেল– অগ্রহায়ণ মাসে নিম্নভূমিতে যখন ধান কাটিবার সময় আসিল তখন দেশে আনন্দ পড়িয়া গেল। চাষারা১ স্ত্রীলোক বালক যুবক বৃদ্ধ সকলে মিলিয়া দা হাতে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- ত্রয়স্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিল্বন ঠাকুরের বিস্তর কাজ পড়িয়া গেল। তিনি চট্টগ্রামের পার্বত্য প্রদেশে নানা উপহার-সমেত দ্রুতগামী দূত পাঠাইয়া দিলেন। সেখানে কুকি-গ্রামপতিদের নিকটে কুকি-সৈন্য সাহায্য প্রার্থনা করিলেন। যুদ্ধের নাম শুনিয়া তাহারা নাচিয়া উঠিল। কুকিদের যত লাল (গ্রামপতি) ছিল তাহারা যুদ্ধের সংবাদস্বরূপ লাল বস্ত্রখণ্ডে বাঁধা দা দূতহস্তে গ্রামে গ্রামে পাঠাইয়া দিল। দেখিতে দেখিতে কুকির … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন তাহার পরদিন বিচার। বিচারশালা লোকে লোকারণ্য। বিচারাসনে রাজা বসিয়াছেন, সভাসদেরা চারি দিকে বসিয়াছেন। সম্মুখে দুইজন বন্দী। কাহারও হাতে শৃঙ্খল নাই। কেবল সশস্ত্র প্রহরী তাঁহাদিগকে ঘেরিয়া আছে– রঘুপতি পাষাণমূর্তির মতো দাঁড়াইয়া আছেন, নক্ষত্ররায়ের মাথা নত। রঘুপতির দোষ সপ্রমাণ করিয়া রাজা তাঁহাকে বলিলেন, “তোমার কী বলিবার আছে ?” রঘুপতি কহিলেন, … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নক্ষত্ররায় সৈন্য লইয়া অগ্রসর হইতে লাগিলেন, কোথাও তিলমাত্র বাধা পাইলেন না। ত্রিপুরার যে গ্রামেই তিনি পদার্পণ করিলেন সেই গ্রামই তাঁহাকে রাজা বলিয়া বরণ করিতে লাগিল। পদে পদে রাজত্বের আস্বাদ পাইতে লাগিলেন– ক্ষুধা আরও বাড়িতে লাগিল, চারি দিকের বিস্তৃত ক্ষেত্র, গ্রাম, পর্বতশ্রেণী, নদী সমস্তই ‘আমার’ বলিয়া মনে হইতে লাগিল এবং … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের বিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নির্বাসনোদ্যত রঘুপতিকে যখন প্রহরীরা জিজ্ঞাসা করিল “ঠাকুর, কোন্‌ দিকে যাইবেন” তখন রঘুপতি উত্তর করিলেন, “পশ্চিম দিকে যাইব।” নয় দিন পশ্চিম মুখে যাত্রার পর বন্দী ও প্রহরীরা ঢাকা শহরের কাছাকাছি আসিয়া পৌঁছিল। তখন প্রহরীরা রঘুপতিকে ছাড়িয়া রাজধানীতে ফিরিয়া আসিল। রঘুপতি মনে মনে বলিলেন, “কলিতে ব্রহ্মশাপ ফলে না, দেখা যাক … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ষট‍্‍ত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নক্ষত্ররায়ের উত্তর শুনিয়া গোবিন্দমাণিক্য অত্যন্ত মর্মাহত হইলেন। বিল্বন মনে করিলেন, এবারে হয়তো মহারাজা আপত্তি প্রকাশ করিবেন না। কিন্তু গোবিন্দমাণিক্য বলিলেন, “এ কথা কখনোই নক্ষত্ররায়ের কথা নহে। এ সেই পুরোহিত বলিয়া পাঠাইয়াছে। নক্ষত্রের মুখ দিয়া এমন কথা কখনোই বাহির হইতে পারে না।” বিল্বন কহিলেন, “মহারাজ, এক্ষণে কী উপায় স্থির করিলেন … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –চতুর্থ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের পঞ্চম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   ভুবনেশ্বরী-দেবী-মন্দিরের ভৃত্য জয়সিংহ জাতিতে রাজপুত, ক্ষত্রিয়। তাঁহার বাপ সুচেতসিংহ ত্রিপুরার রাজবাটীর একজন পুরাতন ভৃত্য ছিলেন। সুচেতসিংহের মৃত্যুকালে জয়সিংহ নিতান্ত বালক ছিলেন। এই অনাথ বালককে রাজা মন্দিরের কাজে নিযুক্ত করেন। জয়সিংহ মন্দিরের পুরোহিত রঘুপতির দ্বারাই পালিত ও শিক্ষিত হইয়াছেন। ছেলেবেলা হইতে মন্দিরে পালিত হইয়া জয়সিংহ মন্দিরকে গৃহের মতো … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –পঞ্চম পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   প্রভাতে নক্ষত্ররায় আসিয়া রঘুপতিকে প্রণাম করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঠাকুর, কী আদেশ করেন ?” রঘুপতি কহিলেন, “তোমার প্রতি মায়ের আদেশ আছে। আগে মাকে প্রণাম করিবে চলো।” উভয়ে মন্দিরে গেলেন। জয়সিংহও সঙ্গে সঙ্গে গেলেন। নক্ষত্ররায় ভুবনেশ্বরী-প্রতিমার সম্মুখে সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাত করিলেন। রঘুপতি নক্ষত্ররায়কে কহিলেন, “কুমার, তুমি রাজা হইবে।” নক্ষত্ররায় কহিলেন, … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!