গোরা–-৩৫ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ছত্রিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সেদিন ললিতার নিকট হইতে আসিয়া বিনয়ের মনের মধ্যে কাঁটার মতো একটা সংশয় কেবলই ফিরিয়া ফিরিয়া বিঁধিতে লাগিল। সে ভাবিতে লাগিল, ‘পরেশবাবুর বাড়িতে আমার যাওয়াটা কেহ ইচ্ছা করে বা না করে তাহা ঠিক না জানিয়া আমি গায়ে পড়িয়া সেখানে যাতায়াত করিতেছি। হয়তো সেটা উচিত নহে। হয়তো অনেকবার অসময়ে আমি … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৩৬ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের সাঁইত্রিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন শশিমুখীর সঙ্গে বিনয়ের বিবাহ যেন একপ্রকার স্থির হইয়া গেছে এইভাবে মহিম এবং তাঁহার ঘরের লোকেরা চলিতেছিলেন। শশিমুখী তো বিনয়ের কাছেও আসিত না। শশিমুখীর মা’র সঙ্গে বিনয়ের পরিচয় ছিল না বলিলেই হয়। তিনি যে ঠিক লাজুক ছিলেন তাহা নহে, কিন্তু অস্বাভাবিক রকমের গোপনচারিণী ছিলেন। তাঁহার ঘরের দরজা প্রায়ই বন্ধ। … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৩৭ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের আটত্রিঁশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সুচরিতার মাসি হরিমোহিনীকে লইয়া পরেশের পরিবারে একটা গুরুতর অশান্তি উপস্থিত হইল। তাহা বিবৃত করিয়া বলিবার পূর্বে, হরিমোহিনী সুচরিতার কাছে নিজের যে পরিচয় দিয়াছিলেন তাহাই সংক্ষেপ করিয়া নীচে লেখা গেল—    আমি তোমার মায়ের চেয়ে দুই বছরের বড়ো ছিলাম। বাপের বাড়িতে আমাদের দুইজনের আদরের সীমা ছিল না। কেননা, তখন আমাদের … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-২২ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ২৩ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোলাপ ফুলের একটু ইতিহাস আছে। কাল রাত্রে গোরা তো পরেশবাবুর বাড়ি হইতে চলিয়া আসিল, কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের বাড়িতে সেই অভিনয়ে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব লইয়া বিনয়কে বিস্তর কষ্ট পাইতে হইয়াছিল। এই অভিনয়ে ললিতার যে কোনো উৎসাহ ছিল তাহা নহে, সে বরঞ্চ এ-সব ব্যাপার ভালোই বাসিত না। কিন্তু কোনোমতে বিনয়কে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-২৩ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ২৪ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অভিনয়ের অভ্যাস উপলক্ষে বিনয় প্রত্যহই আসে। সুচরিতা তাহার দিকে একবার চাহিয়া দেখে, তাহার পরে হাতের বইটার দিকে মন দেয় অথবা নিজের ঘরে চলিয়া যায়। বিনয়ের একলা আসার অসম্পূর্ণতা প্রত্যহই তাহাকে আঘাত করে, কিন্তু সে কোনো প্রশ্ন করে না। অথচ দিনের পর দিন এমনিভাবে যতই যাইতে লাগিল, গোরার … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-২৪ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ২৫ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন এইরূপ স্থির হইয়াছিল যে, ইংরেজ কবি ড্রাইডেনের রচিত সংগীত-বিষয়ক একটি কবিতা বিনয় ভাবব্যক্তির সহিত আবৃত্তি করিয়া যাইবে এবং মেয়েরা অভিনয়মঞ্চে উপযুক্ত সাজে সজ্জিত হইয়া কাব্যলিখিত ব্যাপারের মূক অভিনয় করিতে থাকিবে। এ ছাড়া মেয়েরাও ইংরেজি কবিতা আবৃত্তি এবং গান প্রভৃতি করিবে। বরদাসুন্দরী বিনয়কে অনেক ভরসা দিয়াছিলেন যে, তাহাকে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-২৫ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ২৬ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন রবিবার দিন সকালে আনন্দময়ী পান সাজিতেছিলেন, শশিমুখী তাঁহার পাশে বসিয়া সুপারি কাটিয়া স্তূপাকার করিতেছিল। এমন সময় বিনয় আসিয়া ঘরে প্রবেশ করিতেই শশিমুখী তাহার কোলের আঁচল হইতে সুপারি ফেলিয়া দিয়া তাড়াতাড়ি ঘর ছাড়িয়া পলাইয়া গেল। আনন্দময়ী একটুখানি মুচ্‌‍কিয়া হাসিলেন। বিনয় সকলেরই সঙ্গে ভাব করিতে পারিত। শশিমুখীর সঙ্গে এতদিন … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-২৬ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ২৭ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গোরা যখন ভ্রমণে বাহির হইল তখন তাহার সঙ্গে অবিনাশ মতিলাল বসন্ত এবং রমাপতি এই চারজন সঙ্গী ছিল। কিন্তু গোরার নির্দয় উৎসাহের সঙ্গে তাহারা তাল রাখিতে পারিল না। অবিনাশ এবং বসন্ত অসুস্থ শরীরের ছুতা করিয়া চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই কলিকাতায় ফিরিয়া আসিল। নিতান্তই গোরার প্রতি ভক্তিবশত মতিলাল ও রমাপতি … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-২৭ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ২৮ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ম্যাজিস্ট্রেট ব্রাউন্‌‍লো সাহেব দিবাবসানে নদীর ধারের রাস্তায় পদব্রজে বেড়াইতেছেন, সঙ্গে হারানবাবু রহিয়াছেন। কিছু দূরে গাড়িতে তাঁহার মেম পরেশবাবুর মেয়েদের লইয়া হাওয়া খাইতে বাহির হইয়াছেন। ব্রাউন্‌‍লো সাহেব গার্ড্‌ন্-পার্টিতে মাঝে মাঝে বাঙালি ভদ্রলোকদিগকে তাঁহার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করিতেন। জিলার এন্‌‍ট্রেন্স স্কুলে প্রাইজ বিতরণ উপলক্ষে তিনিই সভাপতির কাজ করিতেন। কোনো সম্পন্ন … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-১২ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ১৩ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিনয় ও গোরা পরেশের বাড়ি হইতে রাস্তায় বাহির হইলে বিনয় কহিল, “গোরা, একটু আস্তে আস্তে চলো ভাই— তোমার পা দুটো আমাদের চেয়ে অনেক বড়ো— ওর চালটা একটু খাটো না করলে তোমার সঙ্গে যেতে আমরা হাঁপিয়ে পড়ি।” গোরা কহিল, “আমি একলাই যেতে চাই, আমার আজ অনেক কথা ভাববার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!