খেলাবুড়া— জাহেদ মোতালেব

মরা গরুর উপরে বসা মাছির ঝাঁক দেখছে-এ রকম চোখে দর্শকের দিকে তাকায়। বুড়া খেলা দেখাবে। তার সারা শরীরে প্রস্তুতির ভঙ্গি। শহীদ মিনারের সামনে লোকেরা গোলাকার দাঁড়িয়েছে। সে এক পাক ঘুরে মুখে চিতা বাঘের আদল আনে। বলে, শোনেন ভাইসকল, মাইনষের পোঁদে লাত্থি মারা এহন দারুণ কাজ। গাঢ় সন্ধ্যায় বুড়ার ন্যাড়া মাথা সোডিয়াম লাইটে চকচক করে। সে … বিস্তারিত পড়ুন

নিভে যাবার আগে— লাবিব ওয়াহিদ

চারপাশ অন্ধকার করে মাঝখানে একফোঁটা জলের মতো ছোট্ট হয়ে বসে আছে রোদ্দুর। রোদের চোখে জল শরতের মেঘের মতো ছুটে ছুটে আসে যায়। যদি দূর থেকে কেউ তাকায়, দেখবে অনেক অন্ধকারের মাঝখানে একটা আলোকবিন্দু। সেই বিন্দু নিজে যখন সামনে তাকায়, তখন শুধুই জেলীর মতো থকথকে অন্ধকার। রোদ্দুর ৫ বছর আগে থেকেই জানে, কেউ বাচবে না। কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

অসময়ের গল্প – ইকবাল মাহমুদ

সন্ধ্যেবেলা। বিকেলে আলো ম্রিয়মান হয়ে রাত্রির আঁধারে ডুবে যেতে না যেতেই হিম কুয়াশা চারপাশ ঢেকে দিয়েছে সাদা চাদরে। ব্যস্ত-ত্রস্ত লোকজন তাদের দিনের দেনা পাওনা মিটিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ঘরে। কিছু মানুষ-যাদের আশ্রয় বলতে গভর্নমেন্টর কালো পিচ-তারা শুকনো পাতা জমিয়ে শহরের প্রধান সড়কে জ্বেলে নিয়েছে আগুন। একটু উষ্ণতায় শরীর ঢাকবে বলে। কেউ বা চাদরে শরীর ঢেকে আশ্রয় … বিস্তারিত পড়ুন

বৃক্ষছায়া —– মকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সান্যাল

কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ট্রেনে এসে নামল, অমল হাসিমারা ষ্টেশনে । ষ্টেশন থেকে বেরিয়েই দেখতে পেলো- অমল বোস “ ডুবপাড়া টি এষ্টেট” লেখা একটা বোর্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে, একজন। প্লেনে যাবার কথা বলেছিল কোম্পানি, কিন্তু বাবার বাধা । কে জানে, প্লেনে আবার কি সব গণ্ডগোল হচ্ছে আজকাল । কাছে যেতেই লোকটা নমস্কার করে বলেছিল :- স্যার, আপনিই তো … বিস্তারিত পড়ুন

বিধান—- নির্মলেন্দু কুন্ডু

—”না,না,তুমি যা বলছো,তা কিছুতেই সম্ভব নয় ৷” —”কেন সম্ভব নয় অর্চিতা ! আমার প্রতি তোমার কী কোন ফিলিংস নেই ?” —”আছে,তবে সেটা নিখাদ বন্ধুত্বের ৷” — শুধুই কী বন্ধুত্বের ?তাহলে আমি আঘাত পেলে তোমার অত কষ্ট হয় কেন ? জ্বর হলে কেন বুবাইকে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে সময় কাটাও ? কেন মন্দিরে আমার নামে পুজো … বিস্তারিত পড়ুন

আত্মশুদ্ধি—- সম্বুদ্ধ সান্যাল

হাত দিয়ে কপালটা ঘষতেই কেমন যেন বালিময় লাগলো। কতক্ষণ এভাবে বসে আছি জানিনা। পেছন থেকে আরো একটা লোকাল ট্রেন বেড়িয়ে গেলো। ক’টা বাজে তাও জানিনা। রেললাইনের অপর পাশে বাড়ির গাছগুলোর ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে সূর্য্যটা নিভু নিভু। বোধহয় ঘুমিয়েই পড়েছিলাম খানিক। মাথাটা বড় ঝিমঝিম করছে। বাচ্চাদুটো খেলছিলো যে, তারাও বোধ হয় চলে গেছে। ভাইবোনই হবেমনে … বিস্তারিত পড়ুন

ঝরা পাতার ধ্বনি

আজ ইংরেজী নববর্ষ , ২০৪০ সাল । সুশীল সমাজ আয়োজিত ‘শান্তির বার্তা ‘ পদক বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে । প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত আছেন নারী সংগঠনের সম্মানিত চেয়ারম্যান বেগম মিলি সুলতানা । পুরষ্কার ঘোষিত হলো , এবারের শান্তির বার্তা পদক লাভ করেছেন, জনাব আরিফ সাহেবের পথশিশুদের নিয়ে গড়া প্রতিষ্ঠান ‘ঝরা পাতার ধ্বনি’ । আরিফ সাহেব … বিস্তারিত পড়ুন

পাপ ও পরিণতি—- মনোজিৎ কুমার দাস

গল্পগুলো আমার শোনা, তবে সবগুলোই লোক মুখ থেকে নয়। প্রত্যক্ষদর্শী, সাগরেদ কিংবা ভুক্তভোগেী ভিকটিমদের কাছ থেকে শোনা। লোক মুখে শোনা গল্পও যে তা কিন্তু নয়। দুষ্কৃতি যত গোপনেই খারাপ কাজ করুক না কেন , তা এক সময় না এক সময় প্রকাশ হয়ই। প্রথম গল্পটা যে কোন লোকের মুখ থেকে নয়, লম্পটার এক সাঙাতের মুখ থেকে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রতিবিম্বন—- পলাশ কুমার পাল

বৃষ্টি ভেজা মেঘাচ্ছন্ন রাত। ঘড়ির কাঁটা প্রায় বারোটার ঘর ছুঁতে চায়। হাতে স্টিয়ারিং, ক্লান্ত চোখ সারিবদ্ধ ল্যামপোস্টের আলোয় পথ বের করে যায়। মৃণ্ময় যেন আজ বেশী বিধ্বস্ত। ক’দিন শরীরটাও ভালো নেই। তবু অফিসের কাজের চাপ। রাত পর্যন্ত কাজ। প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি, করার কিছু নেই- জোঁকের মতো রক্ত চুষে খায়। এইসব সাত-পাঁচ ভাবনা মাথায়। হঠাত্ মৃণ্ময়ের … বিস্তারিত পড়ুন

রায়ট— সুবীর কুমার রায়

জলকাদা আগাছায় ভরা ছোট্ট একটা গ্রাম, কে যে এহেন গ্রামের নাম সাধ করে কুসুমপুর রেখেছিল কেউ জানেও না, জানার প্রয়োজনও বোধ করেনা। কুসুম বলতে আকন্দ, ঘেঁটু, পার্থেনিয়াম জাতীয় কিছু জংলি ফুল, আর কলকে, মাদার বা নাম না জানা কিছু গাছের ফুল। রাস্তাঘাটের বালাই নেই, নিজেরাই নির্দিষ্ট পথে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করে করে ঘাসহীন কিছু পায়ে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!