রাজর্ষি –বিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের একবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিজয়গড়ের দীর্ঘ বন ঠগীদের আড্ডা। বনের মধ্য দিয়ে যে পথ গিয়াছে সেই পথের দুই পার্শ্বে কত মনুষ্যকঙ্কাল নিহিত আছে, তাহাদের উপরে কেবল বনফুল ফুটিতেছে, আর – কোনো চিহ্ন নাই। বনের মধ্যে বট আছে, বাবলা আছে, নিম আছে, শত শত প্রকারের লতা ও গুল্ম আছে। স্থানে স্থানে ডোবা অথবা … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –একবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   পাহাড়ের উপর বিজয়গড়। বিজয়গড়ের অরণ্য গড়ের কাছাকাছি গিয়া শেষ হইয়াছে। অরণ্য হইতে বাহির হইয়া রঘুপতি সহসা দেখিলেন, দীর্ঘ পাষাণদুর্গ যেন নীল আকাশে হেলান দিয়া দাঁড়াইয়া আছে। অরণ্য যেমন তাহার সহস্র তরুজালে প্রচ্ছন্ন, দুর্গ, তেমনি আপনার পাষাণের মধ্যে আপনি রুদ্ধ। অরণ্য সাবধানী, দুর্গ সতর্ক। অরণ্য ব্যাঘ্রের মতো গুঁড়ি … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন শাসুজাকে কোনোমতে হস্তগত করাই রঘুপতির উদ্দেশ্য ছিল। তিনি যখন শুনিলেন, সুজা দুর্গ আক্রমণ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন তখন মনে করিলেন মিত্রভাবে দুর্গের মধ্যে প্রবেশ করিয়া তিনি কোনোরূপে সুজার দুর্গ আক্রমণে সাহায্য করিবেন। কিন্তু ব্রাহ্মণ যুদ্ধবিগ্রহের কোনো ধার ধারেন না, কী করিলে যে সুজার সাহায্য হইতে পারে কিছুই ভাবিয়া পাইলেন না। … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন খুড়াসাহেবের কী আনন্দের দিন! আজ দিল্লীশ্বরের রাজপুত সৈন্যেরা বিজয়গড়ের অতিথি হইয়াছে। প্রবলপ্রতাপান্বিত শাসুজা আজ বিজয়গড়ের বন্দী। কার্তবীর্যার্জুনের পর হইতে বিজয়গড়ে এমন বন্দী আর মেলে নাই। কার্তবীর্যার্জুনের বন্ধন-দশা স্মরণ করিয়া নিশ্বাস ফেলিয়া খুড়াসাহেব রাজপুত সুচেতসিংহকে বলিলেন, “মনে করিয়া দেখো, হাজারটা হাতে শিকলি পরাইতে কী আয়োজনটাই করিতে হইয়াছিল। কলিযুগ পড়িয়া অবধি … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন খুড়াসাহেবের হাত এড়াইতে সুচেতসিংহকে আর অধিক প্রয়াস পাইতে হইল না। কাল প্রাতে বন্দী-সমেত সম্রাট-সৈন্যের যাত্রার দিন স্থির হইয়াছে, যাত্রার আয়োজনে সৈন্যেরা নিযুক্ত হইল। বন্দীশালায় শাসুজা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া মনে মনে কহিতেছেন, “ইহারা কী বেআদব! শিবির হইতে আমার আলবোলাটা আনিয়া দিবে, তাহাও ইহাদের মনে উদয় হইল না।” বিজয়গড়ের পাহাড়ের নিম্নভাগে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –-পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ষড়্‌‍বিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গুজুরপাড়া ব্রহ্মপুত্রের তীরে ক্ষুদ্র গ্রাম। একজন ক্ষুদ্র জমিদার আছেন, নাম পীতাম্বর রায়; বাসিন্দা অধিক নাই। পীতাম্বর আপনার পুরাতন চণ্ডীমণ্ডপে বসিয়া আপনাকে রাজা বলিয়া থাকেন। তাঁহার প্রজারাও তাঁহাকে রাজা বলিয়া থাকে। তাঁহার রাজমহিমা এই আম্রপিয়ালবনবেষ্টিত ক্ষুদ্র গ্রামটুকুর মধ্যেই বিরাজমান। তাঁহার যশ এই গ্রামের নিকুঞ্জগুলির মধ্যে ধ্বনিত হইয়া এই গ্রামের সীমানার … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –-ষড়্‌‍বিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন রঘুপতি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ-সব কী হইতেছিল ?” নক্ষত্ররায় মাথা চুলকাইয়া কহিলেন, “নাচ হইতেছিল।” রঘুপতি ঘৃণায় কুঞ্চিত হইয়া কহিলেন, “ছি ছি!” নক্ষত্র অপরাধীর ন্যায় দাঁড়াইয়া রহিলেন। রঘুপতি কহিলেন, “কাল এখান হইতে যাত্রা করিতে হইবে। তাহার উদ্‌‍যোগ করো।” নক্ষত্ররায় কহিলেন, “কোথায় যাইতে হইবে ?” রঘুপতি। সে কথা পরে হইবে। আপাতত আমার … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –-সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অষ্টাবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন দীর্ঘ পথ। কোথাও বা নদী, কোথাও বা ঘন আরণ্য, কোথাও বা ছায়াহীন প্রান্তর– কখনো বা নৌকায়, কখনো বা পদব্রজে, কখনো বা টাটু ঘোড়ায়– কখনো রৌদ্র, কখনো বৃষ্টি, কখনো কোলাহলময় দিন, কখনো নিশীথিনীর নিস্তব্ধ অন্ধকার– নক্ষত্ররায় অবিশ্রাম চলিয়াছেন। কত দেশ, কত বিচিত্র দৃশ্য, কত বিচিত্র লোক কিন্তু নক্ষত্ররায়ের পার্শ্বে ছায়ার … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –-অষ্টাবিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঊনত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অবশেষে রাজধানীতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। পরাজয় ও পলায়নের পরে সুজা নূতন সৈন্য সংগ্রহের চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন। কিন্তু রাজকোষে অধিক অর্থ নাই। প্রজাগণ করভারে পীড়িত। ইতিমধ্যে দারাকে পরাজিত ও নিহত করিয়া ঔরংজেব দিল্লির সিংহাসনে বসিয়াছেন। সুজা এই সংবাদ পাইয়া অত্যন্ত বিচলিত হইলেন। কিন্তু সৈন্যসামন্ত কিছুই প্রস্তুত ছিল না, এইজন্য কিছু … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- ঊনত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন এই উপন্যাসের আরম্ভকাল হইতে এখন দুই বৎসর হইয়া গিয়াছে। ধ্রুব তখন দুই বৎসরের বালক ছিল। এখন তাহার বয়স চার বৎসর। এখন সে বিস্তর কথা শিখিয়াছে। এখন তিনি আপনাকে ভারী মস্ত লোক জ্ঞান করেন; সকল কথা যদিও স্পষ্ট বলিতে পারেন না, কিন্তু অত্যন্ত জোরের সহিত বলিয়া থাকেন। রাজাকে প্রায় তিনি … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!