গল্পঃ ঘানি

সফেদ চামড়ার আস্তরণে ধুলো-ময়লার কারুকার্য, আর তার জিরজিরে হাড়ে ক্লান্তি আর বয়সের গভীর ছাপ। সামান্য বিশ্রামের সময় নেই তার কাছে। ঘানির বিচ্ছিরি ক্যাঁচ-ক্যাঁচ শব্দের ছন্দায়িত দ্যোতনা মাঝে মাঝে বাতাসে বিচ্যুত হয়, শিস কাটা লাঠির সপাং বাড়ির দিকে। আর্তনাদ করে না, অবোধ পশুটি। দ্রুত পা চালিয়ে যায় মনিবের নির্দেশিত পথে। সাথে সাথে ঘানিতে পিষতে থাকে সর্ষে, … বিস্তারিত পড়ুন

ইন্তেজারি

ফুলতারার ঘোর কাটে না। কাটে শুধু তার দিনরাত; ঘোরের মধ্যে। সময় নাই অসময় নাই আধাঘুম-আধাজাগায় মন্থর অলসতার ঘোর, ঘুষঘুষে জ্বরের যাওয়া-আসার মাঝে তন্দ্রার মতোন এক ঘোর, কপালে জলপট্টি-গলায় মাফলার-গায়ে কাঁথার ভাসাভাসা ঘোর, অর্ধেক দেখার পর টুটে যাওয়া মধুর খোয়াবের মোহমুগ্ধতার এক ঘোর– তাকে জড়িয়ে রাখে দিনের পর দিন। ঘোরের মধ্যেই সে চাঁদসূর্য-মেঘরৌদ্র দেখে, ঘরঘাটউঠানে চলেফিরে, … বিস্তারিত পড়ুন

করাল এ নগরে

মধ্যদুপুরের তীব্র আকাশ মাথার ওপর, গাঢ় নীলরঙা। স্থানে স্থানে ঈশ্বরের তামাকের ধোঁয়া শুভ্র মেঘমালা। সে পটভূমিকায় কালো সরলরেখা টেনে উড়ে যায় দুটো পাটকিলে চিল, কিরণ তাই ঘাড় বাঁকিয়ে দেখে। বয়েসী চোখের উত্তল কর্নিয়াবরণে চিলের ক্ষুদ্র ছায়া পড়ে। এদিকে মূল বিম্ব গঠিত হয় অক্ষিকোটরের রেটিনাতে, যেখান থেকে দ্বিতীয় ক্র্যানিয়াল নার্ভ নাম্নী স্নায়ুতন্তু বিম্বটিকে শেষমেশ বয়ে নিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

উদ্ভট ঊটের সওয়ারী

সত্তুরের দশকে অনেক উঠতিযুবক আর পড়তিযুবকের কাফেলার সাথে আমাদের মামা-চাচারাও পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশে, জীবনবদলের হাতছানি/নিশির ডাকে সাড়া দিয়ে। আশির দশকের মাঝামাঝি যখন তাঁরা ছুটিতে বাড়ি ফিরতে লাগলেন, আমরা স্কুলফেরতা এসে তাঁদের আশ্চর্য সাবান আর ট্যাল্কগন্ধী লাগেজের ডালা খোলা দেখতে লাগলাম, তখন থেকে আমরা/আমি একটি অদ্ভূত বিষয়ের সাথে পরিচিত। সেটা হচ্ছে, এইসব আর কোনোদিন দেশে ফিরতে … বিস্তারিত পড়ুন

কবিয়াল

সৈকতের লাল কাঁকড়ার মত হুট করে কোথায় যেন গায়েব হয়ে গেল লাল টকটকে সূর্যটা। বালুর কোন গর্তে লুকিয়েছে সূর্যটা- ছানি পড়া চোখে মাঝি ভাল করে দেখতে পায়নি। নাম মাঝি হলেও এই বেয়াল্লিশ বছরের দীর্ঘ জীবনে লগি-বৈঠা ছুঁয়েও দেখেনি কখনো। ভাল করে সাঁতারও জানে না। পুকুর ঘাটে কোমর পানিতে নেমে গোসল করেই জীবন গেছে। গলা পানিতে … বিস্তারিত পড়ুন

এ্যাপ্লিকেশন

অনেক অনেক দিন আগে। আমাদের একটি পারিবারিক ছাগল ছিলো। দুধ দেয়ার জন্য বিশেষ আদর-যত্ন করে পালা হতো ছাগলটিকে। আমার মা গরুর দুধ খেতেন না তখন, বড় ভাইয়াও খেতেন না। গরুর দুধ, মাংস সব বারণ। এ্যাজমা (হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট নামেও পরিচিত) আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। বড় ভাইয়া আর আমার মায়ের ঐতিহ্যবাহী রোগটি এখন আমি বহন করছি। ঐতিহ্য খুব … বিস্তারিত পড়ুন

ছুটি কিংবা অবসরের উপাখ্যান

ধরি আমার মৃত্যু হয়েছে। অংকের দুই পাশের পক্ষের মত আমার বেহুলা আছে, আমি লক্ষ্মীন্দর। আমার নশ্বর দেহটার পাশে আমার সমস্ত সত্ত্বা বা আমার লেখনি জীবন বেহুলার রূপ ধরে স্বামীর মৃতদেহ সঙ্গে নিয়ে অকূল সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে বিলাপ করে বেড়াবে হয়তো। নারায়ণদেবের বেহুলার সেই মর্মস্পর্শী পংক্তিগুলোর মত হবে সেই বেহুলার আর্তনাদ- “জাগ প্রভু কালিন্দী নিশাচরে ঘুচাও … বিস্তারিত পড়ুন

হুমায়ূন আহমেদের চশমা

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে কিছু লিখিনি। পরের বছরও কিছু লিখতে পারিনি। এবার বেশ কিছুদিন আগে থেকে চিন্তা করেছিলাম মৃত্যু দিবসে কিছু লিখবো । সেই কারনেই এই লেখার অবতারনা। লেখাটা কোন ধরনের উচ্চমার্গের বিশ্লেষন না , কিংবা তার প্রশংসাগাথা বা নির্মম সমালোচনাও না । নেহাত একজন প্রাক্তন ভক্তের সাদাসিধে স্মৃতিচারন। ইচ্ছা ছিলো হুমায়ূনের বই … বিস্তারিত পড়ুন

ক্রুভিয়াস কিংবা এক জোড়া চোখের গল্প

১। মন্দিরের এই দিকটা অর্নির ভীষণ প্রিয়। কিছুটা নিরিবিলি আবার গাছ পালারও কমতি নেই। তবে সমস্যাটা হয় বিকেলের দিকে। ছোট ছেলেরা খেলতে আসে পাশের মাঠটাতে, ভীষণ হৈ চৈ করে। অবশ্য নিশু বলে এই হৈ চৈ দেখতে ভীষণ ভাল লাগে তার। অর্নির যে খুব খারাপ লাগে তাও কিন্তু না। তবে নিশুর সাথে একা সময় কাটাতে ভালবাসে … বিস্তারিত পড়ুন

রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই : মানুষ গড়ার কারিগর

বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যের উত্তরণকালের দিকে যখন তাকাই দেখি এক মায়াময় সাহিত্য জগৎ হাতছানি দেয়। শিশুসাহিত্য জগৎ কেবলই যে শিশুকে হাতছানি দেয় তা নয়। শিশুসাহিত্য এমনই আনন্দের জগৎ যেখানে সব বয়সের পাঠকের প্রবেশ আছে। হাতছানি দেয় ছেলে-বুড়ো সকলকেই। এখন প্রশ্ন হলো এই বাংলার শিশুসাহিত্যকে যারা তাদের মেধা-মনন আর ভালোবাসা দিয়ে সমৃদ্ধ করে গেছেন তারা কেমন ছিলেন। কেমন … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!