অবলাকান্তর দপ্তর… পঞ্চম পর্ব

মাঠ ঘাট সব পেরিয়ে যাচ্ছে দুপাশে। দৌড়নোর আনন্দে খেয়ালই করে নি যে পুরনো কালীমন্দিরের কাছে চলে এসেছে। সামনেই কাপালিক কালিধরের ডেরা। অদ্ভুত কিছু উচ্চারণ কানে আসতে এগিয়ে গেলো। মন্দিরের পাশের ভাঙা দেওয়ালের গায়ে একটা বহু প্রাচীন অশ্বত্থ গাছ রয়েছে। তার একটা ঝুড়ি প্রায় জাপটে ধরে আড়াল থেকে দেখতে লাগলো। একটা সস্তা ফুটিফাটা ছাপানো ব্যাঘ্রচর্মের আসনে … বিস্তারিত পড়ুন

অবলাকান্তর দপ্তর… চতুর্থ পর্ব

এতক্ষন একজায়গায় দাঁড়িয়ে থাকায় শীত শীত লাগছে। আলোয়ানটা ভালো করে জড়িয়ে সামনের টিউবকলে মুখটা ভালো করে ধুয়ে নিলো। জলের ছোঁয়া লেগে আবার ঝরঝরে ভাবটা ফিরে এসেছে। কিন্তু ঠাণ্ডা লেগে পরপর বেশ কয়েকটা হাঁচিও দিলো সঙ্গে। মাথায় ছাগল চুরির ব্যাপারটা বিজবিজ করছে।কিন্তু তদন্ত করতে ইচ্ছে হলেও কান্নাকাটির মধ্যে কবিরাজ মশাইয়ের বাড়ি যেতে আর ইচ্ছে করল না … বিস্তারিত পড়ুন

অবলাকান্তর দপ্তর… তৃতীয় পর্ব

পরদিন সকালে উঠে রেডিওতে খান দুই পুরাতনী আর রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে পড়ল অবলাকান্ত। তার বাড়ির বিশাল বাগানটা যেখানে ছিল যেখানে সেখানে এখন আগাছা এবং বিশাল বিশাল গাছ ভর্তি। দু খানা সাদা পাথরের পরীর মূর্তি ছিল; তারা এখন মাটিতে ধরাশায়ী।গরমের সময় সাপের উপদ্রবে চলাই মুশকিল। দাশু এদিক ওদিক কিছু শাকপাতা লাগিয়েছে বটে কিন্তু বিশেষ … বিস্তারিত পড়ুন

অবলাকান্তর দপ্তর… দ্বিতীয় পর্ব

কাঁসার গ্লাসে করে পেল্লায় এক গ্লাস ছাতুর ঘোল খেয়ে এক টুকরো পাটালী গুড় চুষতে চুষতে অবলাকান্ত কালো দীঘির দিকে এগোল। কালো দীঘি বলবার কারণ জলের রঙটা। গ্রামের পুকুরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আর বড় মাছ এখানেই পাওয়া যায়। তবে একটাও নেওয়ার জো নেই কারো। কারণ এটার মালিক মুখুজ্জেরা। এককালের অভিজাত বাড়ি। এখনকার ঝরতি পড়তি অবস্থায় কিছু … বিস্তারিত পড়ুন

আসুন কষ্ট – কল্পনা করি ( প্রথম পর্ব )

বন্ধুগণ ,  পাঠ্যবই , খবরের কাগজ , এস এম এস – ঘেঁষে মেশ , লিপ কিস – কিস মিস ,  ভেজ – নন ভেজ সায়রী , লুকিয়ে লেখা সেন্টিমেন্টাল ডায়েরী – এসব   অনেক হয়েছে ।। মেথড মানা বই – পুঁথির  পাহাড়  , কাশ্যপ মুনির অফ -বিট স্ক্রিপ্ট  বা  পরমপিতার  গত বাঁধা চোতা  মেনে চলা  আম জীবন – ভাম জীবনের   আগাছা ,  পাথর   হটিয়ে আসুন কিছু আজগুবি কল্পনা করে ফেলি … বিস্তারিত পড়ুন

বরফের গুলতি,কানি বুড়ি অথবা কতিপয় কল্পনার সারমর্ম

আজ সন্ধ্যেবেলা থেকেই শরীরটা একদম বেঁকে বসে আছে,ঠিক সেরকম, যেমন মাঝে মাঝে তোমাকে আদর করার সময় বাঁকিয়ে নিতাম তোমার নিপুন শরীরটিকে,আদরের ভঙ্গিমা পরিবর্তনের প্রয়োজনহেতু।আজ সেই সন্ধ্যেবেলা থেকে আমার শরীরও একইভাবে বেঁকে সেঁটে আছে বিছানায়,হয়তো ইচ্ছে করলেই খানিকটা সোজা হয়ে নিতে পারবো,কিন্তু তারপরও সোজা হতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে ক্ষুধাহীন,প্রকৃতির কোন ডাক সাড়াহীন যদি এইভাবে … বিস্তারিত পড়ুন

উদ্ভট মেনিফেস্টো

একবার আমার এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা হল। তা সেবার আমি আমার আজন্ম লালিত বিশ্বব্যাপী বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর হয়ে একটা আন্ডারগ্রাউন্ড গেরিলা স্কোয়াড খুলে ফেললাম। সদস্য মোটে দু’জন, আমি আর আমাদের পাড়ার অতীশ পাগলা। সে আবার তারা মায়ের ঘোর ভক্ত, সারা কপাল জোড়া ইয়া রক্ত তিলক আঁকা, গলায় আট দশটা জবা ফুলের মালা, যেখানে সেখানে মা তারা … বিস্তারিত পড়ুন

পাঁচটা গল্প আর একটা স্বপ্ন

দৃশ্য ১ ঘরের দরজাটা লাল রং-এর। দরজা ঠেলে যদি ভিতরে ঢোকেন, দেখতে পাবেন ঘরটা আকারে বেশ ছোটই বলা চলে। বাম দেওয়াল ঘেঁসে একটা খাট। দুই কোনা থেকে ঝুলছে বহুদিনের না কাচা তেলচিটে একটা মশারি। খাটের পাশে একটা টেবিল আর একটা চেয়ার। টেবিলে একগাদা বইখাতা রাখা। চেয়ারেও। সেটা বোধহয় বসার কাজে বিশেষ ব্যবহার করা হয়না। টেবিলের … বিস্তারিত পড়ুন

অক্সিজেন

আমার বেড়ানোর নেশা টা উত্তরাধিকার সুত্রে বাবার থেকে পাওয়া.বাবা ভীষণ ভ্রমনপিপাসু ছিলেন.সময় সুযোগ পেলেই আমরা বেরিয়ে পরতাম বিভিন্ন জায়গার উদ্দেশ্যে.ছোটবেলায় বাবার দৌলতে আমি আর মা ট্রাভেল বুক এর বাইরে অনেক জায়গা দেখতে পেয়েছিলাম.বাবা বলতেন” টুরিস্ট স্পট হিসেবে যে জায়গার বেশী নাম ডাক, সেখানে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই অন্য কিছু দেখা যায়না, সেখানকার মাটির গন্ধ কেমন বা মানুষগুলো কেমন … বিস্তারিত পড়ুন

দোতালা বাস এবং ( ব্যক্তিগত ডায়েরী)

মামাবাড়ি ছিল বাঘাযতীনে। তখন হাওড়া যাবার জন্য এই পথে মূলত 5 GARIA চলত। আর যাদবপুর থেকে পাওয়া যেত 8B। দুটো রুটেই ছিল দোতালা বাস। মাঝে মাঝে, বেশ কয়েকটা এক চোখ কানা বাস পাওয়া যেত। ওগুলো, দোতালা বাসেরই একতলা সংস্করণ! যখনকার কথা বলছি, তখন সবে ঢাকুরিয়ার ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়েছে। পথে পড়ত, লেভেল ক্রসিং! এখনও মনে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!