ভৃঙ্গু কোবরেজ —– রণদীপম বসু

ধারণা করা হয ভৃঙ্গু কোবরেজের নামটা তাঁর পিতৃ-প্রদত্ত নাম নয়। তবুও এই নামটাই তাঁর আদিনাম ছাপিয়ে কী করে যে দশ গ্রাম পেরিয়ে বহু দূর দেশেও খ্যাতি পেয়ে গেলো, এর কোষ্ঠি বিচার করার বয়েসী কেউ আর জীবিত নেই এখন। কিংবা আদৌ তাঁর কোন আদিনাম ছিলো কিনা সেটাও কোবরেজের নির্বিকার ঘোলা চোখ পাঠ করে কোন সুরাহা মেলে … বিস্তারিত পড়ুন

এম্পিয়ারিং মতি নন্দী

জাপানী বোমার ভয়ে, কলকাতা অর্ধেক খালি করে একবার মানুষ ঊর্ধ্বশ্বাসে গ্রামে ছুটে গিয়েছিল। আমরাও গিয়েছিলাম আটঘরায়। তারকেশ্বর থেকে খুদে রেল বি-পি-আরে চড়ে আটঘরা মাইল সাতেক। রেলগাড়ি উঠে গিয়ে এখন অবশ্য বাস চলছে। যেমন, তখনকার তিনটে চালাঘর নিয়ে হাইস্কুলটা এখন বিরাট তিলতলা পাকা বাড়ি। আমাদের এই বাত্‌সরিক, আটঘরার সঙ্গে পাশের গ্রাম বকদিঘির, ক্রিকেট ম্যাচের পত্তন সেই … বিস্তারিত পড়ুন

বিষে বিষক্ষয় ——- আশাপূর্ণা দেবী

কিসে থেকে যে কী হয়! একথা কে কবে ভাবতে পেরেছিল জগদীশ উকিলের মতন একজন সভ্য, শিক্ষিত ভদ্র ব্যক্তি এমন ভয়ঙ্কর একটা কাজ করে বসতে পারেন। অথচ করলেনও তাই। করালী কবরেজের টিয়াপাখির মতো টিকটিকে নাকটায় হঠাত্‌ খ্যাঁক করে এক কামড় বসিয়ে দিলেন জগদীশ। অপরাধের মধ্যে করালী কবরেজ বলেছিলেন, ‘ব্যাধিটি আপনার সামান্য নয় জগদীশবাবু। আমাদের আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এরে … বিস্তারিত পড়ুন

ডোডো তাতাই পালা কাহিনী—-তারাপদ রায়

রাস্তার পাশে একটা বাড়ি, বাড়িটির একতলায় জানলার ধারে বসে ডোডোবাবু ভূগোল পড়ছেন। জানলার ওপারে রাস্তায় ফুটপাথের উপরে একটি সাদা কুকুর থুতনি রেখে অনিমেষ নয়নে ডোডোবাবুর দিকে তাকিয়ে রয়েছে, ডোডোবাবু পড়তে পড়তে যদি কখনো চোখ তুলে কুকুরটির দিকে তাকাচ্ছেন, কুকুরটি সঙ্গে সঙ্গে মৃদু লেজ নাড়াচ্ছে। কুকুরটির নাম তুষারকণা, তার রঙ সম্পূর্ণ সাদা বলে এই নাম দেওয়া … বিস্তারিত পড়ুন

সুন্দরী—- লীলা মজুমদার

গুপি ভাল করে পথ বাত্‌লে দেয়নি। বেলা দশটায় পানু যখন ছোট্ট স্টেশনটাতে নামল, কোন দিকে দিয়ে যাবে ভেবে পেল না। বড় একটা শিমুল গাছতলায় পুরনো এক গাছের গুঁড়িতে বসে দু’-জন লোক চা খাচ্ছিল। পানু তাদের গুপির দাদুর নাম বলতেই বুড়ো লোকটাস্টেশন মাস্টার হয়তো–দু’হাতে গরম চায়ের ভাঁড় ধরে, চোখের তারা ঘুরিয়ে ডান দিক দেখিয়ে বলল, “ওর … বিস্তারিত পড়ুন

হুপা—– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

সেবারে আমরা রামপুরহাট বেড়াতে গিয়েছিলাম। স্টেশন থেকে পাঁচ ছ’মাইল দূরে একটা বড় ইস্কুল আছে। তখন পুজোর ছুটি, অত বড় ইস্কুল বাড়িটা ফাঁকা, হস্টেলেও একটিও ছাত্র নেই। আমাদের এক বন্ধু জীবনময় ঐ ইস্কুলের ইতিহাসের মাস্টার। সে আমাদের চিঠি লিখেছিল, পুজোর সময় এদিকে বেড়াতে চলে এসো না! জায়গাটা খুব চমত্‌কার, খুব ভালো পুঁই শাক আর সজনে ডাঁটা … বিস্তারিত পড়ুন

বগল —- অমিতাভ পাল

মেয়েটা আদিবাসী— আমাদের দেশের ছোট ছোট টিলার মতো পাহাড়গুলির নিচের একটা গ্রামে তার জন্ম। মিশনারীদের কাছে সে বড় হয়েছে, লেখাপড়া শিখেছে তারপর শহরে এসেছে কাজ করতে। একটা বিউটি পার্লারের এখন সে কর্মচারী। সাদা এপ্রোন গায়ে দিয়ে সে সাজায় কাস্টমারদের। এই বিউটি পার্লারেরই কোনো এক কর্মদিবসে আদিবাসী মেয়েটি যখন সাজাচ্ছে এক সৌন্দর্যপ্রার্থীনিকে— সে সময় একটা ঘটনা … বিস্তারিত পড়ুন

অলঙ্কার —আলবার্তো মোরাভিয়া

একসঙ্গে দলবেঁধে চলা ছেলেবন্ধুদের কোনো দলে যখন একটি মেয়ে এসে জুটে যায় তখন আপনি নিশ্চিত হয়েই বলতে পারেন, ওই দলটি কোনো বিষয়ে আর একমত হতে পারবে না এবং প্রত্যেকেই নিজের নিজের দিকটিই দেখবে। সেবার আমরা ক’জন তরুণ বন্ধু এসে জুটেছিলাম একটি দলে। আমাদের মধ্যে ছিল গভীর সহমর্মিতা, সবসময়ে ছিল মতের মিল, আমরা ছিলাম পরস্পরের প্রতি … বিস্তারিত পড়ুন

একটি অদ্ভুত দিন

বিকাল৪:১৪। আমারফোনটি বেজেউঠল।আমি তখনঅফিসে।আমার অফিসগুলিস্থানে…………..   -হ্যালো? – রাসেল? -জ্বি……??? -আমি সুমন। -হুমমম…… – চিনছো? -হ্যাঁ…….কেমনআছিস তুই? এতদিন পর? – দোস্ত আমিখুব বিপদেপড়েছি………..আমি আর আমারবেষ্ট বন্ধুএখন উত্তরার১১নং এআটকে আছি…….আমাদের কে উদ্ধারকর…………. -কেন? কিহইছে? আরসিলেট থেকেআবদুল্লাপুরে কিকরস? – আরে আমিএয়ারপোর্টে ট্রেনথেইক্কা নামনের পরই পকেটচেক কইরাদেহি মানিব্যাগহাওয়া………………. -আহারে!!! – অহন আমিকি করমু? -এক কাজকর।আমার বাসাচিনস? সেখানেআয়। – … বিস্তারিত পড়ুন

অনুগল্প

ঘরের সাথের এক চিলতে বারান্দাটায় হাঁটাহাঁটি করে বিকেলটা বেশ ভালই কেটে যায় তন্বীর । মাঝে মাঝে বারান্দায় বসে গল্পের বই পড়ে, কখনো বসে কফি খায়, আবার কখনো শুধুই গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থাকে । সেইসাথে আরেকটা কাজ সে নিয়মিত করে । রাস্তার ওইপাশে যে হালকা নীল রঙের বাড়িটা আছে, সেটার তিনতলায় যে শ্যামলা মতন ছেলেটা থাকে, … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!