সাঁড়াশি অভিযান

ভদ্রলোকের বাসার দরজার সামনে থেকে মাছ চুরি, এটা কি মগের মুল্লুক নাকি? সাইদের মা দরজার তালা খুলে ঘরে ঢুকে বোরকা ছেড়ে চারতলায় উঠার ক্লান্তিতে ফ্যানের নিচে বসে হাঁপাতে লাগলো, একটু পর ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা পানি খেতে গিয়ে মাছগুলো ফ্রিজে রাখার কথা তার মনে পড়ে। কিন্তু এ ঘর-ও ঘর করে দ্যাখা গেলো পলিথিন ব্যাগে আনা মাছগুলো … বিস্তারিত পড়ুন

এডিনব্রা’র একটি বিকেল

মাশা ভ্লাদিমিরার কথা জিজ্ঞেস করে। নিকের একটু অস্বস্তির অনুভূতি হয়। নিক, মানে নিখিলেশ বিয়ারে মৃদু চুমুক দেয়। মাশা পানির গ্লাসে। বারটার বেশি বাজে। রেস্টুরেন্ট এখনো পুরোটাই ফাকা। ওয়েস্টার্ন কিংস ম্যানর হোটেল থেকে বেরুলে ডানের রাস্তাটা পোর্টওব্যালো বিচের দিকে গেছে। সেদিকেই হাঁটছিল দুজন। পথে এই হাত-পা-ছড়িয়ে বসার মত এলাহি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট দেখে ঢুকে পড়ে। জানালার পাশে … বিস্তারিত পড়ুন

ঘরে ফেরা

আমাদের এক সিনিয়র মহিলা কলিগ আছেন। এই তো সেদিন হঠাৎ তিনি অফিসে অনুপস্থিত। পরদিন তাকে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন, আমার রুমিটা আর নেই! কদিন ধরেই শরীরটা খারাপ যাচ্ছিল। কিন্তু তাই বলে আচমকা এমনভাবে মারা যাবে কেউ ভাবতেই পারিনি। বলে তিনি চোখ মুছতে লাগলেন। সিনিয়র কলিগের পাশে বসা তৃষ্ণাদি তাকে সান্ত্বনা দিতে … বিস্তারিত পড়ুন

একটি জোড়া লাগানো দশ টাকার নোট

নোটটি পেয়েছিলাম বেইলি রোডে। শাহবাগ থেকে তাড়াহুড়ো করে মহিলা সমিতিতে এসেছি ‘রক্তকরবী’ দেখব বলে। সেই তাড়াহুড়োতেই রিকশাঅলা আঠা দিয়ে জোড়া লাগানো দশ টাকার নোটটি গছিয়ে দেয়। এসে তো ফাঁপরে পড়লাম। টিকেট নেই। কাউন্টারে অসহায় মুখে অনেকে দাঁড়িয়ে। অপর দৃশ্যে, অডিটরিয়ামে ঢোকার লাইন রাস্তা পর্যন্ত। ভীড়ের ঢেউ ধীরে ধীরে ভিতরে ঢুকছে। আমরা না-পাওয়ার দল অপেক্ষারত, টিকেট … বিস্তারিত পড়ুন

আঁতুর ঘর— ইবাইস আমান

দোলুজের দিকটাতে গেলে অন্যরকম অনুভব। বাঘ অলা বাড়ির আর দশজন থেকে খোকা বাবুর ভাবনাগুলো আলাদা। দোলুজের বুনো কবুতরগুলো সাথে খোকা বাবুর কথা হয়। ইচ্ছে হলেই কবুতর উড়ে যায় বলাডাঙ্গার মাঠে। হৃষ্টপুষ্ট বড় মর্দা কবুতরের বাকবাকুম ডাকের মোহে নতুন নতুন কবুতরে দোলুজের ঝাড়ন ভরে যায়। সংসার ছেড়ে রঙ বেরঙের কবুতর ভালোবাসার টানে বুনো; চাড়াল কবুতরের সাথে … বিস্তারিত পড়ুন

আমার চিলেকোঠা

আমাকে যখন পিঁড়িতে করে নামানো হলো ঘর থেকে আমার দাদা কানের কাছে ফিসফিস করে বলছিলো,কিরে জানিস না একদিন আমাদেরই তোকে তুলে নামাতে হবে,এতো ওজন কেন বাড়িয়েছিস….নিজের কথা না হয় না ভাবলি একবার আমাদের কথা তো ভাবতে পারতি…। এই আমার ছাদনাতলায় আগমন।বুক ভরা চাপা কষ্টের মাঝেও আমি ফিক করে হেসে ফেলি আর সর্ন্তপনে দাদার মুখের দিকে … বিস্তারিত পড়ুন

মনের গতি

এক. বড় ভাইয়ের সাথে প্রচন্ড রকমের ঝগড়া হয়েছে। মন খারাপ করে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। আজ আর বাড়ি ফিরে যাবনা। কিন্তু কোথায় যাব? এই মুহুর্তে কোনো গৌন্তব্যের ঠিকানা মনে পড়ছে না। বন্ধু আবু তাহেরদের বাড়িতে গিয়ে থাকব কিছুদিন? নাহ! ওদের ওখানে যাওয়া যাবে না। তাহেরদের বাড়ি আমাদের পরিবারের সবাই চিনে। আমাকে খুঁজে পাওয়া না গেলে … বিস্তারিত পড়ুন

ভূতডাঙার গল্প- কিশোর ঘোষাল

এ তল্লাটে প্রমথ শিকদারের নামে বাঘে-গরুতে একঘাটে বসে গল্পগুজব করে, জল খায়। গোলগাল কালোকোলো চেহারায় ঘাড় নেই, কোমর নেই। আছে মস্ত বড়ো একটি পেট। গলায় শেকলের মতো মোটা সোনার চেন দুলিয়ে, ধপধপে সাদা পাঞ্জাবিতে পেটটি মুড়ে, পিছনে চার পাঁচজন শাগরেদ নিয়ে যখন পথে হাঁটেন, সে ভারি ভারিক্কি আর রাশভারি ব্যাপার হয়ে ওঠে। রাস্তার নেড়ি কুকুরগুলোও … বিস্তারিত পড়ুন

গাঁয়ের পথে একদিন

বেড়াতে গিয়েছিলাম গ্রামের বাড়ি। ভূঁইয়া বাড়ি আমাদের। আমার বয়সী ও ছোট বড়ো চাচাতো বোন আছে ৭ জন। পাড়ায় আরো কয়েকজন মেয়ে আছে। বাড়ি গেলেই ওরা আমার সঙ্গী হয়ে যায়। আনন্দই আনন্দ। আমার ছোট চাচার মেয়ে তানজিয়া। ক্লাস এইটে পড়ে। খুব স্মার্ট। খাঁটি গ্রামের ভাষায় কথা বলে। সে আঠার মতো লেগে থাকবে আমার সাথে। তার কথা … বিস্তারিত পড়ুন

ঘুষ

রেজাউল করিমের একটা পোশাকি নাম থাকা সত্ত্বেও তার বৃদ্ধ বাবা তিনি অফিস থেকে ঘরে ফিরলেই খ্যানখ্যানে স্বরে ডাকবেন- কে ফিরলো, পঁচু নাকি রে? কে পঁচু শেখ? এই পঁচু শেখ নামটা শুনলেই রেজাউল করিমের মুখের ভেতরটা একটা বিচ্ছিরি রকমের টক টক ভাব চলে আসে মন মেজাজ ভাল থাকলেও! আর এখন মেজাজের যে অবস্থা বুড়োর ঢঙের ডাক … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!