কয়েকজন অপঘাতক

ভোর ছয়টা তখনো বাজেনি, জীবন্ত রেললাইনের লোহার পাতগুলো টপকে টপকে মৃত লাইনের ওপর বসা বাজারটার দিকে তাক করে হাঁটতে থাকে সে। সেখানে এলোমেলো ছড়ানো-ছিটানো নানা পদের কবুতরের ঝুড়ি ও খাঁচা। ঝুড়ির মালিকেরাও নানা বয়সের, নানা শ্রেণির। বাসিমুখে ক্রেতা-বিক্রেতার সরব দরাদরিতে সকালের মসৃণ হাওয়া কেটে কেটে যায়। কিশোর এক বিক্রেতা আটটা গিরিবাজ নিয়ে বোকার মতো দাঁড়িয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

ঙানির গল্প

অফিসে যাচ্ছিলাম। গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল ট্রাফিক সিগন্যালে। গাড়ির জানালায় টোকা দিচ্ছিল এক ভিক্ষুক। কাচের গায়ে তার আঙুলের ডগার মৃদু আঘাতের শব্দ নরম: টুক্ টুক্ টুক্। জুলজুলে চোখে সে তাকিয়ে ছিল আমার মুখের দিকে। তার চোখ হলুদ, চোখের কোণে লেগে-থাকা পিঁচুটিও হলদেটে। ঠোঁট ফাটা, বাম গালে বিরাট এক কাটা দাগ, চোয়াল তেড়া, নাক বাঁকা। তার ময়লা … বিস্তারিত পড়ুন

গণেশের মূর্তি–শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

মহাদেব বাবু মানুষটি বড় ভালো। দোষের মধ্যে তিনি গরিব। নুন আসতে পানতা ফুরোয়। আর সেইজন্যে বাড়িতে তাঁকে যথেষ্ট গঞ্জনা সহ্য করতে হয়। তাঁর স্ত্রী মনে করেন ভালোমানুষির জন্যই মহাদেববাবু কোনও উন্নতি করতে পারলেন না। একটা দোকানে সামান্য কর্মচারীর কাজ করতেন তিনি। সামান্য যা পান তা থেকেও গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করেন। কেউ ধারটার করলে শোধ চাইতে পারেন … বিস্তারিত পড়ুন

সময় সরণি– শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

‘– আচ্ছা, এটা কি সুধীর বাবুর বাড়ি? হ্যাঁ, আমিই সুধীর ভট্‌চার্য। আপনি কে বলুন তো? — আমাকে ঠিক চিনবেন না। বিশেষ প্রয়োজনে আসা। ভিতরে আসতে পারি কি? — আসুন। — এখানে বোধহয় দরজায় চটি ছেড়ে ঢোকার নিয়ম তাই না? — তা নিয়ম একটা আছে বটে, যদি আপনার অসুবিধে না হয় তাহলে– — না, না, ঠিক … বিস্তারিত পড়ুন

যতীন বাবুর চারহাত– শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

‘– যতীনবাবুর দোষটা কি জানেন? — আজ্ঞে না, দোষটা কী বলুন তো! — যতীনবাবুর সবচেয়ে দোষ হল উনি বড্ড ভালোমানুষ। — অ। তা ভালোমানুষিটা দোষের খাতে ধরছেন কেন? — ধরব না মশাই? কিছু পৈতিক সম্পত্তি ছিল, ব্যাংকে দিব্যি মোটা টাকার আমানত ছিল, কয়েক লাখ টাকা শেয়ারেও ছিল। গাড়ি-বাড়ি-জমিজমায় একপ্রকার ভাসাভাসি কান্ড, কিন্তু ওই যে, ভালামানুষির … বিস্তারিত পড়ুন

ছারপোকার এপিটাফ— তারাপদ রায়

  – “আমি যখন চাকরীতে ঢুকেছি, একটা জিনিস দেখে আমার খুবই অবাক লেগেছিল প্রথম প্রথম; সেটা হল আমার সহকর্মীরা দিনের কাজ শুরু করার আগে অফিসে ঢুকে নিজ নিজ চেয়ার শূন্যে তুলে মেঝেতে ছুড়ে ফেলে দিতেন। কাজের প্রতি ঘোর বিতৃষ্ণা অথবা অফিসের নিদারুণ রাগ, ঠিক কি কারণে এতগুলি শান্ত ভদ্র কর্মচারী প্রতিদিন কাজের প্রারম্ভে এই বিচিত্র … বিস্তারিত পড়ুন

মহান পূজারী— সীমা ব্যানার্জী

“হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন” –জয়। -কি গিফট এনেছো মা আমার জন্য। -বাইরে ভীষণ স্নো পড়ছে সোনা। চারিদিকে চেয়ে দেখো শুধু দুধ সাদা বরফ। গাছ, রাস্তা, বাড়ী সব শুধু সাদা বরফে সেজেছে। এসো আজ আমি তোমাকে সেই মহান পূজারী ভ্যালেন্টাইন এর গল্প বলব। যাঁর জন্য এই দিনটা এত সুন্দর, এত লাল ফুল, বেলুন-এর ছড়াছড়ি। সব দেশে এই দিনটা … বিস্তারিত পড়ুন

সুযোগের অভাব

সেবার অনেক দিন পরে বাড়ি গেলাম। আমার বাড়িতে মানুষ বেশি নেই। বাড়িতে শুধু আমার মা আর আমার ছোটবোন থাকে। বাবা চাকুরির কারণে বাইরে থাকে আর আমি লেখাপড়ার কারণে। একটা সময় ছিল যখন একটু সময়-সুযোগ পেলেই বাড়ি চলে যেতাম কিন্তু এখন আর যেতে ইচ্ছে করে না বাড়িতে যেহেতু কোন ছেলে মানুষ থাকে না তাই বাড়িতে বাজার-সদাই … বিস্তারিত পড়ুন

সুতানাগ

বাড়িতে ঢুকে নিজের বউকে ‘টেলিভিশন থাইকা নাইমা আসা মাইয়া’ ভেবে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছিল মোবারক। না ভেবে উপায়ই বা কী! চুলের পাট, মুখের জৌলুস, শাড়ি পরার কায়দা—একেবারেই অন্যরকম। মনেই হয় না যে এটাই তার বউ সাজেদা। স্বামীর মুখ দেখে মুখ টিপে হাসে বউ। এমনটাই হবে বলে আশা ছিল তার। মোবারক কিছুক্ষণ হা করে বউয়ের দিকে তাকিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

সমাপতন — সঞ্জীব শিকদার

বন্ধুদের মধ্যে পুপলু এর একটা আলাদা খাতির। এমনকি স্কুলের মাষ্টারমশাইরা পর্যন্ত পুপলুকে একটু বাড়তি স্নেহ করেন। অবশ্যই পরীক্ষাতে বরাবর প্রথম স্থান অধিকার করা তার একটা কারণ। এছাড়া ওদের পারিবারিক একটা সুনাম এর কথা কে না জানে। বন্ধুমহলে খাতির এর কারনটা অবশ্য একটু ভিন্ন। সেটা হল পুপলু এর দাদু আর তার গল্প। প্রতি রবিবারে পুপলু এর … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!