রাজর্ষি –চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন খুড়াসাহেবের হাত এড়াইতে সুচেতসিংহকে আর অধিক প্রয়াস পাইতে হইল না। কাল প্রাতে বন্দী-সমেত সম্রাট-সৈন্যের যাত্রার দিন স্থির হইয়াছে, যাত্রার আয়োজনে সৈন্যেরা নিযুক্ত হইল। বন্দীশালায় শাসুজা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া মনে মনে কহিতেছেন, “ইহারা কী বেআদব! শিবির হইতে আমার আলবোলাটা আনিয়া দিবে, তাহাও ইহাদের মনে উদয় হইল না।” বিজয়গড়ের পাহাড়ের নিম্নভাগে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –-পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ষড়্‌‍বিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গুজুরপাড়া ব্রহ্মপুত্রের তীরে ক্ষুদ্র গ্রাম। একজন ক্ষুদ্র জমিদার আছেন, নাম পীতাম্বর রায়; বাসিন্দা অধিক নাই। পীতাম্বর আপনার পুরাতন চণ্ডীমণ্ডপে বসিয়া আপনাকে রাজা বলিয়া থাকেন। তাঁহার প্রজারাও তাঁহাকে রাজা বলিয়া থাকে। তাঁহার রাজমহিমা এই আম্রপিয়ালবনবেষ্টিত ক্ষুদ্র গ্রামটুকুর মধ্যেই বিরাজমান। তাঁহার যশ এই গ্রামের নিকুঞ্জগুলির মধ্যে ধ্বনিত হইয়া এই গ্রামের সীমানার … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –-ষড়্‌‍বিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন রঘুপতি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ-সব কী হইতেছিল ?” নক্ষত্ররায় মাথা চুলকাইয়া কহিলেন, “নাচ হইতেছিল।” রঘুপতি ঘৃণায় কুঞ্চিত হইয়া কহিলেন, “ছি ছি!” নক্ষত্র অপরাধীর ন্যায় দাঁড়াইয়া রহিলেন। রঘুপতি কহিলেন, “কাল এখান হইতে যাত্রা করিতে হইবে। তাহার উদ্‌‍যোগ করো।” নক্ষত্ররায় কহিলেন, “কোথায় যাইতে হইবে ?” রঘুপতি। সে কথা পরে হইবে। আপাতত আমার … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –-সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অষ্টাবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন দীর্ঘ পথ। কোথাও বা নদী, কোথাও বা ঘন আরণ্য, কোথাও বা ছায়াহীন প্রান্তর– কখনো বা নৌকায়, কখনো বা পদব্রজে, কখনো বা টাটু ঘোড়ায়– কখনো রৌদ্র, কখনো বৃষ্টি, কখনো কোলাহলময় দিন, কখনো নিশীথিনীর নিস্তব্ধ অন্ধকার– নক্ষত্ররায় অবিশ্রাম চলিয়াছেন। কত দেশ, কত বিচিত্র দৃশ্য, কত বিচিত্র লোক কিন্তু নক্ষত্ররায়ের পার্শ্বে ছায়ার … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –-অষ্টাবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঊনত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অবশেষে রাজধানীতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। পরাজয় ও পলায়নের পরে সুজা নূতন সৈন্য সংগ্রহের চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন। কিন্তু রাজকোষে অধিক অর্থ নাই। প্রজাগণ করভারে পীড়িত। ইতিমধ্যে দারাকে পরাজিত ও নিহত করিয়া ঔরংজেব দিল্লির সিংহাসনে বসিয়াছেন। সুজা এই সংবাদ পাইয়া অত্যন্ত বিচলিত হইলেন। কিন্তু সৈন্যসামন্ত কিছুই প্রস্তুত ছিল না, এইজন্য কিছু … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- ঊনত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন এই উপন্যাসের আরম্ভকাল হইতে এখন দুই বৎসর হইয়া গিয়াছে। ধ্রুব তখন দুই বৎসরের বালক ছিল। এখন তাহার বয়স চার বৎসর। এখন সে বিস্তর কথা শিখিয়াছে। এখন তিনি আপনাকে ভারী মস্ত লোক জ্ঞান করেন; সকল কথা যদিও স্পষ্ট বলিতে পারেন না, কিন্তু অত্যন্ত জোরের সহিত বলিয়া থাকেন। রাজাকে প্রায় তিনি … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- ত্রিংশ পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

একত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন এই বৎসরে ত্রিপুরায় এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটিল। উত্তর হইতে সহসা পালে পালে ইঁদুর ত্রিপুরার শস্যক্ষেত্রে আসিয়া পড়িল। শস্য সমস্ত নষ্ট করিয়া ফেলিল, এমন-কি, কৃষকের ঘরে শস্য যত-কিছু সঞ্চিত ছিল তাহাও অধিকাংশ খাইয়া ফেলিল– রাজ্যে হাহাকার পড়িয়া গেল। দেখিতে দেখিতে দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইল। বন হইতে ফল মূল আহরণ করিয়া লোকে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- একত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দ্বাত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   মোগল-সৈন্যের কর্তা হইয়া নক্ষত্ররায় পথের মধ্যে তেঁতুলে-নামক একটি ক্ষুদ্র গ্রামে বিশ্রাম করিতেছিলেন। প্রভাতে রঘুপতি আসিয়া কহিলেন, “যাত্রা করিতে হইবে মহারাজ, প্রস্তুত হোন।” সহসা রঘুপতির মুখে মহারাজ শব্দ অত্যন্ত মিষ্ট শুনাইল। নক্ষত্ররায় উল্লসিত হইয়া উঠিলেন। তিনি কল্পনায় পৃথিবীসুদ্ধ লোকের মুখ হইতে মহারাজ সম্ভাষণ শুনিতে লাগিলেন। তিনি মনে মনে ত্রিপুরার … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- দ্বাত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ত্রয়স্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ত্রিপুরায় ইঁদুরের উৎপাত যখন আরম্ভ হয় তখন শ্রাবণ মাস। তখন ক্ষেত্রে কেবল ভুট্টা ফলিয়াছিল, এবং পাহাড়ে জমিতে ধান্যক্ষেত্রেও পাক ধরিতে আরম্ভ করিয়াছিল। তিন মাস কোনোমতে কাটিয়া গেল– অগ্রহায়ণ মাসে নিম্নভূমিতে যখন ধান কাটিবার সময় আসিল তখন দেশে আনন্দ পড়িয়া গেল। চাষারা১ স্ত্রীলোক বালক যুবক বৃদ্ধ সকলে মিলিয়া দা হাতে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- ত্রয়স্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিল্বন ঠাকুরের বিস্তর কাজ পড়িয়া গেল। তিনি চট্টগ্রামের পার্বত্য প্রদেশে নানা উপহার-সমেত দ্রুতগামী দূত পাঠাইয়া দিলেন। সেখানে কুকি-গ্রামপতিদের নিকটে কুকি-সৈন্য সাহায্য প্রার্থনা করিলেন। যুদ্ধের নাম শুনিয়া তাহারা নাচিয়া উঠিল। কুকিদের যত লাল (গ্রামপতি) ছিল তাহারা যুদ্ধের সংবাদস্বরূপ লাল বস্ত্রখণ্ডে বাঁধা দা দূতহস্তে গ্রামে গ্রামে পাঠাইয়া দিল। দেখিতে দেখিতে কুকির … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!