পাগল -মুহাম্মদ ইব্রাহিম বাহারী

বাংলাদেশের অধিকাংশ হাট-বাজারের বিভিন্ন প্রকৃতির পাগলের সংখ্যা যে দিন দিন বৃদ্ধি পাইতেছে, তাহা পাগলদরদিরা ছাড়াও অদরদিদের চোখও যেনো এড়াইয়া যাইতেছে না। বাজারের নোংরা গলিতে দোকানের বারান্দায় কাঠের টপ, দোকানের তলায়, রাস্তার ধারে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় উহাদের দেখা যায়। উহাদের মধ্যে কেহ আকাশের দিকে চাহিয়া কি যেন মন্ত্র পাঠে বিব্রত। কেউ বিড় বিড় করিয়া নিবিড় মনে তাহার … বিস্তারিত পড়ুন

পরী শুনছিস? আমার লন্ডভন্ড পাগলামি!– অতনু ব্যানার্জী

সেদিন অর্ণব দুটো কাঁচা খিস্তি মেরে বললো তুই ইমিডিয়েট কামু পড়, ইস্পেশালি দ্য ষ্ট্রেঞ্জার! বড্ড আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছিস! – পড়েছি তো! – তাও এতো কেন সিরিয়াসলি নিচ্ছিস জীবনটা! – ওটা আমার রোগ। টাইফয়েডের মতো ভুগি আমি… অফিসে, আড্ডায়, প্রেমে! প্রোজেক্ট ম্যানেজারকে ঠারেঠোরে শুনিয়ে দিই… এই যে তোমার কেলানো দাঁতের ছুরির ফলা এর ধার আমি জানি! … বিস্তারিত পড়ুন

ফাঁস

নেহারুল শুধু সমুদ্রের গর্জন শুনতে পান যেন। আর সেই মত্ত কল্লোল চিরে যেন বহুদূর থেকে সার্সির গানে মীড় হয়ে ভেসে আসে অ্যামবুলেন্সের হুঁশিয়ারি সঙ্কেত। শহরের পথে নীরন্ধ্র যানজট বসন্তের ভোরে তন্দ্রাতুর সাপের মতো বিরক্ত আলস্যভরে নড়েচড়ে রোগীবাহী যানটিকে গন্তব্যের দিকে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। চাকা লাগানো খাটিয়ার ওপরে শুয়ে নিহাদ ইসলাম নেহারুল অর্ধচৈতন্যের ঘোরে সাগরের … বিস্তারিত পড়ুন

বৃষ্টিজলে ধুয়ে যাওয়া অক্ষর

প্রায় দশ বছর পর বাবাকে দেখলাম। শেষবার যখন দেখি, আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম দোতলা বাড়ির বারান্দায় নিশ্চুপ দেয়ালের মতো। দেয়ালের কান আছে এমন কথা মাঝে মাঝে শোনা যায়, আমিও সেদিন সেই শোনা কথার আদর্শ ধরে রাখার জন্য কিছু কথা শুনে ফেলেছিলাম। নিচে দাঁড়িয়ে বাবা বলছিল, নামবি না খোকা? আমি তখন দেয়ালের মতো অনঢ়। বাবা যখন দৃষ্টিসীমার … বিস্তারিত পড়ুন

মিষ্টি নিমপাতা

নেহা বড় হয়েছে । বছর পনের বয়েস । পরের বছর মাধ্যমিক । বোর্ডের প্রথম পরীক্ষা । নেহা খুব সিরিয়াস ছিল এতদিন পড়াশুনোর ব্যাপারে । ইদানিং কম্পিউটার একটু বেশি সময় খেয়ে নেয় তার । মায়ের কাছে এই নিয়ে বকুনিও কম শুনছে না । তবুও তার হেলদোল নেই । মা কিছু বললেই বলে “লাইট, লাইট” মা জোরে … বিস্তারিত পড়ুন

সাড়া—শঙ্খ করভৌমিক

অনাদিবাবু কোনো সওদাগরী আপিসের কনিষ্ঠ কেরানী নন। মুদি দোকানও নেই তাঁর। জমি বাড়ির দালালিও করেন না। স্কুলমাস্টারিও না। বয়েস এখনও পঞ্চাশ হয় নি। একবিংশ শতাব্দীতে পঁয়ত্রিশেরও কম বয়সী একজন তথ্যপ্রযুক্তি পেশাদারের নাম অভিষেক, শুভব্রত,তন্ময় বা নিদেনপক্ষে অর্জুন না হয়ে অনাদি হতে পারে কিনা বা হওয়া উচিৎ কিনা এই নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ থাকলেও সন্দেহের কোনো … বিস্তারিত পড়ুন

সত্যিকারের গল্প–শুচিস্মিতা

“সব সত্যি। মহিষাসুর সত্যি, হনুমান সত্যি, ক্যাপ্টেন স্পার্ক সত্যি, টারজান সত্যি, অরণ্যদেব সত্যি, …” এমনকি ধরো মা দুগগার শাড়ীতে অসংখ্য চুমকি, বিসর্জনের পর সেগুলৈ যে কোজাগরীর আকাশে তারা হয়ে ফোটে – তাও তো সত্যিই। ভারী ইচ্ছে হয় একবার হাতে ছুঁয়ে দেখি কতটা সত্যি। ভাসানের আগে ছুঁলে দোষ নেই – সেটা আমি জানি। অনেকেই সে সময় … বিস্তারিত পড়ুন

অন্য রকম রমিজ -মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস

রমিজকে দেখে সবাই হতবাক। যে শহর নিয়ে এত দুশ্চিন্তা, সেই শহর থেকে রমিজ ভালো হয়ে ফিরবে, তা কি ভাবা যায়? মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ওর এমন পরিবর্তন সকলের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়। পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান রমিজ। সংসারে কোন অভাব নেই। পিতা তাজ মোহাম্মদ প্রাইমারির শিক্ষক। মা ফারজানা রহমান গৃহিণী। দু’জনই শিক্ষিত। তাদের ইচ্ছা ছেলেটাকে বড় … বিস্তারিত পড়ুন

আমার শহর— ঈপ্সিতা পালভৌমিক

এখানে আকাশ নীল। নীলের বাড়াবাড়িই। বাড়াবাড়ি তো সবই। বড়বড়ও। এক্স এক্স এল। এক্স এস খুঁজে পাওয়া দায়। আর এদিকে সব এক্সেস। যেদিকে তাকাও। উপরে তাকাও তো এক্সেল কাচা এক্সট্রা হোয়াইট মেঘ। মুখ তুলে তাকাও তো এক্সট্রা হোয়াইটেনিং টুথপেস্টচর্চিত স্মাইল। সামনে তাকাও তো সুপার স্বচ্ছ দরজা। দরজা যে আদৌ আছে তা-ই বোঝা দায়। প্রথম কদিন তো … বিস্তারিত পড়ুন

প্যাঁচাদের পাড়া –বৈজয়ন্ত চক্রবর্তী

সবাই জানত শুধু ঐ বাড়িটায় কোনো প্যাঁচা থাকে না। বাড়িটার আধোঅন্ধকার চৌহদ্দির বাইরে জড়াজড়ি হয়ে থাকা ঝুপসি আম পেয়ারা আর বেলগাছের সবুজ ডালপালায় সন্ধে নামতে না নামতেই পাটকিলে বুটিবুটি প্যাঁচাদের ঠেক বসে যেত। কিছু প্যাঁচা বসত করত হাড়পাঁজরা বের করে ঠাঠা হাসতে থাকা বাড়িগুলোর ঘুলঘুলিতে, আর ঠাকুরবাড়ির চাতালের ডানদিকে ভেঙে পড়া ঘরগুলোর কুলুঙ্গিতে। আমাদের মতো … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!