ফুল পাখিদের দেশে -আল জাবিরী

পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান মাহমুদ। সে আবার একটি ফুলের বাগান করল। তাতে গোলাপ, পলাশ, হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা, জুঁই, চামেলী, গাঁদা, রক্তজবাসহ আরো অনেক ফুলগাছ লাগিয়েছে। সে প্রতিদিন বাগানে গিয়ে ফুলের গন্ধ শুঁকে এবং বাগানে আসা পাখিদের গান শোনে তাদের সাথে কথা বলে। আর পাখিরাও তাকে ভালবেসেই গান শুনায়। মাঝে মাঝে লুকিয়ে থেকে ফুল, পাখি আর প্রজাপতির মিতালী … বিস্তারিত পড়ুন

পরিণতি

একদৃষ্টে মহাকাশযানের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছি ক্যাপ্টেন ফ্রুগোর সিগন্যালের অপেক্ষায়। চোখ ঘুরিয়ে আরেকবার হেজোর দিকে তাকালাম, কন্ট্রোল রুমে আছে সে। পুরো কাচের দেয়াল ভেদ করে যোগাযোগ সৃষ্টি হলো দুই জোড়া চোখে। ভ্রূ নাচিয়ে জানতে চাইলাম কী খবর? ডান হাতের বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করলো হেজো ওকে! কিছুক্ষণ পর স্ক্রিনে ক্যাপ্টেনের সিগন্যাল এলো স্টার্ট! হেজোকে নির্দেশ দিলাম মহাকাশযান … বিস্তারিত পড়ুন

বুবুর জন্য–জুবায়ের হুসাইন

হঠাৎ করে আকাশটা কেমন জানি মেঘলা হয়ে উঠল। পড়ন্ত বিকেলের রক্তিম আভা কেবল চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। একটু পর সন্ধ্যা নামবে। কিছুক্ষণ আগেও আকাশটা জুড়ে টুকরো টুকরো সাদা মেঘেরা উড়ে চলছিল পেঁজা তুলোর মতো। গলার মালা তৈরি করে কয়েকটা পাখিও উড়ে গেছে, দেখেছে ও। মিলন বলেছে ওগুলো গাঙচিল। দিনের শেষে নীড়ে ফিরছে। হেমন্ত চলছে। … বিস্তারিত পড়ুন

ভুতো আর ঘোঁতো–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

ভুতো ছিল বেঁটে আর ঘোঁতো ছিল ঢ্যাঙা। ভুতো ছিল সেয়ানা, আর ঘোঁতো ছিল বোকা। দুজনে মিলে গেল কুলগাছ থেকে কুল পড়াতে। ঘোঁতো কিনা ঢ্যাং, সে দুহাতে খালি কুলই পাড়ছে। ভুতো কিনা বেঁটে, তাই সে কুল নাগাল পায় না, সে শুধু ঘোঁতোর পাড়া কুল খাচ্ছে। কুল পাড়া হয়ে গেলে ঘোঁতো বলল, ‘কুল কইরে?’ ভুতো বলল, ‘নেই। … বিস্তারিত পড়ুন

সদর ও অন্দর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিপিনকিশোর ধনীগৃহে জন্মিয়াছিলেন, সেইজন্যে ধন যে পরিমাণে ব্যয় করিতে জানিতেন তাহার অর্ধেক পরিমাণেও উপার্জন করিতে শেখেন নাই। সুতরাং যে গৃহে জন্ম সে গৃহে দীর্ঘকাল বাস করা ঘটিল না। সুন্দর সুকুমারমূর্তি তরুণ যুবক, গানবাজনায় সিদ্ধহস্ত, কাজকর্মে নিরতিশয় অপটু; সংসারের পক্ষে সম্পূর্ণ অনাবশ্যক। জীবনযাত্রার পক্ষে জগন্নাথদেবের রথের মতো অচল; যেরূপ বিপুল আয়োজনে চলিতে পারেন সেরূপ আয়োজন সম্প্রতি … বিস্তারিত পড়ুন

সম্পত্তি-সমর্পণ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-প্রথম পরিচ্ছেদ

বৃন্দাবন কুণ্ড মহাক্রুদ্ধ হইয়া আসিয়া তাহার বাপকে কহিল, ‘আমি এখনই চলিলাম।’ বাপ যজ্ঞনাথ কুণ্ড কহিলেন, ‘বেটা অকৃতজ্ঞ, ছেলেবেলা হইতে তোকে খাওয়াইতে পরাইতে যে ব্যয় হইয়াছে তাহার পরিশোধ করিবার নাম নাই, আবার তেজ দেখো না।’ যজ্ঞনাথের ঘরে যেরূপ অশনবসনের প্রথা তাহাতে খুব যে বেশি ব্যয় হইয়াছে তাহা নহে। প্রাচীন কালের ঋষিরা আহার এবং পরিচ্ছদ সম্বন্ধে অসম্ভব … বিস্তারিত পড়ুন

সম্পত্তি-সমর্পণ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

একদিন এইরূপে আম্রতরুচ্ছায়াশীতল গ্রামের পথে যজ্ঞনাথ মধ্যাহ্নে বেড়াইতেছিলেন, দেখিলেন একজন অপরিচিত বালক গ্রামের ছেলেদের সর্দার হইয়া উঠিয়া একটা সম্পূর্ণ নূতন উপদ্রবের পন্থা নির্দেশ করিতেছে, অন্যান্য বালকেরা তাহার চরিত্রের বল এবং কল্পনার নূতনত্বে অভিভূত হইয়া কায়মনে তাহার বশ মানিয়াছে। অন্য বালকেরা বৃদ্ধকে দেখিয়া যেরূপ খেলায় ভঙ্গ দিত এ তাহা না করিয়া চট্‌ করিয়া আসিয়া যজ্ঞনাথের গায়ের … বিস্তারিত পড়ুন

সম্পত্তি-সমর্পণ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-তৃতীয় পরিচ্ছেদ

যজ্ঞনাথের ঘরে নিতাই পালের এই অভাবনীয় সমাদর দেখিয়া গ্রামের লোক আশ্চর্য হইয়া গেল। বুঝিল, বৃদ্ধ আর বেশি দিন বাঁচিবে না এবং কোথাকার এই বিদেশী ছেলেটাকেই সমস্ত বিষয় দিয়া যাইবে। বালকের উপর সকলেরই পরম ঈর্ষা উপস্থিত হইল এবং সকলেই তাহার অনিষ্ট করিবার জন্য কৃতসংকল্প হইল। কিন্তু বৃদ্ধ তাহাকে বুকের পাঁজরের মতো ঢাকিয়া বেড়াইত। ছেলেটা মাঝে মাঝে … বিস্তারিত পড়ুন

স্বর্ণমৃগ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

আদ্যানাথ এবং বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী দুই শরিক। উভয়ের মধ্যে বৈদ্যনাথের অবস্থাই কিছু খারাপ। বৈদ্যনাথের বাপ মহেশচন্দ্রের বিষয়বুদ্ধি আদৌ ছিল না, তিনি দাদা শিবনাথের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া থাকিতেন। শিবনাথ ভাইকে প্রচুর স্নেহবাক্য দিয়া তৎপরিবর্তে তাঁহার বিষয়সম্পত্তি সমস্ত আত্মসাৎ করিয়া লন। কেবল খানকতক কোম্পানির কাগজ অবশিষ্ট থাকে। জীবনসমুদ্রে সেই কাগজ-কখানি বৈদ্যনাথের একমাত্র অবলম্বন। শিবনাথ বহু অনুসন্ধানে তাঁহার … বিস্তারিত পড়ুন

স্বর্ণমৃগ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

মোক্ষদা নিতান্ত বিরক্ত হইয়া স্বামীকে জানাইলেন যে, পুরুষমানুষের মাথায় যে মস্তিষ্কের পরিবর্তে এতটা গোময় থাকিতে পারে, তাহা তাঁহার পূর্বে ধারণা ছিল না। বলিলেন, “একটু নড়িয়াচড়িয়া দেখো। হাঁ করিয়া বসিয়া থাকিলে কি আকাশ হইতে টাকা বৃষ্টি হইবে।” কথাটা সংগত বটে এবং বৈদ্যনাথের একান্ত ইচ্ছাও তাই, কিন্তু কোন্‌ দিকে নড়িবেন, কিসের উপর চড়িবেন, তাহা যে কেহ বলিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!