প্রজাপতির নির্বন্ধ–নবম পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  অক্ষয়। হল কী বল দেখি! আমার যে ঘরটি এতকাল কেবল ঝড়ু বেহারার ঝাড়নের তাড়নে নির্মল ছিল, সেই ঘরের হাওয়া দু-বেলা তোমাদের দুই বোনের অঞ্চলবীজনে চঞ্চল হয়ে উঠছে যে! নীরবালা। দিদি নেই, তুমি একলা পড়ে আছ বলে দয়া করে মাঝে মাঝে দেখা দিয়ে যাই, তার উপরে আবার জবাবদিহি ? অক্ষয়।                                গান। ভৈরবী                                     ওগো দয়াময়ী চোর, এত … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–দশম পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  পথে বাহির হইয়াই শ্রীশ কহিল, “ওহে বিপিন, আজ মাঘের শেষে প্রথম বসন্তের বাতাস দিয়েছে, জ্যোৎস্নাও দিব্যি, আজ যদি এখনই ঘুমোতে কিম্বা পড়া মুখস্থ করতে যাওয়া যায় তা হলে দেবতারা ধিক্‌কার দেবেন।” বিপিন। তাঁদের ধিক্‌কার খুব সহজে সহ্য হয়, কিন্তু ব্যামোর ধাক্কা কিম্বা– শ্রীশ। দেখো, ঐজন্যে তোমার সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। আমি বেশ জানি দক্ষিনে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–একাদশ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  রসিক। ভাই শৈল! শৈল। কী রসিকদাদা ! রসিক। এ কি আমার কাজ? মহাদেবের তপোভঙ্গের জন্যে স্বয়ং কন্দর্পদেব ছিলেন, আর আমি বৃদ্ধ– শৈল। তুমি তো বৃদ্ধ, তেমনি যুবক দুটিও তো যুগল মহাদেব নন! রসিক। তা নন, সে আমি ঠাহর করেই দেখেছি। সেইজন্যই তো নির্ভয়ে এসেছিলুম। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে রাস্তার মধ্যে হিমে দাঁড়িয়ে অর্ধেক রাত পর্যন্ত … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–দ্বাদশ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  পূর্বদিনে পূরবালা তাহার মাতার সহিত কাশী হইতে ফিরিয়া আসিয়াছে। অক্ষয় কহিলে, “দেবী, যদি অভয় দাও তো একটি প্রশ্ন আছে।” পুরবালা। কী শুনি। অক্ষয়। শ্রীঅঙ্গে কৃশতার তো কোনো লক্ষণ দেখছি নে। পুরবালা। শ্রীঅঙ্গ তো কৃশ হবার জন্যে পশ্চিমে বেড়াতে যায় নি। অক্ষয়। তবে কি বিরহবেদনা বলে জিনিসটা মহাকবি কালিদাসের সঙ্গে সহমরণে মরেছে ? পুরবালা। তার … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ওস্তাদ আসীন। তানপুরা-হস্তে বিপিন অত্যন্ত বেসুরা গলায় সা রে গা মা সাধিতেছেন। ভৃত্য আসিয়া খবর দিল, “একটি বাবু এসেছেন।” বিপিন। বাবু ? কিরকম বাবু রে ? ভৃত্য। বুড়ো লোকটি। বিপিন। মাথায় টাক আছে ? ভৃত্য। আছে। বিপিন। (তানপুরা রাখিয়া) নিয়ে আয়, এখনই নিয়ে আয় ! ওরে, তামাক দিয়ে যা। বেহারাটা কোথায় গেল, পাখা টানতে বলে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–চতুর্দশ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নির্মলা বাতায়নতলে আসীন। চন্দ্রের প্রবেশ চন্দ্র। (স্বগত) বেচারা নির্মল বড়ো কঠিন ব্রত গ্রহণ করেছে। আমি দেখছি কদিন ধরে ও চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে রয়েছে। স্ত্রীলোক, মনের উপর এতটা ভার কি সহ্য করতে পারবে? (প্রকাশ্যে) নির্মল ! নির্মলা। (চমকিয়া ) কী মামা ! চন্দ্র। সেই লেখাটা নিয়ে বুঝি ভাবছ ? আমার বোধ হয় অধিক না ভেবে মনকে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

জগত্তারিণী। বাবা অক্ষয় ! দেখো তো, মেয়েদের নিয়ে আমি কী করি !নেপ বসে বসে কাঁদছে, নীর রেগে অস্থির, সে বলে সে কোনোমতেই বেরোবে না। ভদ্রলোকের ছেলেরা আজ এখনই আসবে, তাদের এখন কী বলে ফেরাব। তুমিই বাপু, ওদের শিখিয়ে পড়িয়ে বিবি করে তুলেছ, এখন তুমিই ওদের সামলাও। পুরবালা। সত্যি, আমি ওদের রকম দেখে অবাক হয়ে গেছি, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–ষোড়শ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অক্ষয়। ব্যাপারটা কী? রসিকদা, আজকাল তো খুব খাওয়াচ্ছ দেখছি। প্রত্যহ যাকে দু বেলা দেখছ তাকে হঠাৎ ভুলে গেলে ? রসিক। এঁদের নূতন আদর, পাতে যা পড়ছে তাতেই খুশি হচ্ছেন। তোমার আদর পুরোনো হয়ে এল, তোমাকে নতুন করে খুশি করি এমন সাধ্য নেই ভাই! অক্ষয়। কিন্তু শুনেছিলেম, আজকের সমস্ত মিষ্টান্ন এবং এ পরিবারের সমস্ত অনাস্বাদিত মধু … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–পঞ্চম পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  অক্ষয় বলিলেন, “স্বামীই স্ত্রীর একমাত্র তীর্থ। মান কি না ?” পুরবালা। আমি কি পণ্ডিতমশায়ের কাছে শাস্ত্রের বিধান নিতে এসেছি ? আমি মার সঙ্গে আজ কাশী চলেছি এই খবরটি দিয়ে গেলুম। অক্ষয়। খবরটি সুখবর নয়– শোনবামাত্র তোমাকে শাল-দোশালা বকশিশ দিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে না। পুরবালা। ইস, হৃদয় বিদীর্ণ হচ্ছে– না ? সহ্য করতে পারছ না … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  শ্রীশ তাহার বাসায় দক্ষিণের বারান্দায় একখানা বড়োহাতাওআলা কেদারার দুই হাতার উপর দুই পা তুলিয়া দিয়া শুক্লসন্ধ্যায় চুপচাপ বসিয়া সিগারেট ফুঁকিতেছিল। পাশে টিপায়ের উপর রেকাবিতে একটি গ্লাস বরফ দেওয়া লেমনেড ও স্তূপাকার কুন্দফুলের মালা। বিপিন পশ্চাৎ হইতে প্রবেশ করিয়া তাহার স্বাভাবিক প্রবল গম্ভীর কণ্ঠে ডাকিয়া উঠিল, “কী গো সন্ন্যাসীঠাকুর।” শ্রীশ তৎক্ষণাৎ হাতা হইতে পা নামাইয়া … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!