অগণতান্ত্রিক

এ ক’দিন নবুদা ঘাপটি মেরে কোন চুলোয় যে ছিল , তা কেউ জানেনা । নির্বাচনের আগে FANTA বাওয়ালের পরে, কোর্টের বেইল পেতে তাকে বেশ কিছুদিন ভুগতে হয়েছিল বটে, তবে তাতে একেবারে দম বের হয়ে যায়নি কারোরই । দম বেরোলেও দমবার পাত্র তো নয় এরা !! তবে জেলের খাবার খেয়ে হুলোর পিলে বেড়ে গেছিলো, হয় কথায় … বিস্তারিত পড়ুন

যা হারিয়ে যায় – শেষ

নির্দিষ্ট দিনে একটু সকাল সকালই প্রাচ্য পৌঁছে গেল। একসময় তার বাবা এই আশ্রমের স্কুলে চাকরি করতেন সেই সুবাদেই যাতায়াত। তারপর স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মচারীর একমাত্র কন্যা কুমারী প্রিয়াঙ্কার সাথে আলাপের সূত্রপাত। এছাড়াও পুরনো বেশ কিছু মানুষজন আছেন, বিশেষ করে আছে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রদীপ, কাজেই তাদের সান্নিধ্যে সারাদিন কাটিয়ে দেওয়া কোনও সমস্যা নয়। উৎসাহের চোটে … বিস্তারিত পড়ুন

এক আজব কাহিনী

অস্টিনের উত্তর দিকটায় এক সময় বাস করত এই স্মদার্স পরিবার। জন স্মদার্স, তার বৌ, সে নিজে, তাদের পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ে আর সেই মেয়ের বাবা মা… শহরের আদমসুমারীতে এর’মভাবে তাদের ছ-জনের পরিবার হিসেবে দেখা গেলেও আসলে তারা ছিল তিনজনই। একদিন রাত্তিরে নৈশাহারের পর হঠাৎ তাদের মেয়েটি পেট ব্যথায় ভীষণ কাবু হয়ে পড়ল। জন তড়িঘড়ি শহরে … বিস্তারিত পড়ুন

নিরামিষ নবুদা

নবারুণ ভট্টাচার্য মারা গেছেন, এটা নাকি নবুদা জানতো না !! তাই হুলো আর পচাও জানতে পারেনি । অবশ্য নবারুণ ভট্টাচার্য গত হলে বা টেনে হেঁচরে বেচে থাকলেও তাদের জীবনে যে কোনো ‘নব অভ্যুথ্যান’ হবে না সেটা তারা বেশ জানতো। হ্যাংলামুখো বিড়িখেগো বামুনেরা, যে কেউ মরলেই শ্রাদ্ধ্য খেতে দৌড় মারে, বিশেষত মাছ ছোঁয়ার দিনে ! আঁশ … বিস্তারিত পড়ুন

কেন বাধ্যতে

বাগদাদের এক ব্যবসায়ী একদিন তার চাকরকে বাজারে পাঠাল কিছু জিনিসপত্র আনতে। একটু বাদেই চাকর যখন ফিরে এল, তার সারা মুখ ফ্যাকাশে আর গা দিয়ে গলগল করে ঘাম ঝরছে। সে বলল, “মালিক, বাজারে এক মহিলার সাথে ধাক্কা লাগল। ভাল করে তাকিয়ে দেখলাম এক মহিলার রূপে মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে। মৃত্যু আমার দিকে রেগে কটমটিয়ে তাকাল। আপনি শিগগির … বিস্তারিত পড়ুন

চেক চার্লি ১

মেসে একসাথে চার বাঙালি থাকার ইতিবাচক দিক একটাই – দিনের শেষে বাঙালি খাবার খাওয়া যায়। এ ছাড়া সব ব্যাপারে বৈচিত্র ও মতানৈক্য থাকাটা বাঙালির জাত্সিদ্ধ অধিকার। আমাদের থাকার জায়গাটাকে ১২ক ভূতের আস্তানা বললে ১২ টা ভূতই হয়ত আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগে ভুগে আবার মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করবে। আমাদের মধ্যে সবথেকে ট্যাঁশ নমুনাটি হলো সিরাজ। সে মুসলিম … বিস্তারিত পড়ুন

ফিরে আসা

স্পেশাল ট্রেনটা অমৃতসর থেকে ছেড়ে গেছিল দুটোর সময়। লাহোরে পৌঁছল আট ঘন্টা পর। পথে মৃত্যু হয়েছে অনেকের, বহু মানুষ আহত, আরও অসংখ্য মানুষ নিরুদ্দেশ… সবার মনে এক আতঙ্কের থাবা বসিয়ে দিয়েছে এই ভয়াবহ দাঙ্গা… পরদিন সকাল দশটায় জ্ঞান ফিরল সিরাজুদ্দিনের। দেখল ও ধুলোর মধ্যে পড়ে আছে। আশেপাশে অসংখ্য পুরুষ নারী শিশুদের চিৎকার। কি হচ্ছে ঠিক … বিস্তারিত পড়ুন

এক জীবনের অপেক্ষায়…

অ্যালুমিনিয়ামের বাটিতে দুধটা গরম হয়ে এসেছে। ফুটে উঠবে আরেকটু পরেই। দুধের স্তরটা কেঁপে কেঁপে উঠছে, সরের আস্তরণ কুঁচকে যাচ্ছে। গ্যাসটা বাড়িয়ে দিলেই ফুলে উঠবে। রাগ হলে ঠিক এইরকমই হয়। চেপে রেখে রেখে, গুমরে গুমরে থেকে একসময় ফুলে ফেঁপে উথলে বেরিয়ে আসে চিৎকার হয়ে। বেরতে বেরতে একসময় ফুরিয়ে যায়। কমতে কমতে ছেড়ে যায় শরীরের কানাচ। রাগটা … বিস্তারিত পড়ুন

বাবলু ফার্নান্ডেজ

ছেলেবেলায় কারও নামের শেষে গোমেজ, ফার্নান্ডেজ ইত্যাদি পদবীগুলো দেখলেই মনে মনে কল্পনা করে নিতুম ধপধপে ফর্সা সুঠাম চেহারার কোনও বিদেশী মানুষকে। আমার বেশ কয়েকজন মুসলমান বন্ধুও ছিল। কিন্তু অপরিচিত হলেও আলি, হায়দার বা রহমান পদবীর মালিকদের কখনই আফগানিস্তান, ইরান-ইরাক এমনকি পাকিস্তানী বলেও মনে হত না, খুব বেশী হলে কল্পনায় বাংলাদেশ এলেও আসতে পারত। কিন্তু বাংলাদেশ … বিস্তারিত পড়ুন

সমাপ্তি

তুষারপাত দেখলেই শুভার কথা মনে পড়ে যায় অনন্তর। ক্লান্ত শরীরটা এলিয়ে দিয়ে যেভাবে শুভার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকত অনন্ত, আর শুভা ধীরে ধীরে হাত বুলিয়ে দিত ওর মাথার চুলের মধ্যে দিয়ে… সেরকমভাবেই যেন ওই বরফের নরম স্পর্শ পৃথিবীর ওপর নেমে আসছে। সব ক্লান্তিকে, পাপকে ঢেকে দিতে আসছে… রাশি রাশি শান্তি! সময়ের শুরু বলে কিছু … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!