ক্যামেরা —পার্থ চট্টোপাধ্যায়

এবারে জাপান যাবার সময় আমাদের কাগজের ফোটোগ্রাফার রজত সেন বলেছিল, “সুবীরবাবু, অনেক দিন ধরে আমার শখ একটা জাপানী শিকন ক্যামেরা। তা আপনি যখন জাপান যাচ্ছেন, তখন যদি আমার জন্য একটা ক্যামেরা নিয়ে আসেন।” আমি বলেছিলাম, “যদি একসচেনজে টান না পড়ে, নিশ্চয়ই আনব।” রজত সেনকে আমি খুব পছন্দ করি। ফোটোগ্রাফিতে দারুণ হাত। সেবার পাকিস্তান-যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের … বিস্তারিত পড়ুন

শেষ দৌড়— সুধাংশু ঘোষ

শীতকালে বারান্দায় মাদুর পেতে বসে সমু। পুবের লম্বা বারান্দায় সকালের রোদ্দুর ভারী মিষ্টি লাগে। উঠবার সময় সূর্য বাগানের গাছগাছালির ফাঁক দিয়ে অনেক রোদ্দুরের বর্শা ছুঁড়ে দেয়। বই থেকে মুখ তুলে সমু এক-একবার দেখে নেয়। এখন কিন্তু বর্ষাকাল। পড়ার ঘরে বসেই পড়ছিল সমু। তক্তপোশে পা ঝুলিয়ে বসে টেবিলে বই রেখে পড়ছিল। সেই তক্তপোশেই অন্য পাশে রুনি … বিস্তারিত পড়ুন

হাসনুহানার জামা— বলরাম বসাক

বাঁশপুকুরের হাঁসমামা। ছিল তার ছোট্ট ছানা। নাম তার হাস্নুহানা। হাস্নুহানা পুজোয় জামা চেয়েছিল হাঁসমামার কাছে। হাঁসমামা পরিষ্কার বলে দিলে, “পয়সা নেই।” শেষে কোঁক্ কোঁক্ করে কেঁদে ফেলতেই হাঁসমামা বললে, “ঠিক আছে, পুজো গেলেই তোকে জামা কিনে দেব।” পুজো চলে গেল। এদিকে জামা কেনা হচ্ছে না। হাঁসের ছানা হাস্নুহানা তাড়া দিল হাঁসমামাকে, “কই জামা কিনে দিলে … বিস্তারিত পড়ুন

কলম্বাসের বাবা—- এণাক্ষী চট্টোপাধ্যায়

ভবানীপুর স্পোর্টিং-এর সঙ্গে আমাদের ক্লাবের খেলা, কাল বিকেল তিনটেয়-খবরটা গৌতম আগেই দিয়ে গিয়েছিল। তারপর আধ ঘণ্টাও হয়নি-জানলা দিয়ে দেখতে পেলাম সাইকেল থেকে কেষ্টাকে নামতে। ঊর্ধ্বশ্বাসে পড়ার টেবিল ছেড়ে দৌড়েছি। খুব সময়ে পৌঁছে গেছি যা হোক। দেখি বাঁটুল গোড়ালি উঁচু করে ঘণ্টি টেপার চেষ্টা করছে, হাত পৌঁছচ্ছে না। “বাজাস না।” গম্ভীর গলায় বললাম। সকাল থেকে আমার … বিস্তারিত পড়ুন

সাঁড়াশি অভিযান

ভদ্রলোকের বাসার দরজার সামনে থেকে মাছ চুরি, এটা কি মগের মুল্লুক নাকি? সাইদের মা দরজার তালা খুলে ঘরে ঢুকে বোরকা ছেড়ে চারতলায় উঠার ক্লান্তিতে ফ্যানের নিচে বসে হাঁপাতে লাগলো, একটু পর ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা পানি খেতে গিয়ে মাছগুলো ফ্রিজে রাখার কথা তার মনে পড়ে। কিন্তু এ ঘর-ও ঘর করে দ্যাখা গেলো পলিথিন ব্যাগে আনা মাছগুলো … বিস্তারিত পড়ুন

এডিনব্রা’র একটি বিকেল

মাশা ভ্লাদিমিরার কথা জিজ্ঞেস করে। নিকের একটু অস্বস্তির অনুভূতি হয়। নিক, মানে নিখিলেশ বিয়ারে মৃদু চুমুক দেয়। মাশা পানির গ্লাসে। বারটার বেশি বাজে। রেস্টুরেন্ট এখনো পুরোটাই ফাকা। ওয়েস্টার্ন কিংস ম্যানর হোটেল থেকে বেরুলে ডানের রাস্তাটা পোর্টওব্যালো বিচের দিকে গেছে। সেদিকেই হাঁটছিল দুজন। পথে এই হাত-পা-ছড়িয়ে বসার মত এলাহি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট দেখে ঢুকে পড়ে। জানালার পাশে … বিস্তারিত পড়ুন

ঘরে ফেরা

আমাদের এক সিনিয়র মহিলা কলিগ আছেন। এই তো সেদিন হঠাৎ তিনি অফিসে অনুপস্থিত। পরদিন তাকে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন, আমার রুমিটা আর নেই! কদিন ধরেই শরীরটা খারাপ যাচ্ছিল। কিন্তু তাই বলে আচমকা এমনভাবে মারা যাবে কেউ ভাবতেই পারিনি। বলে তিনি চোখ মুছতে লাগলেন। সিনিয়র কলিগের পাশে বসা তৃষ্ণাদি তাকে সান্ত্বনা দিতে … বিস্তারিত পড়ুন

একটি জোড়া লাগানো দশ টাকার নোট

নোটটি পেয়েছিলাম বেইলি রোডে। শাহবাগ থেকে তাড়াহুড়ো করে মহিলা সমিতিতে এসেছি ‘রক্তকরবী’ দেখব বলে। সেই তাড়াহুড়োতেই রিকশাঅলা আঠা দিয়ে জোড়া লাগানো দশ টাকার নোটটি গছিয়ে দেয়। এসে তো ফাঁপরে পড়লাম। টিকেট নেই। কাউন্টারে অসহায় মুখে অনেকে দাঁড়িয়ে। অপর দৃশ্যে, অডিটরিয়ামে ঢোকার লাইন রাস্তা পর্যন্ত। ভীড়ের ঢেউ ধীরে ধীরে ভিতরে ঢুকছে। আমরা না-পাওয়ার দল অপেক্ষারত, টিকেট … বিস্তারিত পড়ুন

আঁতুর ঘর— ইবাইস আমান

দোলুজের দিকটাতে গেলে অন্যরকম অনুভব। বাঘ অলা বাড়ির আর দশজন থেকে খোকা বাবুর ভাবনাগুলো আলাদা। দোলুজের বুনো কবুতরগুলো সাথে খোকা বাবুর কথা হয়। ইচ্ছে হলেই কবুতর উড়ে যায় বলাডাঙ্গার মাঠে। হৃষ্টপুষ্ট বড় মর্দা কবুতরের বাকবাকুম ডাকের মোহে নতুন নতুন কবুতরে দোলুজের ঝাড়ন ভরে যায়। সংসার ছেড়ে রঙ বেরঙের কবুতর ভালোবাসার টানে বুনো; চাড়াল কবুতরের সাথে … বিস্তারিত পড়ুন

কাঠের সেনাপতি—- মু. নূরুল হাসান

আব্বার সাথে রাশেদের আজ আশ্চর্য শত্রুতা। আজ সারাদিন, দিনমান। ছোট্ট চায়ের টেবলের দু’পাশে ওরা দু’জন ঠিক দুই যুযুধানের মতন দাবার গুটি নিয়ে বসে আছে সকাল থেকে। কখনও গালে হাত, কখনও বাঁকানো ভ্রূ, কখনও চুপচাপ। আব্বার অফিস ছুটি আজ, রাশেদের ইশকুলও তাই। ওদের সারা ঘরে ছুটির আমেজ এলিয়ে আছে, বসার ঘর থেকে রান্নাঘর, সেখান থেকে বারান্দায়, … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!