গোরা–-পঞ্চম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ষষ্ঠ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন “ওগো, শুনছ? আমি তোমার পুজোর ঘরে ঢুকছি নে, ভয় নেই। আহ্নিক শেষ হলে একবার ও ঘরে যেয়ো— তোমার সঙ্গে কথা আছে। দুজন নূতন সন্ন্যাসী যখন এসেছে তখন কিছুকাল তোমার আর দেখা পাব না জানি, সেইজন্যে বলতে এলুম। ভুলো না, একবার যেয়ো।” এই বলিয়া আনন্দময়ী ঘরকরনার কাজে ফিরিয়া গেলেন। … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-ষষ্ঠ অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের সপ্তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন আজ আহ্নিক ও স্নানাহার সারিয়া কৃষ্ণদয়াল অনেক দিন পরে আনন্দময়ীর ঘরের মেজের উপর নিজের কম্বলের আসনটি পাতিয়া সাবধানে চারি দিকের সমস্ত সংস্রব হইতে যেন বিবিক্ত হইয়া খাড়া হইয়া বসিলেন। আনন্দময়ী কহিলেন, “ওগো, তুমি তো তপস্যা করছ, ঘরের কথা কিছু ভাব না, কিন্তু আমি যে গোরার জন্যে সর্বদাই ভয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–৮ম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের নবম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন লাবণ্য-তর্ক যোগমায়া বললেন, “মা লাবণ্য, তুমি ঠিক বুঝেছ?” “ঠিক বুঝেছি মা।” “অমিত ভারি চঞ্চল, সে কথা মানি। সেইজন্যেই ওকে এত স্নেহ করি। দেখো-না, ও কেমনতরো এলোমেলো। হাত থেকে সবই যেন পড়ে পড়ে যায়।” লাবণ্য একটু হেসে বললে, “ওঁকে সবই যদি ধরে রাখতেই হত, হাত থেকে সবই যদি খসে … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–নবম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের দশম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বাসা বদল গোড়ায় সবাই ঠিক করে রেখেছিল, অমিত দিন-পনেরোর মধ্যে কলকাতায় ফিরবে। নরেন মিত্তির খুব মোটা বাজি রেখেছিল যে, সাত দিন পেরোবে না। এক মাস যায়, দু মাস যায়, ফেরবার নামও নেই। শিলঙের বাসার মেয়াদ ফুরিয়েছে, রংপুরের কোন্‌ জমিদার এসে সেটা দখল করে বসল। অনেক খোঁজ করে যোগমায়াদের … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–দশম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের ১১তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন দ্বিতীয় সাধনা তখন অমিত ভিজে চৌকির উপরে এক তাড়া খবরের কাগজ চাপিয়ে তার উপর বসেছে। টেবিলে এক দিস্তে ফুল্‌স্ক্যাপ কাগজ নিয়ে তার চলছে লেখা। সেই সময়েই সে তার বিখ্যাত আত্মজীবনী শুরু করেছিল। কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলে, সেই সময়েই তার জীবনটা অকস্মাৎ তার নিজের কাছে দেখা দিয়েছিল নানা রঙে, … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–একাদশতম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের দ্বাদশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন মিলন-তত্ত্ব ঠিক হয়ে গেল, আগামী অঘ্রান মাসে এদের বিয়ে। যোগমায়া কলকাতায় গিয়ে সমস্ত আয়োজন করবেন। লাবণ্য অমিতকে বললে, “তোমার কলকাতায় ফেরবার দিন অনেককাল হল পেরিয়ে গেছে। অনিশ্চিতের মধ্যে বাঁধা পড়ে তোমার দিন কেটে যাচ্ছিল। এখন ছুটি। নিঃসংশয়ে চলে যাও। বিয়ের আগে আমাদের আর দেখা হবে না।” “এমন কড়া … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–দ্বাদশতম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের ত্রয়োদশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন শেষ সন্ধ্যা আহার শেষ হলে অমিত বললে, “কাল কলকাতায় যাচ্ছি মাসিমা। আমার আত্মীয়স্বজন সবাই সন্দেহ করছে আমি খাসিয়া হয়ে গেছি।” “আত্মীয়স্বজনেরা কি জানে কথায় কথায় তোমার এত বদল সম্ভব।” “খুব জানে। নইলে আত্মীয়স্বজন কিসের। তাই বলে কথায় কথায় নয়, আর খাসিয়া হওয়া নয়। যে বদল আজ আমার হল … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–ত্রয়োদশতম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের চতুর্দশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন আশঙ্কা সকালবেলায় কাজে মন দেওয়া আজ লাবণ্যর পক্ষে কঠিন। সে বেড়াতেও যায় নি। অমিত বলেছিল, শিলঙ থেকে যাবার আগে আজ সকালবেলায় সে ওদের সঙ্গে দেখা করতে চায় না, সেই পণটাকে রক্ষা করবার ভার দুজনেরই উপর। কেননা, যে রাস্তায় ও বেড়াতে যায় সেই রাস্তা দিয়েই অমিতকে যেতে হবে। মনে … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–চর্তুদশতম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের পঞ্চদশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ধূমকেতু এতদিন পরে অমিত একটা কথা আবিষ্কার করেছে যে, লাবণ্যর সঙ্গে তার সম্বন্ধটা শিলঙ-সুদ্ধ বাঙালি জানে। গভর্মেন্ট্‌ আপিসের কেরানিদের প্রধান আলোচ্য বিষয়– তাদের জীবিকাভাগ্যগগনে কোন্‌ গ্রহ রাজা হৈল কে বা মন্ত্রিবর। এমন সময় তাদের চোখে পড়ল মানবজীবনের জ্যোতির্মণ্ডলে এক যুগ্মতারার আবর্তন, একেবারে ফাস্ট্‌ ম্যাগ্নিচ্যুডের আলো। পর্যবেক্ষকদের প্রকৃতি অনুসারে … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–পঞ্চদশতম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের ষোলতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ব্যাঘাত দুই সখী যোগমায়ার বাগানে বাইরের দরজা পার হয়ে চাকরদের কাউকে দেখতে পেলে না। গাড়িবারাণ্ডায় এসে চোখে পড়ল, বাড়ির রোয়াকে একটি ছোটো টেবিল পেতে একজন শিক্ষয়িত্রী ও ছাত্রীতে মিলে পড়া চলছে। বুঝতে বাকি রইল না, এরই মধ্যে বড়োটি লাবণ্য। কেটি টক্‌ টক্‌ করে উপরে উঠে ইংরেজিতে বললে, “দুঃখিত।” … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!