উজ্জ্বলকুমার দে’র অন্যায় ও শাস্তি– বিক্রম পাকড়াশি

উজ্জ্বলকুমার দে চোর। সে যদি আজকে নবীনা সিনেমার ফুটে থাকতো, তাহলে মাজারের পাশের গলি দিয়ে দৌড়ে দশ গলির এক গলির মধ্যে লুকিয়ে পড়তে পারতো। নিদেনপক্ষে যদি যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের সামনে থেকে বক্তিয়ারশা রোডে ঢুকে পড়তো, তাহলেও ধরা না পড়ার একটা আশা ছিলো। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, যে সে এর কোনওটাই করে উঠতে পারে নি। আর … বিস্তারিত পড়ুন

শিকারি || মুহম্মদ জাফর ইকবাল ||

সানি ডাইনিং টেবিলে বসে ট্রনকে বলল, ‘আমাকে এক কাপ গরম কফি দাও। কুইক।’ ট্রন সানির কাজকর্মে সাহায্য করার জন্য সদ্য কিনে আনা একটা গৃহস্থালি রোবট। সে বলল, ‘গরম কথাটি খুবই আপেক্ষিক। কারও কারও কাছে মনে হয় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হচ্ছে গরম। কেউ কেউ মনে করে, ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হচ্ছে গরম। কাজেই আপনার সুনির্দিষ্টভাবে বলা উচিত … বিস্তারিত পড়ুন

শিকারোক্তি– শঙ্কর সরকার

শূয়োরের মাংসের নাম শুনলে আমার দেশের বাড়ির কথা মনে পড়ে যায়। ছোটবেলাটা প্রায় শুধু শূয়োর খেয়ে বড় হয়েছি। মাসির হাতের রান্না, মামীর হাতের রান্না এবং দিদিমার হাতের রান্না, তবে বেশিরভাগটাই দিদিমার হাতের রান্না খেয়েছি ছোটবেলায় এবং ওনার কাছেই বড় হয়েছি। ছোটবেলায় অবশ্য আমার মা কে জানতাম না। কারণ আমার মা আমায় ছোটবেলাতেই দেশে রেখে কলকাতায় … বিস্তারিত পড়ুন

হেরুকের বীণা– অদিতি ফাল্গুনী

“রাজার ভিত্তি হলো রাজকোষ ও সৈন্যবাহিনী, সৈন্যবাহিনীর ভিত্তি হলো রাজকোষ। আবার সৈন্যবাহিনী হলো সমস্ত ধর্মের (কর্তব্যসমূহের) ভিত্তি। যে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে সমস্ত প্রজামণ্ডলী।’ মহাভারত: ১২, ১৩০, ৩৫ “তুমি সিংহের মতো সব কৌমগুলোকে ভক্ষণ করে। ব্যাঘ্রের মতো শত্রুদের পরাস্ত কর। শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ্যশ্রেণী ছাড়া অন্য সকল প্রজামণ্ডলীই রাজার ভক্ষ্য। জোঁক যেভাবে রক্ত শোষণ করে, রাজারও সেভাবেই … বিস্তারিত পড়ুন

ডকইয়ার্ড থেকে কিছুক্ষণের বিরতি– সায়ন্তন গোস্বামী

আজকে ডকইয়ার্ড ভোঁভা – ছুটি। না, ঠিক ছুটি নয়, আজ স্ট্রাইক, অর্থাৎ ছুটিই। প্রায় সাড়ে-ছ বছর কাজ করছি, এই প্রথম এমন স্ট্রাইক হলো। কারণ? … মারপিট। দুই দলের মধ্যে তুমুল মারপিট হলো গতকাল দুপুরে, আমি দেখলাম। অনেকেই দেখলো, দূর থেকে। মারপিট কেন হয়েছে, সেটা ঠিক জানিনা। বক্সীর দলের কোন ছেলে নাকি তোলাবাজীর তিন হাজার সাতশো … বিস্তারিত পড়ুন

পুত্রযজ্ঞ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বৈদ্যনাথ গ্রামের মধ্যে বিজ্ঞ ছিলেন সেইজন্য তিনি ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া বর্তমানের সমস্ত কাজ করিতেন। যখন বিবাহ করিলেন তখন তিনি বর্তমান নববধূর অপেক্ষা ভাবী নবকুমারের মুখ স্পষ্টতররূপে দেখিতে পাইয়াছিলেন। শুভদৃষ্টির সময় এতটা দূরদৃষ্টি প্রায় দেখা যায় না। তিনি পাকা লোক ছিলেন সেইজন্য প্রেমের চেয়ে পিণ্ডটাকেই অধিক বুঝিতেন এবং পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা এই মর্মেই তিনি বিনোদিনীকে … বিস্তারিত পড়ুন

কৈলাসবাসীর কলকাতা যাত্রা– ইন্দিরা মুখার্জি

(১) মা আসেন প্রতিবছর। মা জানতেও পারেন না দেশের কী অবস্থা, দশের কী হাল। তবুও দেশ ও দশ প্রতি অণুপল শুনতে থাকে মায়ের আগমনের প্রতিধ্বনি। এবার মা আসছেন বদলের বঙ্গে। সেটাই বড়কথা। মায়েরও হাওয়াবদল হবে আশা করা যায়। কিন্তু প্রতিবছরের মত বাজারের দাম বদলায়না। রাস্তাঘাট সারাই হয়না। রাজনীতির অশুভ আঁতাত, খরা-অতিবৃষ্টির টানাপোড়েনে রোগের হ্রাস-বৃদ্ধি, প্লাসটিক … বিস্তারিত পড়ুন

গড্ডলিকার গল্প– শমীক মুখোপাধ্যায়

চায়ে চুমুক দিতে দিতে অলস ভঙ্গিতে রাস্তায় চলমান ট্রাফিকের দিকে দৃষ্টি মেলে রেখেছিল মৈনাক। আর একেবারে তার চোখের সামনেই ঘটে গেল ঘটনাটা। একটা বেওয়ারিশ কুকুরছানা, খুব বেশি হলে হয় তো কয়েক দিন বয়েস হবে, পৃথিবী সম্বন্ধে একেবারে অনভিজ্ঞ, ভরা মার্কেটের মাঝে ছোট্ট শরীরটা নিয়ে রাস্তা পার হতে যাচ্ছিল, আর দু’পা চলামাত্র হুড়মুড়িয়ে তার ওপর এসে … বিস্তারিত পড়ুন

গহ্বরতীর্থের কুশীলব—মলয় রায়চৌধুরী

খাজুরাহো মন্দিরের দেয়াল থেকে মাটিতে লাফাবার সময়, ঘুরঘুরে পোকার মুখে পাঠানো আদেশ তামিল করার জন্যে, বাতাসের মাঝপথে, নিজেকে পাষাণ মূর্তি থেকে রক্তমাংসের মানুষে পালটে নিয়েছিল কুশাশ্ব দেবনাথ নামে স্বাস্থ্যবান যুবকটি, যে কিনা হাজার বছরেরও বেশি চাণ্ডেলাবাড়ির একজন গতরি, ভারি-পাছা, ঢাউসবুক উলঙ্গ দাসীর ঠোঁটে ঠোঁট, যোনিতে লিঙ্গ, আর স্তনে মুঠো দিয়ে ঠায় দাঁড়িয়েছিল । এতকাল কত … বিস্তারিত পড়ুন

যোদ্ধা– শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

(১) আমি তখন যুদ্ধক্ষেত্রে উঠে দাঁড়িয়েছিলাম। পায়ের একদিক থেকে রক্ত ঝরে যাচ্ছে তখনো, তবে বেশ কমে এসেছে। বাঁধন দিয়েই আটকেছিলাম। চারপাশে শুধু মানুষের স্তুপ। তার মধ্যেই আমার মত কয়েকজন ছটফট করছে। কারোর হাত, কারোর পা, কারোর মাথা চোট পেয়েছে। আর বাকি যারা পড়ে আছে, উঠছেনা, তারা সব মৃত মানুষ। মাঠটার চারপাশে কিছু গাছ ছিল। গাছগুলোতে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!