কাকের গল্প- আইভি চট্টোপাধ্যায়

এ বছরে খুব গরম পড়েছে। ভোর না হতেই রোদের তাত বাড়তে থাকে, আর বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামলেও গরম কমে না। মাঝে মাঝে বিকেলের দিকে একটু বাতাস দেয়। কিন্তু চারদিকে বড় বড় উঁচু উঁচু বাড়ি, আকাশ দেখা যায় না এমন উঁচু বাড়িও আছে। ঘরে ঘরে যে বেশ বাতাস খেলে বেড়াবে সে উপায় নেই। এবছর তেমন করে … বিস্তারিত পড়ুন

গোফাগুন–কুলদা রায়

মাকে বলব না। কাউকে বলব না। বলা যাবে না। সকাল থেকেই রোদ উঠেছে। ফুল ফুটেছে। হাতি নাচছে। ঘোড়া নাচছে। আজ অন্য কিছু হবে। ভিন্নতর কিছু হবে। যে লোকটিকে চিনি তাকে তো চিনিই না। দাদা বলল, চল না, চল না যাই। দাদা বলছে যাবে। দাদা কিন্তু যাবে না। অথচ যেতে চায়। অধীর হয়ে বলছে, চল না … বিস্তারিত পড়ুন

“বটগাছ”– মোঃ জাহিদুল ইসলাম

করিম মিঞা একজন সাধারণ মানুষ। বাবার আদি ভিটে মাটিতেই নিজের আবাস গেরে আছেন। জায়গা-জমি যা ছিলো একে একে সব বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমানে জায়গা-সম্পত্তি বলতে এ পৈতৃক ভিটেটাই আছে। করিম মিঞার বাবা সৈয়দ শওকত মিঞা সবসময় বলতেন, আশে-পাশের চার-দশ গ্রামের সবার সম্পদ বিক্রি করলেও তাঁর ভিটের সম্পদের মত কেউ প্রভাবশালী হতে পারবেনা। করিম মিঞা শুনেছে … বিস্তারিত পড়ুন

সানাইয়া–রহস্য গল্প

  মধ্য প্রাচ্যের একটি দেশ কাতার । আমার ভাইয়া কাতার আর্ম-ফোর্স এ চাকরী করে । ভাইয়ার কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে বিশ্বাস করলাম, তার একটি কারন ভাইয়া মিথ্যা বলেনা, দ্বিতীয় কারন যে বিষয় নিয়ে ভাইয়া ঘটনাটি বলেছে তাতে মিথ্যা বলার প্রশ্নই আসে না । ঘটনাটি হচ্ছে…… ভাইয়ার খুব ভাল বন্ধু জমির ভাই । আমি ছোট বেলা … বিস্তারিত পড়ুন

সাপ্পোরো ষ্টেশন

হোক্কাইডো বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেইন গেট থেকে বের হয়ে ডান দিকে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই সাপ্পোরো ষ্টেশন । বেশ বড় ষ্টেশন । এই সাপ্পোরো ষ্টেশন কে কেন্দ্র করে আছে অনেক গুলো শপিং সেন্টার দোকান আর রেস্টুরেন্ট সাপ্পোরো শহরটা অনেকটা পর্যটক কেন্দ্রিক । প্রতি দিন থাকে অনেক লোক সমাগম এবং বিদেশি পর্যটকের ভিড় । এই শহরটা বেশ সুপরিকল্পিত … বিস্তারিত পড়ুন

পণরক্ষা–রাবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

বংশীবদন তাহার ভাই রসিককে যেমন ভালোবাসিত এমন করিয়া সচরাচর মাও ছেলেকে ভালোবাসিতে পারে না। পাঠশালা হইতে রসিকের আসিতে যদি কিছু বিলম্ব হইত তবে সকল কাজ ফেলিয়া সে তাহার সন্ধানে ছুটিত। তাহাকে না খাওয়াইয়া সে নিজে খাইতে পারিত না। রসিকের অল্প কিছু অসুখবিসুখ হইলেই বংশীর দুই চোখ দিয়া ঝর‌্ঝর্ করিয়া জল ঝরিতে থাকিত। রসিক বংশীর চেয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

পণরক্ষা–রাবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

শৈবালের উপর একটি পতঙ্গ তাহার স্বচ্ছ দীর্ঘ দুই পাখা মেলিয়া দিয়া স্থিরভাবে রৌদ্র পোহাইতেছে। কথা ছিল রসিক আজ গোপালকে লাঠিখেলা শিখাইবে— গোপাল তাহার আশু কোনো সম্ভাবনা না দেখিয়া রসিককে ভাঁড়ের মধ্যেকার মাছ ধরিবার কেঁচোগুলাকে লইয়া অস্থিরভাবে ঘাঁটাঘাঁটি করিতে লাগিল— রসিক তাহার গালে ঠাস্‌ করিয়া এক চড় বসাইয়া দিল। কখন তাহার কাছে রসিক পান চাহিবে বলিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

পণরক্ষা–রাবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৩য় অংশ

  রসিকের ভক্তশ্রেষ্ঠ গোপাল আজকাল অভিমান করিয়া দূরে দূরে থাকে। রসিকের সামনে দিয়া তাহাকে দেখাইয়া দেখাইয়া একাই মাছ ধরিতে যায়, আগেকার মতো তাহাকে ডাকাডাকি করে না। আর, সৌরভীর তো কথাই নাই। রসিকদাদার সঙ্গে তাহার আড়ি, একেবারে জন্মের মতো আড়ি— অথচ সে যে এতবড়ো একটা ভয়ংকর আড়ি করিয়াছে সেটা রসিককে স্পষ্ট করিয়া জানাইবার সুযোগ না পাইয়া … বিস্তারিত পড়ুন

পণরক্ষা–রাবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৪র্থ অংশ

নাই, ঘর নাই তবু ঘরের অভাব নাই, সম্মুখে অন্ধকার রাত্রি আসিতেছে তবু সে নিরুদ্‌বেগে নিরুদ্দেশের অভিমুখে ছুটিয়া চলিয়াছে— এই কথা ভাবিতে ভাবিতে রসিক একদৃষ্টে জলের স্রোতের দিকে চাহিয়া বসিয়া রহিল— বোধ করি তাহার মনে হইতেছিল, দুর্বহ মানবজন্মটাকে এই বন্ধনহীন নিশ্চিন্ত জলধারার সঙ্গে মিশাইয়া ফেলিতে পারিলেই একমাত্র শান্তি। এমন সময় একজন তরুণ যুবক মাথা হইতে একটা … বিস্তারিত পড়ুন

পণরক্ষা–রাবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৫ম অংশ

  শুভলগ্নে বিবাহ হইয়া গেল। অন্যান্য সকলপ্রকার দানসামগ্রীর আগে রসিক একটা বাইসিক্‌ল্‌ দাবি করিল। ৭ তখন মাঘের শেষ। সরষে এবং তিসির ফুলে খেত ভরিয়া আছে। আখের গুড় জ্বাল দেওয়া আরম্ভ হইয়াছে, তাহারই গন্ধে বাতাস যেন ঘন হইয়া উঠিয়াছে। ঘরে ঘরে গোলা-ভরা ধান এবং কলাই; গোয়ালের প্রাঙ্গণে খড়ের গাদা স্তূপাকার হইয়া রহিয়াছে। ওপারে নদীর চরে বাথানে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!