তরুণের বিদ্রোহ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-২য় অংশ

বস্তুতঃ এইখানে আঘাত দেওয়ার মত বড় আঘাত বর্তমানকালে আর নেই। নানা অসম্মানে ক্ষিপ্ত হয়ে কংগ্রেস ব্রিটিশ-পণ্য বর্জনের সঙ্কল্প গ্রহণ করেছে; সঙ্কল্প তাদের সিদ্ধ হোক। বাঙ্গালার তরুণের দল, এই সংঘর্ষে তোমরা তাদের সর্বান্তঃকরণে সাহায্য করো। কিন্তু অন্ধের মত নয়; মহাত্মাজী হুকুম করলেও নয়; কংগ্রেস সমস্বরে তার প্রতিধ্বনি করে বেড়ালেও নয়। ভারতের বিশ লাখ টাকার খাদি দিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

ছোট্ট তানিশা

ছোট্ট তানিশা, আজ খুব খুশি । আজ সে তার বাবা মায়ের সঙ্গে শপিং করতে যাবে, তার জন্য জামা কিনতে;কল্পনার জামা! ঈদ কিংবা পুজোর জন্য নয়।নিতান্তপক্ষে মনের খায়েশ পূরণের জন্য। রূপকথার গল্পে পরীরা যেমন জামা পড়ে ঠিক তেমন জামা কিনতে। ছোট্ট তানিশা ধনী বাবা-মায়ের একমাত্র কন্যাসন্তান।তাঁর এতটুকুন জীবনে কোনকিছুর কমতি নেই;কিন্তু নিজের বাবা-মায়ের আদরটাই খুঁজে পায়না … বিস্তারিত পড়ুন

মৃন্ময় চক্রবর্তী’র গল্প : বুনো সর্দার

ভাঙা সাইকেল লাফিয়ে লাফিয়ে চলেছে। মাটির রাস্তায় বড় বড় খাদ, গর্ত। শীতের দুপুর বাজবরনতলায় কুড়ি পয়সা দিয়ে খাল পেরোলাম, সাইকেল কাঁধে তুলে। বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো পার হওয়া চাট্টিখানি কথা! পা হড়কালেই পচা পাঁকের খালে সটান গিঁথে যেতে হবে। যাব কাঁঠালতলা মদনপুর। সেই দুপুর থেকে ঠিকানা খুঁজছি। এই অঞ্চলে যে কত কাঁঠালতলা কত মদনপুর আছে ঈশ্বর … বিস্তারিত পড়ুন

শেষ পুরস্কার-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খসড়া সেদিন আই. এ. এবং ম্যাট্রিক ক্লাসের পুরস্কারবিতরণের উৎসব। বিমলা ব’লে এক ছাত্রী ছিল, সুন্দরী ব’লে তার খ্যাতি। তারই হাতে পুরস্কারের ভার। চার দিকে তার ভিড় জমেছে আর তার মনে অহংকার জমে উঠেছে খুব প্রচুর পরিমাণে। একটি মুখচোরা ভালোমানুষ ছেলে কোণে দাঁড়িয়ে ছিল। সাহস করে একটু কাছে এল যেই, দেখা গেল তার পায়ে হয়েছে ঘা, … বিস্তারিত পড়ুন

করুণা –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় অংশ

পঞ্চম পরিচ্ছেদ মহেন্দ্র নরেন্দ্রদের দলে মিশিয়াছে বটে, কিন্তু এখনো মহেন্দ্রের আচার-ব্যবহারে এমন একটি মহত্ত্ব জড়িত ছিল যে, নরেন্দ্র তাহার সহিত ভালো করিয়া কথা কহিতে সাহস করিত না। এমন-কি সে থাকিলে নরেন্দ্র কেমন একটা অসুখ অনুভব করিত, সে চলিয়া গেলে কেমন একটু শান্তিলাভ করিত। অলক্ষিতভাবে নরেন্দ্রের মন মহেন্দ্রের মোহিনীশক্তির পদানত হইয়াছিল। মহেন্দ্র বড়ো মৃদুস্বভাব লোক—হাসিবার সময় … বিস্তারিত পড়ুন

করুণা –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-তৃতীয় অংশ

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ স্বরূপবাবু কহেন যে, পৃথিবী তাঁহাকে ক্রমাগতই জ্বালাতন করিয়া আসিয়াছে, এই নিমিত্ত মানুষকে তিনি পিশাচ জ্ঞান করেন। কিন্তু আমরা যতদূর জানি তাহাতে তিনিই দেশের লোককে জ্বালাতন করিয়া আসিতেছেন। তিনি যাহার সহিত কোনো সংশ্রবে আসিয়াছেন তাহাকেই অবশেষে এমন গোলে ফেলিয়াছেন যে, কী বলিব। স্বরূপবাবু সর্বদা এমন কবিত্বচিন্তায় মগ্ন থাকেন যে, অনেক ডাকাডাকিতেও তাঁহার উত্তর পাওয়া … বিস্তারিত পড়ুন

করুণা –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ অংশ

অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ মহেন্দ্র চলিয়া গেলে রজনী মনে করিল, “আমিই বুঝি মহেন্দ্রের চলিয়া যাইবার কারণ! ” মহেন্দ্রের মাতা মনে করিলেন যে, রজনী বুঝি মহেন্দ্রের উপর কোনো কর্কশ ব্যবহার করিয়াছে; আসিয়া কহিলেন, “পোড়ারমুখী ভালো এক ডাকিনীকে ঘরে আনিয়াছিলাম! ” রজনীর শ্বশুর আসিয়া কহিলেন, “ রাক্ষসী, তুই এই সংসার ছারখার করিয়া দিলি! ” রজনীর ননদ আসিয়া কহিলেন, “হতভাগিনীর … বিস্তারিত পড়ুন

করুণা –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-পঞ্চম অংশ

দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ কাশীর স্টেশনে করুণা-সংক্রান্ত যে-সমস্ত ঘটনা ঘটিতেছিল, একজন ভদ্রলোক তাহা সমস্ত পর্যবেক্ষণ করিতেছিলেন। স্বরূপকে দেখিয়া তিনি কেমন লজ্জিত ও সংকুচিত হইয়া সরিয়া গিয়াছিলেন। যখন দেখিলেন সকলে চলিয়া গেল এবং করুণা মূর্ছিত হইয়া পড়িল তখন তিনি তাহাকে একটা গাড়িতে তুলিয়া তাঁহার বাসাবাড়িতে লইয়া যান—তাঁহার কোথায় যাইবার প্রয়োজন ছিল কিন্তু যাওয়া হইল না। করুণার মুখ দেখিয়া, … বিস্তারিত পড়ুন

আত্নসম্মান

রেল স্টেশনে একটি ভিক্ষুক ভিক্ষা করছিল।তার সামনে ভিক্ষার জুলিতে ছিল এক বান্ডিল পেন্সিল।এক ব্যবসা প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা ট্রেনে ওঠার আগে তার ঝুলিতে একটি ডলার ফেলে দিয়ে কিছুক্ষন পরে কী ভেবে কয়েকটি পেন্সিল তুলে নিয়ে বললেন,’এক ডলারে এই কয়েকটা পেন্সিলই পাওয়া যাবে। তুমিই বা এমনি ডলারটা নেবে কেন?আমিই বা দেব কেন  এই বলে লোকটি ট্রেনে উঠে গেলেন। … বিস্তারিত পড়ুন

আকাঙ্খা

সাফল্যের চালিকাশক্তি আসে সিদ্ধিলাভের জ্বলন্ত আকাঙ্খা থেকে। নেপোলিয়ান হিল লিখেছেন,“মানুষের মন যা কল্পনা করে এবং বিশ্বাস করে মানুষ তা অর্জন করতে পারে।এক তরুণ সক্রেটিসকে জিজ্ঞাসা করেছিল,সাফল্য লাভের রহস্য কি; সক্রেটিস তাকে পরের দিন নদীর ধারে দেখা করতে বললেন।দেখা হওয়ার পর দু,জনে জলের দিকে এগোতে থাকেন এবং এক গলা জলে গিয়ে দাঁড়ালেন।হঠাৎ কিছুনাবলে সক্রেটিস ছেলের ঘাড় … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!