ধুপ [৩য় অংশ]

এই ভোরেও চাঁদপিরের গলির মুখে মধু ঘোষের মিষ্টির দোকান খোলা। পাশেই বাসষ্ট্যান্ড। ভিতরে ঢুকে চায়ের অর্ডার দিল শওকত। মাথায় কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কাল সন্ধ্যায় রাইসার আচরণ অস্বাভাবিক ঠেকছে। ও তো ঘুমিয়ে ছিল। ও জানল কি করে সোলাইমান মিঞা খুচড়ি এনেছে? ও গতকাল দুপুরে কাকে দেখল ছাদে? অর্চনা মেয়েটি কে? সন্ধ্যায় কে ধূপ জ্বালায়? এসবের … বিস্তারিত পড়ুন

ধুপ [শেষ অংশ]

নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য চুপ করে থাকেন। দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। এই নির্জনতায় দীর্ঘশ্বাস পরিস্কার শোনা যায়। প্রায় অনুচ্চস্বরে বললেন, অর্চনাকে তারা পুড়িয়ে মেরেছিল কার্তিক মাসে। বলে বৃদ্ধ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর বললেন, আজও কার্তিক মাসে পুরানবাড়িতে অর্চনা ফিরে আসে। সন্ধ্যায় ধূপ জ্বালায়। আপনাদের দারোয়ান সোলাইমান সবই জানে। ছেলেটা বড় ভালো। চাঁদসাধুর শিষ্য। তার ওপরসাধুর আর্শীবাদ আছে। ঘরসংসার … বিস্তারিত পড়ুন

গোলাপ ফুলের ঘ্রান [১ম অংশ]

তাহিয়ার হাতে গোলাপ ফুল দেখে বর্ণা চমকে উঠল।ও অস্ফুট স্বরে বলে,ফুল পেলি কই তুই?তাহিয়া রিনরিনে গলায় বলল,টেবিলের ওপর পেয়েছি।আম্মু তুমিফুলটা নেবে বলে ফুলটা বর্ণার দিকে বাড়িয়ে দেয়।বর্ণা এক পা পিছিয়ে আসে।ভীষণ কাঁপছিল ও।আশ্চর্য! তাহিয়া গোলাপ ফুল পেল কই?এ বাড়ির নীচতলার বাগানে তো গোলাপের ঝাড় নেই।ছাদে কি বারান্দায় গোলাপের টবও নেই। তাহলে?ফুলটা টেবিলের ওপর পেয়েছে বলল।টেবিলের … বিস্তারিত পড়ুন

গোলাপ ফুলের ঘ্রান [শেষ অংশ]

মঞ্জুর হাত তুলে মেয়েকে বলল, ওই যে দেখ মা। কী সুন্দর। তাহিয়া লাল মাটির ওপর রোদের চিকড়ি-মিকড়ির দিকে তাকিয়ে বলল, হ্যাঁ। অনেক সুন্দর বাবা। বর্ণা আজ কালো রঙের জামদানী পড়েছে। বার্থ ডে গিফট। মঞ্জুর আগেই কিনে রেখেছিল। শাড়িটা বর্ণার গায়ের ফরসা রঙের সঙ্গে দারুণ মানিয়েছে। আশেপাশের মেয়েরা ওর দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছিল। তাহিয়া বেশ টইটই করেই … বিস্তারিত পড়ুন

ফোঁড়া [১ম অংশ]

অনেকক্ষন ধরে সামনে বসা মানুষটার দিকে তাকিয়ে আছেন ডঃ তাহসিনা। মাথাটা নিচু করে বসেই আছে সেই লোক। অনেকক্ষণ ধরে বসে থেকে থেকে শেষে বলতে শুরু করল- “আমার যে সমস্যা সেটা হল আমার পেটে একটা ফোঁড়া ঊঠেছে।” বলেই শুন্য দৃষ্টিতে ডঃ তাহসিনারদিকে তাকিয়ে থাকল। ডঃ তাহসিনা অনেক ভাল একজন সাইকায়াট্রিষ্ট। উনি এর আগে ও অনেক মেন্টাল … বিস্তারিত পড়ুন

ঝাউদীঘির আতঙ্ক [২য় অংশ]

সবাই বলে জমিদার হেমেন্দুবিকাশ রায়চৌধুরী নাকি ঝাউদীঘির জল থেকে কয়েক শ মানুষ ভেসে উঠতে দেখেছিলেন। মানুষগুলির পরনে ছেঁড়া লুঙ্গি আর গেঞ্জি; এক হাতেকোদাল, অন্য হাতে টুকরি। বলেন কী! হ্যাঁ। ইনামগড়ের লোকে বলে জমিদার হেমেন্দুবিকাশ রায়চৌধুরী ঝাউদীঘি থেকে মৃত মাটি-কাটিয়ে মজুরদের উঠে আসতে দেখেই মারা গেছেন। কথাটা আমার কেন যেন ঠিক বিশ্বাস হল না। আমি ঠান্ডা … বিস্তারিত পড়ুন

ঝাউদীঘির আতঙ্ক [৩য় অংশ]

একতলার একটি কক্ষে কারুকাজ করা দেয়াল দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম। দেখে রঙ্গশালা মনে হল। ঝটপট বেশ ক’টা ছবি তুলে নিলাম। বেশ ধনী ছিল রায়চৌধুরী পরিবার । বিস্তর জমিজমা বাদেও লবনের মতো লাভজনক ব্যবসা ছিল সম্ভবত। দোতলায় উঠবার কাঠের সিঁড়িটি ভাঙা। দোতলার দরজা-জানালাগুলিও ভাঙা । বেশ বুঝলাম সংস্কার কাজে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরকে বেশ খরচ করতে হবে। দোতলার একটা … বিস্তারিত পড়ুন

ঝাউদীঘির আতঙ্ক [শেষ অংশ]

কক্ষের বিশাল জানালা দিয়ে হু হ করে চৈত্ররাতের বাতাস ঢুকলেও আমার ভীষণ গরম লাগছিল। পায়জামা পরে খালি গায়েই ছিলাম। বেশি গরম লাগলে নীচে নেমে দীঘির জলে সাঁতার কেটে আসব বলে ঠিক করলাম। লিখলাম … প্রাথমিক ভাবে আমার ইনামগড়ের জমিদারবাড়ির এরিয়া প্রায় ছয় একর বলে মনে হয়েছে। অবশ্য কম হতে পারে আবার বেশিও হতে পারে। সবচে … বিস্তারিত পড়ুন

ঝাউদীঘির আতঙ্ক [১ম অংশ]

স্টেশনমাস্টারের কথায় রীতিমতো চমকে উঠলাম। ইনামগড়ের রায় চৌধুরীদের জমিদার বাড়িটি নাকি অভিশপ্ত। রাতের বেলা তো দূরের কথা স্থানীয় লোকজন দিনের বেলাও নাকি ওদিকে ঘেঁষে না। আমি খানিকটা বিমূঢ় বোধ করলাম। কারণ একটু পরই আমার রায়চৌধুরীদের জমিদারবাড়ি তে যাওয়ার কথা। আমি স্টেশনমাস্টারের মুখের দিকে তাকালাম। মাঝবয়েসি ভদ্রলোক । শিক্ষিত, ভদ্র চেহারা। এমন মানুষের তো কাউকে মিছিমিছি … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!