সুহাসের হাসি—- রাজীবকুমার সাহা

রুই মাছের মাথা নারকোল দিয়ে খেয়েছ কখনও? বেশ পাকা মাথা? খাওনি তো? আমাদের সুহাসের কিন্তু এটাই ছিল খুব প্রিয় খাবার। ছিল বলছি এই কারণে, সুহাসের সাথে আমার দেখা নেই দীর্ঘদিন। সুহাস আমার স্কুলজীবনের বন্ধু। ছোটখাটো চেহারা, হাড় জিরজিরে লিকলিকে হাত পা। কিন্তু হাসিটি ছিল একেবারে চোয়াল ছড়ানো। অন্যের বিপদ-আপদে মুহূর্তের মধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়ত। আবার যখন … বিস্তারিত পড়ুন

অভিজ্ঞান—– রায়চৌধুরী

“স্বামী ভবানন্দজি। অদ্ভুত ক্ষমতা, তাই না!” মিলন বলে উঠল। “হ্যাঁ, এরকম গ্যারান্টি দিয়ে ঈশ্বরদর্শন করানো! ভাবা যায়?” “আসলে বলাটাই বড়ো কথা নয়, করেও তো দেখাচ্ছেন! যে-ই যায় ওর কাছে সেই তো পালটে যাচ্ছে। এই তো ম্যাজিশিয়ান মল্লিক অনেক হম্বি তম্বি করে গিয়েছিলেন, বলেছিলেন ভণ্ডামি, অপকীর্তি সব ফাঁস করে দেবেন। তা এক মাস বাদে ফিরে এলেন … বিস্তারিত পড়ুন

রবিন জেঠুর ক্যামেরা—– পুষ্পেন মণ্ডল

রবিন জেঠুর ক্যামেরাটা আমার হাতে এসেছিল অনেক গুলি হাত ঘুরে। ইনি বাবার ছোট বেলার বন্ধু ছিলেন। মাঝে দীর্ঘ দিন আমাদের সাথে কোনও যোগাযোগ ছিল না। তিনি মারা যাবার পর বাবা খবর পেয়ে এক বন্ধকি দোকান থেকে ক্যামেরাটা উদ্ধার করেছিলেন। আসলে তিনি ছিলেন এক ভবঘুরে প্রকৃতির মানুষ। বাবা বললেন,“শুনেছিলাম এই নিকোম্যাটের জুম লাগান ক্যামেরাটি নেপালে এক … বিস্তারিত পড়ুন

ছোট গল্প : মনসুর পাগলা

কেরানি গঞ্জ এর কদমতলি চৌরাস্তা পার হয়ে একটু সামনে গেলেই বেগুন বাড়ি কালভার্ট , এই কালভার্ট পার হয়ে আরও সামনে গেলে ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে পৌছানো যায় , এই প্রকল্পটির বুক চিরে একটা নতুন রাস্তা বানানো হয়েছে যা পোস্তগোলা ব্রিজ পর্জন্ত পৌঁছে গেছে ! কেরানি গঞ্জ হতে খুব সহজে সময় বাঁচিয়ে কেউ যদি পোস্তগোলা ব্রিজে যেতে … বিস্তারিত পড়ুন

নীরা

নীরা মানবিক বিভাগে পড়ে। মফস্বলের একটা মহিলা কলেজে। সেখানে হোস্টেলের ব্যাবস্থা আছে। সে হোস্টেলে থাকে। হোস্টেলের সিস্টেমগুলো কেমন যেন! একবার হোস্টেলের রান্না ঘরে যে মহিলা দায়িত্ব পালন করে তাকে বলেছিল, আন্টি ঝালটা আরেকটু কম দিয়েন। তা শুনে সে মহিলা এমন একটা ভাব নিলো যাতে মনে হতে পারে অনেক বড় একটা অপরাধের কথা সে বলে ফেলেছে। … বিস্তারিত পড়ুন

দু:খী মেয়ে (গল্প)

মা-বাবা মরা একটা মেয়ে কতটুকু অসহায় থাকে তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝার কথা না। বুঝেও না। আর মেয়েটি যদি একটু বড় হয় তাহলে তো কথাই নাই। আশ্রয় দিতে সবাই ভয় পায়। চাচা মামা দুই পক্ষই দুই পক্ষের দিকে বাড়িয়ে দেয়। কেউ রাখতে রাজি না। শেষ পর্যন্ত যখন দেখা যায় কেউ রাখছে না তখন বড় মামা … বিস্তারিত পড়ুন

হ্যাক (গল্প)

তানির প্রচন্ড দাঁত ব্যথা করছে। আঙ্গুল চেপে ধরে আছে দাঁতটায়। যতক্ষণ চেপে ধরে থাকে ততক্ষন একটা শিরশিরে অনুভূতি হয়। কিছুটা ভাল লাগে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার ব্যথা শুরু হয়। উপরের চোয়ালের ডান দিক হতে দুই নম্বর দাঁতটা। মাড়ির দাঁত ব্যাথাও বেশি। ইচ্ছা হচ্ছে হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি মেরে দাঁতটাকে ফেলে দিতে। এ দাঁতটা এখন বড় শত্রু … বিস্তারিত পড়ুন

আতঙ্ক ( গল্প )

বৃহস্পতিবার। দিনটা অন্য দিনের চেয়ে সুন্দর আবিরার। প্রতি সপ্তাহে এই দিনটির অপেক্ষায় থাকে সে। এই দিনে স্কুল লাইব্রেরী থেকে বই নেওয়া যায়। সে বই এক সপ্তাহ রাখা যায়। আবিরা বই পড়তে অনেক পছন্দ করে। তবে সমস্যা একটা। একটার বেশি বই নেওয়া যায় না। একটা বই পড়তে বেশি হলে একদিন লাগে। অনেক বই ই এক বসাতে … বিস্তারিত পড়ুন

অসহায় জীবন ( গল্প )

ঘরটার একটা অংশ ভাঙা। পিছনের পাক ঘরটা প্রায় সম্পূর্ণটাই। আগে সেখানে রান্না হতো। কিন্তু এখন সে অংশ ভাঙা। ছাদের কিছুটা ঝুলে আছে। ছাদের লোহার সাথে কংক্রিট সিমেন্ট লেগে আছে। যে কোন সময় নিচে পড়তে পারে। সেজন্য সেখানে এখন আর রান্না করা হয় না। পরিত্যক্ত পড়ে আছে সে কক্ষটি। ঠিক করতে হবে। কিন্তু যে ঠিক করবে … বিস্তারিত পড়ুন

তৃণা

বাবা মানে কি তা বোঝার আগেই চলে যায় তৃণার বাবা। নাহ দুনিয়া ছেড়ে যাননি। অন্য এক মহিলার সাথে সম্পর্ক ছিল। সে মহিলার সাথে সংসার করতে চলে গেছেন। অন্য মেয়েরা যখন বাবার গল্প বলতো তখন তৃণা কিছু বলতে পারতো না। তার বাবার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতো। কিন্তু উত্তর দিতে পারতো না। নিচের দিকে তাকিয়ে থাকতো। একবার স্কুলে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!