ক্ষুধিত পাষাণ–১ম পর্ব–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমি এবং আমার আত্মীয় পূজার ছুটিতে দেশভ্রমণ সারিয়া কলিকাতায় ফিরিয়া আসিতেছিলাম, এমন সময় রেলগাড়িতে বাবুটির সঙ্গে দেখা হয় । তাঁহার বেশভূষা দেখিয়া প্রথমটা তাঁহাকে পশ্চিমদেশীয় মুসলমান বলিয়া ভ্রম হইয়াছিল । তাঁহার কথাবার্তা শুনিয়া আরো ধাঁধা লাগিয়া যায় । পৃথিবীর সকল বিষয়েই এমন করিয়া আলাপ করিতে লাগিলেন , যেন তাঁহার সহিত প্রথম পরামর্শ করিয়া বিশ্ববিধাতা সকল … বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষুধিত পাষাণ–২য় পর্ব–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আড়াই শত বৎসরের কৃষ্ণবর্ণ যবনিকা ঠিক আমার সম্মুখে দুলিতেছে- ভয়ে ভয়ে একটি ধার তুলিয়া ভিতরে দৃষ্টিপাত করি — সেখানে বৃহৎ সভা বসিয়াছে , কিন্তু গাঢ় অন্ধকারে কিছুই দেখা যায় না। হঠাৎ গুমট ভাঙিয়া হু হু করিয়া একটা বাতাস দিল — শুস্তার স্থির জলতল দেখিতে দেখিতে অপ্সরীর কেশদামের মতো কুঞ্চিত হইয়া উঠিল, এবং সন্ধ্যাছায়াচ্ছন্ন সমস্ত বনভূমি … বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষুধিত পাষাণ–৩য় পর্ব–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সাজ পরা একটি ভীষণ কাফ্রি খোজা কোলের উপর খোলা তলোয়ার লইয়া দুই পা ছড়াইয়া দিয়া বসিয়া ঢুলিতেছে। দূতী লঘুগতিতে তাহার দুই পা ডিঙাইয়া পর্দার এক প্রান্তদেশ তুলিয়া ধরিল। ভিতর হইতে একটি পারস্য-গালিচা-পাতা ঘরের কিয়দংশ দেখা গেল। তক্তের উপরে কে বসিয়া আছে দেখা গেল না — কেবল জাফরান রঙের স্ফীত পায়জামার নিম্নভাগে জরির-চটি-পরা দুইখানি ক্ষুদ্র সুন্দর … বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষুধিত পাষাণ–৪য় পর্ব–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কটাক্ষের আঘাত । কী অসীম ঐশ্বর্য , কী অনন্ত কারাগার । দুই দিকে দুই দাসী বলয়ের হীরকে বিজুলি খেলাইয়া চামর দুলাইতেছে । শাহেনশা বাদশা শুভ্র চরণের তলে মণিমুক্তাখচিত পাদুকার কাছে লুটাইতেছে ; বাহিরের দ্বারের কাছে যমদূতের মতো হাবশি দেবদূতের মতো সাজ করিয়া , খোলা তলোয়ার হাতে দাঁড়াইয়া । তাহার পরে সেই রক্তকলুষিত ঈর্ষাফেনিল ষড়যন্ত্রসংকুল ভীষণোজ্জ্বল … বিস্তারিত পড়ুন

গিন্নি–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছাত্রবৃত্তি ক্লাসের দুই-তিন শ্রেণী নীচে আমাদের পণ্ডিত ছিলেন শিবনাথ। তাঁহার গোঁফদাড়ি কামানো, চুল ছাঁটা এবং টিকিটি হ্রস্ব। তাঁহাকে দেখিলেই বালকদের অন্তরাত্মা শুকাইয়া যাইত। প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায়, যাহাদের হুল আছে তাহাদের দাঁত নাই। আমাদের পণ্ডিতমহাশয়ের দুই একত্রে ছিল। এ দিকে কিল চড় চাপড় চারাগাছের বাগানের উপর শিলাবৃষ্টির মতো অজস্র বর্ষিত হইত, ও দিকে তীব্র বাক্যজ্বালায় … বিস্তারিত পড়ুন

চিত্রকর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় পর্ব

রঙ্গলাল চিত্রবিদ্যায় হঠাৎ নামজাদা হয়ে উঠলেন । অর্থাৎ, দেশের রসিক লোক তাঁর রচনার অদ্ভুতত্ব দিয়ে খুব অট্টহাস্য জমালে । তারা যেরকম কল্পনা করে তার সঙ্গে তাঁর কল্পনার মিল হয় না দেখে তাঁর গুণপনার সম্বন্ধে তাদের প্রচণ্ড অবজ্ঞা হল । আশ্চর্য এই যে , এই অবজ্ঞার জমিতেই বিরোধ-বিদ্রূপের আবহাওয়ায় তাঁর খ্যাতি বেড়ে উঠতে লাগল ; যারা … বিস্তারিত পড়ুন

বন্ধুত্ব

বিশাল নদী।তাতে বাস করে এক কুমির।নদীর কুল ঘষে বেড়ে উঠা এক বিশাল বৃক্ষ।তাতে বাস করত এক বানর।দুই ভবনের দুই বাসিন্দা দূর থেকে একে অপরের দেখা।তার পর পরিচয় অতপর বন্ধুত্ব ও অন্ত রঙ্গতা।প্রতিদিন চলে উভয়ের মধ্যে ভাব বিনিময়।চোখের ইশারায় চলে প্রেমের আবেদন ও নিবেদন।সম্পর্ক গড়িয়ে গেল গভীর বন্ধুত্বে।বানরের মধ্যে সরলতা থাকলেও কুমিরের মধ্যে কোন সরলতা ছিল … বিস্তারিত পড়ুন

অহঙ্কারের পরিণতি অনুবাদ : -আসিফ হাসান

অনেক অনেক দিন আগের কথা। তখনো হল্যান্ডের সাথে ফ্রিজল্যান্ড যুক্ত হয়নি। সেই সময়ে ফ্রিজল্যান্ডের বৃহত্তম আর সবচেয়ে সমৃদ্ধ শহর ছিল স্টাভোরেন। শহরটি বিশাল বিশাল প্রাসাদে ভরা ছিল। বড় বড় ধনী ব্যবসায়ী বাস করতেন সেসব প্রাসাদে। অগাধ সম্পদের অধিকারী হওয়ায় তারা ছিলেন বেশ অহঙ্কারী। দুনিয়ায় কাউকেই তারা পরোয়া করতেন না। মনে করতেন সবকিছুই তাদের হাতের মুঠোয়। … বিস্তারিত পড়ুন

অভিমান -তমসুর হোসেন

রাগ করে মাহমুদ ধানখেতে লুকিয়ে থাকল। চাষিরা আউশ ধানের সাথে আমনের বীজ মিশিয়ে দেন। সেই চারা আশ্বিনে সবল হয়ে ওঠে। দেউলা বিলে চাষিরা এমন করেই ধান বোনেন। এসব খেত এতটা জংলাটে হয় যে মানুষ খুন করলেও কেউ টের পাবে না। সকালে মনটা বিগড়ে গেল মাহমুদের। স্কুলের ছাত্ররা নীলসাগরে যাবে পিকনিক করতে। মাকে বলেছে সে। পঞ্চাশ … বিস্তারিত পড়ুন

অভিভাবক -সুমাইয়্যা সিদ্দীকা

দোতলা বাড়িটার সামনের অংশজুড়ে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগানটা সহজেই যে কারোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাগান আলো করে টকটকে লাল গোলাপ ফুটে আছে বেশ কিছু। একটা বোগেনভেলিয়া ও মাধবীলতার ঝাড় বাড়িটার সৌন্দর্যকে যেন বহু গুণে বাড়িয়ে তুলেছে। সাজানো-গোছানো বাগানটা বাড়ির মালিকের সৌন্দর্যবোধ আর শিল্পমনের স্বাক্ষর বহন করছে। নিষ্প্রাণ দৃষ্টিতে বাগানটা দেখে নিয়ে ডোরবেলের সুইচে হাত রাখলেন লায়লা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!