ত্রিপুর—– অদিতি ভট্টাচার্য্য

দেবতা আর অসুরদের মধ্যে ছিল ভয়ানক শত্রুতা, যুদ্ধ লেগেই থাকত। তাতে কখনো দেবতারা জয়ী হতেন, কখনো বা অসুররা। একবার এরকমই এক ভীষণ যুদ্ধে দেবতারা অসুরদের পরাস্ত করলেন। অসু্ররা বুঝল যে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে গেলে তাদের আরো শক্তিশালী হতে হবে। তখন অসুরদের রাজা ছিল তারকাসুর। তার তিন ছেলে – তারকাক্ষ, কমলাক্ষ আর বিদ্যুন্মালী। ব্রহ্মার কাছে বরলাভ … বিস্তারিত পড়ুন

বাঙালীর দুর্গোৎসব—– কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

ঋগ্বেদের রুদ্র ও রুদ্রাণী পৌরাণিক যুগে এসে হয়েছেন শিব এবং শিবানী। এই শিব-শিবানীর সূত্র ধরেই এসেছেন পার্বতী, হৈমবতী ও উমা। পরবর্তীকালে এরাই ‘দুর্গা’ নামে সুপ্রসিদ্ধা। দেবী দুর্গা সর্বভারতীয় হলেও উমা বাঙালীর একান্ত আপনার হয়ে গেছেন। আশ্বিন মাসের শুক্লাপক্ষে উমার তিন দিনের জন্য পিতৃগৃহে আগমন এবং দশমীর প্রভাতে পতিগৃহে প্রত্যাবর্তন – এই প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালীর … বিস্তারিত পড়ুন

বায়োডাটা কিংবা জীবনবৃত্তান্তের গল্প—- অঞ্জন আচার্য

ধোলাইখালের হাজি মিয়ার মোটর গ্যারেজের পেছনে যেখানে ফালান থাকে আজ সকালে সেখানে এসে মামুন ভাই তাকে বলে গেলেন একটা বাসায় ড্রাইভারের দরকার, সে যেন আজই ওখানে যোগযোগ করে। মামুন ভাই পরোপকারী মানুষ। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মানুষের যাবতীয় কাজ করে বেড়ান। অল্পতেই আপন করে নেন সবাইকে। আর এই মামুন ভাইয়ের সাথে ফালানের পরিচয়ও ওই রাস্তাতেই। পরিচয়ের … বিস্তারিত পড়ুন

ফোরামিক বোরহান…..

আমাদের প্রিয় ফোরামিক বোরহান….. তিনি একদিন রাস্তায় একা একা হাঁটছিলেন…… কেন জানি তার মনটা অন্য দিনের চেয়ে একটু বেশী ভাল ছিল …… একা একা রাস্তায় মনের সুখে গান গাচ্ছেন……. হ জানি হ জানি আমি খাব বোরহানি ছেঁড়ি আমার মাস্তানি আমি খাব বোরহানি নাচতে নাচতে আমাদের বোরহান ভাইয়া গান গেয়ে রাস্তায় একা একা…….. চারদিকে সুনসান । … বিস্তারিত পড়ুন

রংবদল— সহেলী চট্টোপাধ্যায়

সব কিছুরই রং বদলে যায় সময়ের সাথে সাথে। এই রংবদল কখনও ভালো ,কখনও আবার মন্দের দিকে। বেশ কিছু দিন ধরেই আমার মেয়ে কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করছে। আর তার সাথে তাল মেলাচ্ছে মেয়ের মা অর্থাৎ আমার গিন্নী । মেয়েটা আজ বিগড়েছে তার মায়ের আদরেই। এমনিতে মেয়ে আমার খুব বুঝদার। পড়াশোনায় ভালো । এবার প্রথম বিভাগে … বিস্তারিত পড়ুন

গাছের বাচ্ছা মাছের বাচ্ছা—- চুমকি চট্টোপাধ্যায়

ঘুম থেকে উঠেই অন্বয়ের মনে পড়ে গেল যে আজ শনিবার। মেজাজটাই তেতো হয়ে গেল। উফ্ আজ আবার সেই বিচ্ছিরি বারটা। আজ বলে নয়, প্রতি শনিবারই এটা হয় অন্বয়ের। কেন হয়? প্রতি শনিবার কি ওর কোনও পরীক্ষা থাকে? কড়া কোনও স্যারের টিউশন থাকে কি? কিম্বা এমন কোনও কাজ যা অন্বয়ের মোটেই করতে ইচ্ছে করে না? না, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজেক্ট কে নাইন—– তন্ময় বিশ্বাস

‘তোমার অ্যাসাইমেন্ট রেডি?’ ‘হ্যাঁ…… ইয়ে মানে না… আজ রাতের মধ্যেই কমপ্লিট হয়ে যাবে।’ ‘আজ লাস্ট ডেট। আই হোপ সেটা মনে আছে?’ ‘ইয়েস স্যার’ ‘বাকিদের সফট ফাইল কিন্তু জমা পড়ে গেছে। এবং প্রত্যেকেরটাই বেশ ইন্টারেস্টিং। আই হোপ তোমারটাও তাই হবে?’ ‘একদম স্যার।’ ‘ওকে বেস্ট অফ লাক।’ বসের চৌকো মতো মুখখানা অদৃশ্য হয়ে গেল। বস সামনে এলেই … বিস্তারিত পড়ুন

আপন পর

হন্ হন্ করে সীমা অফিস ঘর থেকে বেরিয়ে এল। শ্যামলের শেষ শব্দের গুঞ্জন বাজতে লাগল কানে। ‘কাজ হচ্ছে না অগ্রিমের টাকা কোথা থেকে আসবে? আকাশ থেকে পড়বে?’এ সব কথা সে নিশ্চয়ই বাবুদের কাছ থেকে শিখেছে। শুনলেই মনে হয় মুখস্ত কথা। এমনভাবে বলল যেন ওর বাপের টাকা কেউ নিতে এসেছে। কিছুক্ষণ আপন মনে গালাগাল দেয়। মুখের … বিস্তারিত পড়ুন

তামাকির বৈশাখী উপহার—– আশিক মুস্তাফা

ওরা দুই বোন। বেড়াতে গেল জাপান। ওদের বাবা স্কলারশিপ নিয়ে পড়ছেন সেখানে। বাবা যাওয়ার কিছুদিন পর দু’বোন গেল মায়ের সঙ্গে। দেশের সকালগুলো আলসেমিতে কেটে যেত তাদের। রাজ্যের ঝক্কি-ঝামেলার পর ঘুম থেকে টেনে তোলা হতো। তবে জাপানে এমন হচ্ছে না। নিজ থেকেই উঠে পড়ে। আগে আগে উঠে রেডি হয়ে বাবার অপেক্ষায় থাকে। দেরি হলে পানি ছিটায় … বিস্তারিত পড়ুন

বিধবার গপপো—নাবীল অনুসূর্য্য

এই গপপো আসলে এক বিধবা মা আর তার দুই সন্তানের– এক ছেলে আর এক মেয়ে। সে অবশ্য অনেক অনেক দিন আগের কথা। তারা বাস করত এক গ্রামের কাছেই। তবে ওদের বাড়িটার চার ধারেই ছিল জঙ্গল। ওরা অনেক গরিব ছিল। ওদের মা তাই অন্যদের বাসায় কাজ করত। এক উৎসবের দিন। বাড়ি বাড়ি কাজ করে ফিরছিল মা। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!