দুষ্টু এক পুঁচকে পুঁটির গল্প—তানজিল রিমন

বেশ নিরিবিলি। সাগরের একপাশে বেড়ে উঠেছে গ্রামটি। ছোট একটা নদী এসে যেখানে সাগরে মিশেছে, তার পাশেই। এখানে নেই কোনো বিশাল ঢেউ। নেই ঢেউয়ের গর্জন। তবে মাঝে মাঝে কিন্তু সাগরের গর্জন কিছুটা হলেও ভেসে আসে। পানির নিচের কত শত যে প্রাণী এই গ্রামে বাস করে, তার হিসেব নেই। গ্রামে সবাই মিলেমিশে থাকে। কারো কোনো ভয় নেই। … বিস্তারিত পড়ুন

একটি তোতা পাখি— মিজানুর রহমান

আমার একটি তোতা পাখি ছিল।  সে খুব সুন্দর করে কথা বলত। সে আমাকে ডাকত বড় মিয়া নামে। কারণ আমি বাবার বড় ছেলে। আম্মুকে মা আর আববুকে বাবা বলে ডাকত। আর আমার ছোট ভাইকে ডাকত ছোট মিয়া বলে। তোতাটিকে আমরা ঘরের সিংহ দরজার ওপরে ঝুলিয়ে রাখতাম। আমরা ওকে প্রতিদিন দুধ-কলা-ভাত দিতাম । আর ও সুন্দর মিষ্টি … বিস্তারিত পড়ুন

রাসূলপুরের যুদ্ধ—-ফয়সাল শাহ

চেঁচামেচি-চিৎকার শুনে মামুনের ঘুম ভেঙ্গে গেল। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মামুনের বাবা তাদেরকে মা-ভাইবোনসহ নানার বাড়ি রাসূলপুরে পাঠিয়ে দিলেন। এলাকাটি নদী-নালা-খাল-বিল বেষ্টিত একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। হেঁটে নৌকা ছাড়া যাতায়াতের আর কোনো ব্যবস্থা নেই। রিক্সা, ভ্যান কোনো কিছুই চলাচল করে না। মামুনের নানাবাড়ি এলাকায় সকলেই মীরবাড়ি বলে চিনে। বাড়ির সামনে দিয়ে চলে গেছে ধলেশ্বরী নদী। ডান … বিস্তারিত পড়ুন

বিধ্বস্ত মানব—নাহিদা আফরোজ

মেঘলা আকাশ, মেঘগুলো কালো চাদরে জড়িয়ে নিয়েছে পৃথিবীকে, আকাশে মেঘের ছুটাছুটি। একটু পরেই বৃষ্টি নামবে, আকাশ জুড়ে দ্রুত মেঘের পদচারণ, কখনো শোনা যায় মেঘের বিদ্যুৎ চমকানোর গর্জন। আকাশের এমন করুণ অবস্থা দেখে বুকটা দুরুদূরু কেঁপে উঠে আক্কেল আলীর। একমুহূর্তও দেরি না করে তাড়াতাড়ি দোকান-পাট বন্ধ করে পা বাড়ায় সামনের দিকে, মেঘলাময়ী আকাশের নিচে শহরের বিস্তীর্ণ … বিস্তারিত পড়ুন

ছাপাখানায় একটা ভূত থাকে – —- আনিসুল হক

আমাদের বাসায় আমরা বাস করি মিনির মায়ের মতো করে। মিনির মাকে আশা করি আপনারা চিনেছেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্পের যে মিনি, তার মা। তার ধারণা ছিল, পৃথিবীর সব চোর-ডাকাত, গুন্ডা-বদমাশ, আরশোলা-শুয়োপোকা, সাপ-বাঘ তার বাসার দিকেই ধেয়ে আসছে। আমাদের ধারণা ঠিক অতটা আন্তর্জাতিক নয়। পৃথিবীর সব চোর-ডাকাত আমাদের ফ্ল্যাটবাড়ির দিকে ধেয়ে না এলেও দেশের সব … বিস্তারিত পড়ুন

সময়ের প্রয়োজনে —-জহির রায়হান

কিছুদিন আগে সংবাদ সংগ্রহের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের একটা অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে গিয়েছিলাম। ক্যাম্প-কমান্ডার ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। সেই ব্যস্ততার মুহূর্তে আমার দিকে একটা খাতা এগিয়ে দিয়ে বললেন, আপনি বসুন। এই খাতাটা পড়ুন বসে বসে। আমি কয়েকটা কাজ সেরে নিই। এরপর আপনার সঙ্গে আলাপ করব। খাতাটা হাত বাড়িয়ে নিলাম। লাল মলাটে বাঁধানো একটা খাতা। ধুলো, কালি আর তেলের কালচে … বিস্তারিত পড়ুন

মাতৃদায় —– বাণী বসু

টেশনে নামতে না নামতেই কিছুর মধ্যে কিছু না, কাঁধে একটা থাপ্পড়। আমার ছোট্টবেলার অন্তরঙ্গ বন্ধু লোকনাথ। ছাতিমতলায় বসে নাকি ওর স্পেশাল বিড়িতে সুখটান দিচ্ছিল। সেখান থেকেই নজর করেছে। — কী রে? অ্যাদ্দিন কোথায় ছিলি? — কেন, জানিস না? ৪ নম্বর প্রতাপাদিত্য রোড, আদি ও অকৃত্রিম। — ধ্যার, ওটা তো তোর বাসাবাড়ি! আদি-অকৃত্রিম কী করে হয়? … বিস্তারিত পড়ুন

তারকেশ্বর লোকাল—– বাণী বসু

ন’টা বা সওয়া ন’টার ট্রেনটা তাকে ধরতেই হবে৷ মাধবী তাড়াতাড়ি শাড়ির ভাঁজ ঠিক করে৷ সালোয়ার-কামিজ কী প্যান্ট পরলেই সুবিধে হত, কিন্তু যে কাজে যাচ্ছে তাতে ওগুলো ঠিক…৷ ঠিক সময়েই শেষ পর্যম্ত ঢুকতে পারল সে হাওড়া স্টেশনে, কিন্তু এ যে জনসমুদ্র? কোথায় টিকিট ঘর কোথায় কী, কিছুতেই ঠাহর হয় না৷ অথচ এককালে তারা বন্ধুরা দল বেঁধে … বিস্তারিত পড়ুন

শাস্ত্রজাতক – বাণী বসু

বিস্ফারিত চোখে ওঁরা দেখলেন মরা মানুষের জাঙাল ভেদ করে উঠে আসছে একটা আকার, যতই উঠে আসে, ততই তাকে চিনতে চিনতে চিত্রার্পিত হয়ে যান সব। উঠে আসছে সেই লোকটা বহু যুগ আগে যাকে মেরে ফেলা হয়ে গেছে, গ্রন্থে গ্রন্থে যার হনন-বার্তা এক দিন মহারবে চতুর্দিকে রটিত হয়েছিল। স্বর্গে এবং মর্ত্যে, লোকান্তরে এবং লোকায়তে বিধ্বস্ত পণ্ডিত শিল্পী … বিস্তারিত পড়ুন

সার্থকতা – — বনফুল

আমার অতীত জীবনের দিকে চাহিয়া দেখি–আর আমার দুঃখ হয়! সে যেন একটা সুখ-স্বপ্ন ছিল! সেই আমার অতীত জীবনের স্মৃতি…আজ সত্যি সত্যিই স্মৃতিমাত্র। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার সে জীবন গেল কোথায়? সেই শোভন, সুন্দর, মোহন জীবন। …একদিন আমার রূপ ছিল–সৌরভ ছিল–মধু ছিল। আমার সেই সুষমার দিনে কত মধুলুব্ধ ভ্রমরই না আমার কানে কানে বন্দনার স্মৃতিগান … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!