রেইনকোট —– – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

ভোররাত থেকে বৃষ্টি। আহা! বৃষ্টির ঝমঝম বোল। এই বৃষ্টির মেয়াদ আল্লা দিলে পুরো তিন দিন। কারন শনিতে সাত মঙ্গলে তিন, আর সব দিন দিন। এটা জেনারেল ষ্টেটমেন্ট। স্পেসিফিক ক্লাসিফিকেশনও আছে। যেমন, মঙ্গলে ভোররাতে হইলে শুরু, তিনদিন মেঘের গুরুগুর। তারপর, বুধের সকালে নামলে জল, বিকেলে মেঘ কয় এবার চল। বৃহস্পতি শুক্র কিছু বাদ নাই। কিন্তু এখন … বিস্তারিত পড়ুন

দুধভাতে উৎপাত—- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

একটু বেলা হলে বৃষ্টি ধরে এলো। তবে আবুল মাস্টারের উত্তরপাড়ার জমিতে পাট কাটা শুরু হয়েছে, শালার মাস্টার আজ আসবে না। ইস্কুলে গেলে জুত করে ভেলায় চাপা যায়। ইস্কুলের নিচে এবাদত মুন্সির বড় ভেলাটা বাঁধাই রয়েছে, লগির ১২-১৪টা ঠেলা দিলেই একেবারে ধলেশ্বরীর তীর। সাড়ে ১০টার লঞ্চে উঠে কাপড়ের গাঁটের ওপর বসে থাকা প্যাসেঞ্জারদের সামনে সুর করে … বিস্তারিত পড়ুন

পূর্বঘোষিত মৃত্যুর দিনপঞ্জি – —-আনিসুল হক

‘আপনি আগামীকাল বিকেল চারটায়, হ্যাঁ হ্যাঁ, ঠিক বিকেল চারটায় মারা যাবেন।’ এবিসির কাছে ফোনটা আসে সকাল দশটায়। তখন তিনি তার গুলশান অফিসে এসে কেবল বসেছেন। টেবিলে ভাঁজ করে রাখা ইংরেজি দৈনিকটা মেলে ধরেছেন। তার প্রিয় হলো এগারো নম্বর পৃষ্ঠার কমিক স্ট্রিপ। তিনি সেই পৃষ্ঠার দিকে যাত্রা শুরু করেছেন। শীতকাল। বোধহয় পৌষ মাস। এ বছর আবহাওয়ার … বিস্তারিত পড়ুন

ছাপাখানায় একটা ভূত থাকে – —- আনিসুল হক

আমাদের বাসায় আমরা বাস করি মিনির মায়ের মতো করে। মিনির মাকে আশা করি আপনারা চিনেছেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্পের যে মিনি, তার মা। তার ধারণা ছিল, পৃথিবীর সব চোর-ডাকাত, গুন্ডা-বদমাশ, আরশোলা-শুয়োপোকা, সাপ-বাঘ তার বাসার দিকেই ধেয়ে আসছে। আমাদের ধারণা ঠিক অতটা আন্তর্জাতিক নয়। পৃথিবীর সব চোর-ডাকাত আমাদের ফ্ল্যাটবাড়ির দিকে ধেয়ে না এলেও দেশের সব … বিস্তারিত পড়ুন

সময়ের প্রয়োজনে —-জহির রায়হান

কিছুদিন আগে সংবাদ সংগ্রহের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের একটা অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে গিয়েছিলাম। ক্যাম্প-কমান্ডার ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। সেই ব্যস্ততার মুহূর্তে আমার দিকে একটা খাতা এগিয়ে দিয়ে বললেন, আপনি বসুন। এই খাতাটা পড়ুন বসে বসে। আমি কয়েকটা কাজ সেরে নিই। এরপর আপনার সঙ্গে আলাপ করব। খাতাটা হাত বাড়িয়ে নিলাম। লাল মলাটে বাঁধানো একটা খাতা। ধুলো, কালি আর তেলের কালচে … বিস্তারিত পড়ুন

মাতৃদায় —– বাণী বসু

টেশনে নামতে না নামতেই কিছুর মধ্যে কিছু না, কাঁধে একটা থাপ্পড়। আমার ছোট্টবেলার অন্তরঙ্গ বন্ধু লোকনাথ। ছাতিমতলায় বসে নাকি ওর স্পেশাল বিড়িতে সুখটান দিচ্ছিল। সেখান থেকেই নজর করেছে। — কী রে? অ্যাদ্দিন কোথায় ছিলি? — কেন, জানিস না? ৪ নম্বর প্রতাপাদিত্য রোড, আদি ও অকৃত্রিম। — ধ্যার, ওটা তো তোর বাসাবাড়ি! আদি-অকৃত্রিম কী করে হয়? … বিস্তারিত পড়ুন

তারকেশ্বর লোকাল—– বাণী বসু

ন’টা বা সওয়া ন’টার ট্রেনটা তাকে ধরতেই হবে৷ মাধবী তাড়াতাড়ি শাড়ির ভাঁজ ঠিক করে৷ সালোয়ার-কামিজ কী প্যান্ট পরলেই সুবিধে হত, কিন্তু যে কাজে যাচ্ছে তাতে ওগুলো ঠিক…৷ ঠিক সময়েই শেষ পর্যম্ত ঢুকতে পারল সে হাওড়া স্টেশনে, কিন্তু এ যে জনসমুদ্র? কোথায় টিকিট ঘর কোথায় কী, কিছুতেই ঠাহর হয় না৷ অথচ এককালে তারা বন্ধুরা দল বেঁধে … বিস্তারিত পড়ুন

শাস্ত্রজাতক – বাণী বসু

বিস্ফারিত চোখে ওঁরা দেখলেন মরা মানুষের জাঙাল ভেদ করে উঠে আসছে একটা আকার, যতই উঠে আসে, ততই তাকে চিনতে চিনতে চিত্রার্পিত হয়ে যান সব। উঠে আসছে সেই লোকটা বহু যুগ আগে যাকে মেরে ফেলা হয়ে গেছে, গ্রন্থে গ্রন্থে যার হনন-বার্তা এক দিন মহারবে চতুর্দিকে রটিত হয়েছিল। স্বর্গে এবং মর্ত্যে, লোকান্তরে এবং লোকায়তে বিধ্বস্ত পণ্ডিত শিল্পী … বিস্তারিত পড়ুন

সার্থকতা – — বনফুল

আমার অতীত জীবনের দিকে চাহিয়া দেখি–আর আমার দুঃখ হয়! সে যেন একটা সুখ-স্বপ্ন ছিল! সেই আমার অতীত জীবনের স্মৃতি…আজ সত্যি সত্যিই স্মৃতিমাত্র। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার সে জীবন গেল কোথায়? সেই শোভন, সুন্দর, মোহন জীবন। …একদিন আমার রূপ ছিল–সৌরভ ছিল–মধু ছিল। আমার সেই সুষমার দিনে কত মধুলুব্ধ ভ্রমরই না আমার কানে কানে বন্দনার স্মৃতিগান … বিস্তারিত পড়ুন

বেচারামবাবু — বনফুল

রিশ মুদী সন্ধ্যাবেলা হিসাব বুঝাইয়া গেল যে গত মাসের পাওনা ২৭.৭০ পঃ হইয়াছে এবং তাহা অবিলম্বে দেওয়া দরকার। সদ্য-অফিস-প্রত্যাগত বেচারামবাবু বলিলেন–“আচ্ছা মাইনেটা পেলেই–!” অতঃপর কাপড়-চোপড় ছাড়িয়া বেচারামবাবু বাহুরের রোয়াকটিতে বসিয়া হাঁক দিলেন–“অরে চা আন্‌–।” চা আসিল। চা আসিবার সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার হরিবাবু, নবীন রায়, বিধু ক্লার্ক প্রভৃতি চার পাঁচজন ভদ্রলোকও সমাগত হইলেন এবং সমবেত গল্প-গুজব … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!