বত্রিশ পুতুলের উপাখ্যান: ১২তম উপাখ্যান

পরদিন দ্বাদশ পুতুল বলল, মহারাজ, আমার নাম প্রজ্ঞাবতী। আমিও বিক্রমাদিত্যের একটি গল্প বলব। সেকালে বিক্রমাদিত্য যখন রাজ্য শাসন করতেন, উজ্জয়িনী নগরে ভদ্রসেন নামে এক বণিক ছিলেন। তাঁর অগাধ ধনসম্পদ ছিল অথচ তিনি তার টাকা পয়সা ব্যয় করতেন না ! কালক্রমে ভদ্রসেন মারা গেলেন। পিতার মৃত্যুর পর পুত্র পুরন্দর বন্ধুদের নিয়ে ভোগ বিলাসে সমস্ত উড়িয়ে দিতে … বিস্তারিত পড়ুন

চক্র বন্দি

মাঝ রাতের ঘুম ঘুম চোখেও আজকাল একটু পুরনো ঘ্রাণ নিতে প্রাণ ব্যাকুল হয়ে ওঠে। এ ঘ্রাণ ঠিক পুরনো না , এ ঘ্রাণটা অনেক প্রিয় কিছুর, খুব মাতাল করা কিছু। ঘ্রাণটা স্মৃতির , ঘ্রাণটা প্রিয় গানের একটা লাইনে। ঘ্রাণটা কবিতার ছন্দে। ঘ্রাণটা এক রাশ স্মৃতি ছুঁয়ে যাওয়া প্রিয় ফুলের। কেন মন এত ব্যাকুল হয়ে ওঠে এই … বিস্তারিত পড়ুন

প্ররশাখা – সৈয়দ ওমর হাসান

  জামাল ভাই আমাদের বয়সে খানিকটা বড়। সন্ধ্যের পর কেডিসির চায়ের দোকানে আমরা কয়েকজন মিলে জামাল ভাই’র সঙ্গে আড্ডা দিতাম। সেই আড্ডায় ফারাবী, শাহিন, শোয়েব, মাঝে মাঝে সাহানও আসত। তখন দোকানটিতে বিদুøৎ ছিল না। মূল দোকানঘর একটু ভেতরের দিকে। সামনে দাওয়ার মতখানিকটা স্পেস তার চারদিকে কাঠের বেঞ্চি। মাথার উপর টিনের চালা, দোকানঘরের সামনে ঝুলানো দাড়িপাল্লার … বিস্তারিত পড়ুন

জ্বলে ওঠা বারুদ————স্বকৃত নোমান

  জেলা শহর থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে, যেটির নামের ওপর ‘জাতীয় দৈনিক’ এবং নিচে ‘সত্যের সঙ্গে প্রতিদিন’ লেখা এবং যেটির সার্কুলেশন সাকল্যে দুশো কপি, কিন্তু সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা সর্বত্র দুই হাজার কপি বলে প্রচার করে থাকেন, বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের পর শহরের সাহিত্যবোদ্ধাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হন তিনি। কবি খায়রুল বাশার প্রমুখ, ব্যতিক্রমী নামটাই তার … বিস্তারিত পড়ুন

কাঁটাতার——–শচীন দাশ

হাতের মুঠোয় আগুনটা রেখে বিড়ি একটা ধরাবার চেষ্টা করেছিল নাজিবুল। এই সময়েই কে ওকে ডাকল। আড়চোখে তাকাতেই নাজিবুলের চোখে পড়ল রহিমুদ্দি। নাজিবুল বিরক্ত হয়। আজ হাওয়া মারছে খুব। তার ওপর বর্ষার বিড়ি। ভেতরের মাল-মশলায় কখন যে হাওয়া ঢুকে গিয়েছে ধরালেও তাই ধরে না। তিন-চারটে কাঠি নষ্ট হওয়ার পর আবারও যখন ধরাতে যাবে ওই তখনই পায়ে … বিস্তারিত পড়ুন

রিফুল ইসলাম —- ইন্টার্ভ্যূ

জরুরী একটা কাজে বেরিয়েছি। পথে-প্রান্তরে মানুষে-মানুষে, গাড়িতে-গাড়িতে গাদাগাদি অবস্থা। অতীব তাড়ার সময়েও এদেশে জ্যামের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া দায়। আর লোকাল বাসে চড়ে কোথাও যাওয়া চরম সর্বনাশের চেয়েও দারুন ক্ষতিকর। সময়ের চেয়ে এদের কাছে টাকার মূল্য অনেক বেশী। সময় কাজে লাগানোর উপকরণ খুঁজছে দু’চোখ আগ্রহভরে। দূরে একটা কমবয়সী ছেলেকে পত্রিকা হাতে চিৎকার করতে দেখলাম। হাত … বিস্তারিত পড়ুন

মায়া–আনোয়ারা সৈয়দ হক

লোকটার নাম বুড়ো আর মহিলার নাম বুড়ি। বয়সেও তারা বর্তমানে বুড়ো ও বুড়ি। একজনের বয়স পঁচাত্তর, আরেকজনের সত্তর। জাগতিক জীবনের সব কাজ মোটামুটি তাদের সারা হলেও তাদের মনে কোনো স্বস্তি নেই। সেই হিসাবে শান্তিরও কিছু অভাব। এর প্রতিফলন ঘটে ভোরবেলায়। যখন তারা দুজনে নামাজ পড়ার জন্যে ভোরে বিছানা ছাড়ে। নামাজ পড়া তো একটু পরেই শেষ … বিস্তারিত পড়ুন

মায়ার প্রার্থনা———–নীহারুল ইসলাম

  রিয়া ক্লাস ফাইভে পড়ে। ওর দাদা বিভাস ক্লাস সেভেনে। বিভাস পোলিও আক্রান্ত। অবশ্য তার একটা হুইল চেয়ার আছে। যেবার দরগার স্কুলে ফাইভে ভর্তি হয়, স্কুল থেকে ওটা দিয়েছিল। ওটায় চড়ে দাদা স্কুলে যায়। সঙ্গে রিয়া নিজে থাকে। স্কুলের রাস্তাটা খুব খারাপ। তার ওপর গাড়িঘোড়ার ভিড়। গাড়িঘোড়া বলতে গরুগাড়ি-ঘোড়াগাড়ি নয়, মাটির বহা ট্রাক-ট্রাক্টর – আজকাল … বিস্তারিত পড়ুন

দেববশিশু———-ইমদাদুল হক মিলন

  এইটুকু ভুলের জন্য এত বড় মাসুল দিতে হবে কল্পনাও করেননি সাদেক সাহেব। তিনি কাজ করেন একটা পাবলিশিং হাউসে। নাম ‘ছাত্রবন্ধু প্রকাশন’। মূলত নোট গাইড প্রকাশ করে। এই লাইনে দেশের এক নম্বর প্রকাশনা। মালিকের নাম মশিউর রহমান। এখনো পঞ্চাশ হয়নি বয়স। তুখোড় তরুণ। ষোলো বছর আগে আমেরিকা থেকে পড়াশোনা শেষ করে এলেন। বিবিএ, এমবিএ দুটোই … বিস্তারিত পড়ুন

শুঁড়———রশীদ হায়দার

  গল্পটি বলার চেষ্টা করছি ১৯৫৩ সালের জুলাই থেকে। বহুবার লিখতে বসেছি, দশ-বারো লাইন, দেড় পাতা-দুপাতা লেখার পর মনে হয়েছে, ঘটনাটি যেভাবে ঘটেছে তা আসছে না, কিছুতেই আসছে না। ব্যর্থতায়, অসমর্থতায় নিজেকেই গালমন্দ করেছি, বড় বড় লেখক কীভাবে লেখেন বোঝার জন্য অনেক লেখা পড়েছি, এমনকি আমার নিজের লেখাও, যা একটু-আধটু প্রশংসা পেয়েছে, সেগুলোও পড়েছি, পড়ে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!