আসল চিনি

এই দেশেতে এই সুখ হলো আবার কোথা যাই না জানি আমি পেয়েছি এক ভাঙ্গা তরী জনম গেল সেচতে পানি …… খমক আর ডুবকীর তালে ভোতা ক্ষেপা আসর তখন প্রায় উদ্বেল করে তুলেছে। এক কোনে দাড়ানো ওভেল তীক্ষ চোখে তাকিয়ে আছে ভোতা ক্ষেপার পিছনে বুদ হয়ে থাকা বেটে মত উস্কোখুশকো লোকটার দিকে। বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকা যাচ্ছে … বিস্তারিত পড়ুন

দেশপ্রেম

উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাবৃন্দ – আসসালামও আলাইকুম বলেই রহিমুল্যা চেয়ারম্যান একটা বড় করে শ্বাস টানে। রুমে তখন পিন পতন নিরবতা – নতুন উপজেলা কর্মকর্তার আগমন উপলক্ষে সভা চলছে – এর মাঝে চ্যায়ারম্যেনের এই লম্বা শ্বাস ছেড়ে চুপ করে থতমত ভঙ্গীটা বেমানান। নতুন কর্তা সাহেব একটু উশখুশ করে নড়ে চড়ে বসে। রহিমুল্যা কিছুটা টের পায় – … বিস্তারিত পড়ুন

যাত্রা – বাসু আচার্য — প্রথম পর্ব

  বেশ কয়েক মাইল হেঁটে পূর্ব বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছল উত্তীয়। তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পার্টির কৃষক-কমরেড সুদামা। বাংলা থেকে বিহার আসার সময় উচ্চতর নেতৃত্ব বলে দিয়েছে সে যেন কোনওভাবেই স্টেশন চত্ত্বর থেকে সিগারেট বা বিড়ি না কেনে, চা না খায়। গলা শুকিয়ে কাঠ। জলের বোতলটাও শেষ হওয়ার মুখে। মূল শহর থেকে গ্রাম … বিস্তারিত পড়ুন

যাত্রা – বাসু আচার্য — দ্বিতীয় পর্ব

মহাবোধি সোসাইটির সামনে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে প্রজ্ঞা। ঘন ঘন চোখ চলে যাচ্ছে হাত-ঘড়ির দিকে। কখন যে আসবে লোকটা! এদেশে বিপ্লবটা হবে কী করে? যারা লড়াইয়ের ঠেকা নিয়েছে তাদের কোনও সময়জ্ঞানই নেই। সুরজিৎ-কে ডাকবে একবার? নাহ, লাভ নেই। নির্ঘাৎ ক্যান্টিনে বসে ফিলজফির ওই নতুন মেয়েটার সাথে বকর-বকর করছে। পারেও বটে! ও কী যেন একটা ইয়ার্কি … বিস্তারিত পড়ুন

যাত্রা – বাসু আচার্য — তৃতীয় পর্ব

গত একমাস ধরে উত্তীয় এই গ্রামে আছে। দেখেছে, যা ও কখনও দেখেনি, শোনেওনি। যারা শুধু গালভারি পত্রিকায় বিভিন্ন পরিসংখ্যান ঘেঁটে কৃষি উৎপাদনে পুঁজিবাদ এল কি এল না, বা ভারত রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের স্বরূপ ইত্যাদি নিয়ে চুলচেরা গবেষণা করে, তাদের প্রতি একটা অদ্ভুত ঘৃণা জেগে উঠছিল ওর মনে। Extortion আর exploitation, এই শব্দ দুটোর আসল মানে বোঝা … বিস্তারিত পড়ুন

যাত্রা – বাসু আচার্য — চতুর্থ পর্ব

শংকরের চা বানানো দেখছিল বাবলু। পুরনো নারকেল তেলের টিন কেটে বানানো ছাঁকনির জাল দিয়ে কাঁচের গ্লাসে লালচে তরল গড়িয়ে পড়ছে। সেই ভোর থেকে শুরু করেছে, এখন শেষ বিকেল। একটু আগে দু-এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। মাটি আলতো ভিজে, সোঁদা গন্ধ উঠছে। রাস্তার ঝুলে-পড়া বৈদুতিক তারে জমে থাকা জলের ফোঁটাগুলো ব্যালকনিতে দাঁড়ানো ইস্কুল ছাত্রের মত নীচের … বিস্তারিত পড়ুন

যাত্রা – বাসু আচার্য — পঞ্চম পর্ব

  “এক কাজ করলে পারিস তো,” সুরজিৎ গম্ভীর গলায় বলল। “কী করব?” জিজ্ঞাসু দৃষ্টি প্রজ্ঞার। “তোর শাশুড়িকে ফোন কর একটা,” বলেই চোখ টিপল সুরজিৎ। প্রজ্ঞা বিরক্তি-মাখানো গলায় বলল, “দেখ সুরজিৎ, তুই আমার বন্ধু, খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সব ব্যাপারে ইয়ার্কি মারবি। প্রায় একমাসের ওপর হয়ে গেল ওর কোনও খবর নেই…” … বিস্তারিত পড়ুন

মহাসংকটে পুরন্দর

পুরন্দরের আজ বড়ই দুর্দিন। এমন ঘোর বিপদে সে বহুকাল পড়েনি। স্যান্যালবাবুদের ছোট ছেলে রাজুকে ভীমরুলের কামড় খাওয়াবার দোষটা পুরোপুরি তার ঘাড়ে বর্তেছে অথচ পুরন্দর ব্যপারটার মাথা মুন্ডু কিছুই জানত না। পরিকল্পনাটা পুরোটাই ধুরন্দরের। হয়েছিল কি দ্বাদশবাড়ির জঙ্গলে কাঁচামিঠে আমের লোভে গিয়েছিলো দুভাইতে। ধুরন্ধরই লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই একটা গাছের মগডালে পুঁটুলিতে বাঁধা কিছু সোনার … বিস্তারিত পড়ুন

আলো আঁধারির ভূত

মানিক তখন ফরিদপুর জেলার পাংশা থানায় তার এক আত্মীয়ের বাড়ি লজিং থেকে পড়াশুনা করে। পাংশা স্কুলের শেষ বর্ষের ছাত্র। ভারত স্বাধীন হবার অল্প কিছুদিন পরের ঘটনা। তখন গ্রামে গঞ্জে বিজলি বাতি চালু হয়নি। মাটির পিদিম বা কুপি বাতির প্রচলনই বেশি তবে খুব খানদানি যারা তারা দুই এক ঘরে হারিকেন জ্বালায়। তখন কেউ টর্চ লাইট চিনতই … বিস্তারিত পড়ুন

বেচারা

রিয়া একদৃষ্টিতে ওর বামহাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলির দিকে তাকিয়ে আছে। ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছে । এক ফোঁটা দুফোঁটা রক্ত ঝরে পড়ছে ওর কোলের ওপর। সেই কতক্ষন ধরে যাঁতির ভেতর হাত ঢুকিয়ে আঙ্গুল কেটে রক্ত বের করার চেষ্টা করছে ও। এতক্ষন চেষ্টার পর অবশেষে দুই তিনফোটা রক্ত বেরুল কনিষ্ঠাঙ্গুলি কেটে । আহা নরম পুষ্পকলির মত আঙ্গুলগুলো এখন প্রচন্ড … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!