হারামখোরের পেট —– মাহবুব আলী

১. এত রাতে সে লোক আসার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। রহমান তারপরও স্টেশনে কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে আছে। প্রচণ্ড শীত। হু হু করে বইছে হিমেল বাতাস। রাতের শেষ ট্রেন প্লাটফরম কাঁপিয়ে চলে যায়। সে অলীক কোনো স্বপ্নের মতো তার পেছনে তাকিয়ে থাকে। একটি ধাবমান লাল আলোকবিন্দু খুব দ্রুত দিগ্বলয় ভেদ করে পুবের জমাট অন্ধকারে মিশে যাচ্ছে। … বিস্তারিত পড়ুন

অষ্টমী পুজোর পদ্ম

প্রতিবছরের মতো এবারেও শ্রীপল্লির মিত্রবাড়িতে পূজোর আয়োজন হয়েছে।ষষ্ঠীমির সন্ধেয় পূজোর ফর্দ হাতে বাড়ির কাজের মানুষ হরি কে সঙ্গে নিয়ে বাজারের দিকে গিয়েছিলেন জয়াদেবী।কিন্তু আর সব হলেও অষ্টমি পুজোর পদ্ম ফুলের ব্যবস্থা করতে পারেনি।দুই তিন টি ফুলের দোকানে ঘোরা সার হয়েছে।সবার এক কথা পূজো এবার দেরিতে।পাকা কথা দেওয়া মুশকিল।পুজোয় কলকাতাবাজারে পদ্ম ফুলের অহাভ নেই।কিন্তু ব্যাপার হল … বিস্তারিত পড়ুন

ফুলবানুর দুঃখের কথা

গ্রামের নাম কাঞ্চনবাড়ি। চারদিকে আমবাগান। মাঝে মাঝে ছোট আমের গাছের মধ্যে আখ ও ধানের ক্ষেত। গ্রামের উপর দিয়ে বিশ্বরোড চলে গেছে সোনামসজিদ চেকপোষ্ট পর্যন্ত। সে গ্রামে চার সন্তান নিয়ে বসবাস করে নান্টু পাজি। নান্টু পাজির অঢেল জমি জমা ও সম্পদের অভাব ছিল না। সন্তানের মধ্যে মাসুদ সবার ছোট। কিন্তু অন্ধ। তাকে নিয়ে পরিবারের চিন্তা ভাবনা … বিস্তারিত পড়ুন

সাইকোপ্যাথ

এক. আমার রাতে ঘুম ভাঙল। সারা ঘরে সবুজ রঙা ডিমলাইটের আবছা আলো। আমাদের পুরাতন ঘড়িটা টিকটিক করে সময় গুনে চলেছে। ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে আমি পাশে হাত দিলাম। মা পাশে নেই। আমার আবছা আলোতে মনে হতে লাগলো,দূরে কিছু একটা নড়ে উঠল। মায়ের উপর রাগ হল অনেক। আমার বয়স সবে ৬-এ পড়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে আমি … বিস্তারিত পড়ুন

কষ্ট —- ফারুক হাসান

টুকুদের বাইরের হেলান দেয় খোলা জানালার পাশে সেই পুরনো বাদাম গাছটা। গাছটার ঠিক মাঝ ডালে দু’টি কাকের বাসা। তার একটিতে বেশ কয়েকদিন আগে দু’টি কাকের ছানা চোখে পড়লো টুকুর। ছানা দু’টি চোখের পলকেই একটু একটু করে বড় হতে লগলো। মা কাকটি এসে বাচ্চা দু’টিকে খাবার দিয়ে যায়। কখনো মুখ ঘেষে আদর করে খাইয়ে দেয় ঠোঁট … বিস্তারিত পড়ুন

মালতি—- মহি মুহাম্মদ

মালতির খবরে উন্মাতাল হলো রতনপুর। অন্যপ্রতিযোগিরা এখন কানাইর ঘরে। চোলাইর রসে বেভুল হবে। রতনপুর চা বাগানের যাত্রাপালা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মালতির অনেক ডিমান্ড বেড়ে গিয়েছিল যুবকদের মধ্যে। শুধু যে যুবকদের মধ্যে তাই নয়, ওর চাহিদা তৈরি হয়েছিল বিবাহিত পুরুষদের মধ্যেও। হঠাৎ চোখের সামনে বেড়ে ওঠা একটি মেয়ে রাতারাতি এমন পরিবর্তন হয়ে গেল তা যেন … বিস্তারিত পড়ুন

শ্বেতপাথরের টেবিল —– সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

শ্বেতপাথরের টেবিলটা ছিল দোতলায়, দক্ষিণে রাস্তার ধারের জানালার পাশে। ঠিক চৌকোও নয়, গোলও নয়। চারপাশে বেশ ঢেউ-খেলানো। অনেকটা আলপনার মতো। বেশ বাহারি একটা ফ্রেমের ওপর আলগা বসানো। নিজের ভারেই বেশ চেপে বসে থাকত। পাথরটা প্রায় মণ দুয়েক ভারী। ফ্রেমের চারদিকে জাফরির কাজ করা কাঠের ঝালর লাগানো ছিল। সারা ফ্রেম ঘিরে ছিল অসংখ্য কাঠের গুলি। গোল … বিস্তারিত পড়ুন

পাট্টাশ — মাহবুব আলী

রাত দুটোয় সুঁই খুঁজে পাওয়া বেশ মুস্কিল। খাতা সেলাই করা সুঁই। এখন আমার খাতা লাগে না। কোনোকিছু লিখি না। সুঁই দরকার অন্য কাজে। এ মুহূর্তে ভীষণ দরকার। কেননা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কোনোকিছু তুলে ফেলবার মতো এরচেয়ে ভালো অস্ত্রের খবর জানা নেই। মাথায় আসছে না। মিলা ঘুমিয়ে আছে। আমার ঘুম হয় না। দিন শেষে শরীরের যতটুকু ক্লান্তি, … বিস্তারিত পড়ুন

তাশের ঘর— তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

অমর শখ করিয়া চায়ের বাসনের সেট কিনিয়াছিল। ছয়টা পিরিচ, পেয়ালা, চাদানি ইত্যাদি রঙ-চঙ করা সুদৃশ্য জিনিস, দামও নিতান্ত অল্প নয়- চার টাকা। চার টাকা মধ্যবিত্ত গৃহস্থের পক্ষে অনেক। অমরের মায়ের হুকুম ছিল,সেটটি যত্ন করে তুলে রেখো বউমা, কুটুম্বসজ্জন এলে, ভদ্রলোকজন এলে বের করো। কলিকাতা-প্রবাসী, হলেন্দ্রবাবুরা দেশে আসিয়াছেন, আজ তাঁহাদের বড়ির মেয়েরা অমরদের বাড়িতে বেড়াইতে আসিবেন; … বিস্তারিত পড়ুন

হরিণশিশু – দিব্যেন্দু পালিত

প্রথম চোখে পড়েছিল অর্ণবের। গাড়ির পিছনের সিটে মা’র থেকে অল্প তফাতে জানলার কাচে মুখ চেপে বসে বাইরের দৃশ্য দেখছিল—খানিক আগে পর্যন্ত ‘এটা কী, ওটা কী’ বলে প্রশ্ন করলেও লোকালয় পেরিয়ে আসার পর দিদির বকুনি খেয়ে চুপচাপ হয়ে গেছে একটু। হঠাৎই সে চেঁচিয়ে উঠল, ‘বাবা, হরিণ—হরিণ—’ অনন্ত অন্যমনস্ক ছিল। যেতে যেতে তারা যে একটা মেলা পেরিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!