আশ্রয়ের খোঁজে

মুখ গোমড়া থমথমে মেঘলা আকাশ থেকে সাত সকালে ঝির ঝিরে বৃষ্টির দুষ্টুমি শুরু হল। মনটা আনন্দে নেচে ওঠে। আর তক্ষুনি মনের আনন্দে মা ভৈরবী তানে গলা সাধত শুরু করে। আমিও মায়ের সুরে সুর মেলানোর চেষ্টা করি, যদিও সেটা বেসুরো হচ্ছে তবুও মা মুচকি হাসি হেসে আমাকে উৎসাহিত করছে। এদিকে বাবাও কখন ঘুম জড়ানো চোখে হেঁড়ে … বিস্তারিত পড়ুন

উপসংহার

“এরকম ছবি কারা তোলে?… কি রকম ক্যামেরা দিয়ে এইসিব ছবি তোলে?… কোন দেশে এরকম দেখা যায়?…” এক কালে, গ্রীষ্মের দুপুরগুলো এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতেই কেটে যেত। যদিও তার বহু আগে ছাত্রজীবনকে বিদায় জানানো হয়ে গেছে, তবু তখন আমার গ্রীষ্মের ছুটি। খড়গপুরে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করার সময় অযাচিত ভাবেই জীবনে গ্রীষ্মের ছুটি আবার ফিরে এসেছিল। … বিস্তারিত পড়ুন

আস্থা

ছোট্ট শানুর দু দিন আগেই আট বছর পূর্ণ হল। সেই উপলক্ষে বাড়ীতে একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠান হয়েছে। মা, ঠাম্মি,কাজের মাসি মিলে কিছু স্পেশাল রান্না করেছিলেন আর বাবা ফ্লুরিস থেকে একটা বিশাল কেক এনেছিলেন। অতিথি বলতে ছিলেন মামা, পিসি আর কাকুরা। বেলুন দিয়ে ঘর’টা সাজানো হয়েছিল। প্রত্যেকেই নানান উপহার দিয়েছেন, কিন্তু তারমধ্যে কোনটাই শানুর ভীষণভাবে চাওয়া সেই … বিস্তারিত পড়ুন

অ্যালজেব্রা

পিসির বাড়ি বেড়াতে এসে একদিনের মধ্যেই বেশ বুঝলাম যে এই জায়গাটা অদ্ভূত। এমনটা যেন আগে কোথাও দেখেনি। প্রথমেই যেটা চোখে লাগল তা হচ্ছে এখানে মিষ্টির দোকানের নাম ‘সরকার জ্ঞানভান্ডার’। প্রথমে মনে হল বোধহয় শখ করে দিয়ে থাকবে। তারপরে দেখি আরেকটা দোকানের নাম ‘জ্ঞানের মজারু সন্দেশ’, তারপর আরেকটায় ‘জ্ঞানগম্যি মিষ্টান্ন ভান্ডার’। দেখছি আর ভাবছি এ আবার … বিস্তারিত পড়ুন

পাপাঙ্গুল আর অনিফিশ

পাপাঙ্গুলকে তোমরা অনেকেই চেনো। সেই পাপাঙ্গুল… “নিল মাথাতে সবুজ রঙের চুল”…এই গল্পটা সেই পাপাঙ্গুলের…যখন সে তার ছাঁকনি চড়ে সাগরপারি দিল। তারপর, অনেকদিন অনেক রাত গেছে কেটে, সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে …পাপাঙ্গুলের নৌকো যখন অনেক ঝর অনেক ঢেউ পেরিয়ে এসে পৌঁছল এক মাঝ সমুদ্রে, সমুদ্রের ঢেউ ততক্ষণ অনেকটা শান্ত হয়ে গেছে। ছাঁকনিতে বাঁধা সবজেটে রুমালটা খুব আলতো … বিস্তারিত পড়ুন

মানতুর যাদু ছক্কা

মানতু এক বছর বারো-তেরোর ছেলে। ছোটবেলায়ই সে মা-বাবাকে হারিয়েছে, কাকা-কাকীমার কাছে মানুষ। কাকার দিলটা ছিলো দরাজ, কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য ছিলো সীমিত। তার মধ্যেই তিনি মানতুর যতটা সম্ভব দেখভাল করতেন। নিজের ছেলেমেয়েদের সাথে স্কুলে পাঠিয়ে তাকে লেখাপড়া শেখাতেন। মানতু খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করতো। তবে তার ঝোঁক ছিলো আঁকাজোকা আর গানবাজনার দিকে। সে স্বপ্ন দেখতো, বড় … বিস্তারিত পড়ুন

অদ্‌-ভূত প্রতিশোধ

আজ জমিদার চণ্ডীকা চরণ চৌধুরীর পারলৌকিক কাজ – হৈ হৈ ব্যাপার। দুই মেয়ে সপরিবারে এসেছে এ ছাড়াও দূর দূর থেকে আসা অনেক আত্মীয় স্বজনে এত বড় জমিদার বাড়ি একেবারে গম গম করছে। দুপুরে জমিদারির ছয় সাতটা গ্রামের প্রায় হাজার দুয়েক লোক পাত পেড়ে খাবে পাশের মাঠে – সেখানে বিরাট বিরাট সামিয়ানা খাটানো হয়েছে আর একদিকে … বিস্তারিত পড়ুন

ছুটি আর ছুটির মন

আজ সকাল থেকেই ছুটির মনটা তাধাই নাধাই আগাডুম্ বাগাডুম্‍ তিড়িং বিড়িং করছে। পড়ায় মন নেই। অবাধ্য মন কেবলই ছুটে যাচ্ছে বই থেকে। মা বাবা পিন্টুকাকুর বাড়ি গেছেন। পিন্টুকাকুর বাড়ি বাবা, মা প্রায়ঃশই যান। পিন্টুকাকু বাবার কেমন যেন দূরসম্পর্কের ভাই হন। মা যাবার সময় বলে গেছেন সব হোমওয়ার্ক শেষ করে রাখতে। হোমওয়ার্ক করা তো দূরের কথা। … বিস্তারিত পড়ুন

পিন্টু ও একটি চশমা

ঘড়ির দিকে আরেকবার তাকালাম। প্রায় সাড়ে সাতটা। ইতিহাসটা নিয়ে বসেছি বটে, কিন্তু চোখদুটো খুব বেশিক্ষন বইয়ের পাতার দিকে থাকছে না। অন্যান্য দিন ইতিহাস পড়তে বসলে এই সময়ে রানা প্রতাপের চৈতক লাফ দিয়ে পেরিয়ে যায় দুই পাহাড়ের মধ্যের গভীর খাদ বা পৃত্থীরাজের ঘোড়া টগবগিয়ে পিছনে ফেলে দেয় পিছু নিয়ে আসা সৈন্যের দল নাহলে কখনো কখনো দুই … বিস্তারিত পড়ুন

জীয়ন ঝর্ণার জল

খুব শক্ত অসুখ হয়েছিলো তুতুলের। সবে তিন দিন হলো হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে। এই ক’দিন এক ছায়া ছায়া ঘুমের দেশে বেড়িয়ে এলো সে। হাতে-পিঠে ছুঁচ, রক্তের বোতল, মুখোশ পরা কারা যেন সব – সমস্ত কিছু ভারী চোখের পাতায় ধোঁয়ার মতো মনে হতো। মা’র জন্য বুক ঠেলে একটা কান্না বেরিয়ে আসতে চাইতো। অসুখের নামটাও জেনে ফেলেছে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!