পথের বাঁকে–জুবায়ের হুসাইন-৩য় পর্ব

গল্পের শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ‘আচ্ছা রাহেলা, তোমার মনে আছে সেই দিনগুলোর কথা, যখন আমরা গ্রামে থাকতাম। ছোটখাট ব্যবসা করতাম আমি। সকালে বেরিয়ে যেতাম আর সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসতাম। তুমি গরম ভাত হাজির করতে সামনে। আমি খেতাম আর তুমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে। আমি কতবার বলেছি, কিন্তু তুমি কখনও আমার সাথে খেতে রাজি হওনি। … বিস্তারিত পড়ুন

বৃদ্ধা নারী ও চিকিৎসক–ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

এক বৃদ্ধা নারীর চক্ষু নিতান্ত নিস্তেজ হইয়া গিয়াছিল। এ জন্য তিনি কিছুই দেখিতে পাইতেন না। নিকটে এক প্রসিদ্ধ চিকিৎসক ছিলেন। বৃদ্ধা তাঁহার নিকটে গিয়া বলিলেন, আমার চক্ষুর দোষ জন্মিয়াছে। আমি কিছুই দেখিতে পাই না। আপনি আমার চক্ষু ভাল করিয়া দিন। আমি আপনাকে বিলক্ষণ পুরস্কার দিব। কিন্তু ভাল করিতে না পারিলে, আপনি কিছুই পাইবেন না। চিকিৎসক … বিস্তারিত পড়ুন

কীর্তি কাহিনী–সৌরেন চট্টোপাধ্যায় – ১ম পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন টানা গা-জ্বলানো গরমের পর অবশেষে বর্ষা এসেছে। বুদ্ধিটা কূটজীবি উকিল ভানু মিত্তিরই বাতলে ছিল, নব-বর্ষার আগমন উপলক্ষে আমাদের আদি-অকৃত্রিম অকৃতদার ভুলোদা অর্থাৎ ভোলানাথ সমাদ্দারের দক্ষিণ কলকাতায় পৈত্রিক বাড়ির তিনতলার বিশাল ঘরে জমিয়ে ফিস্টি হবে। সরু চাল আর ভাজা মুগডালের খিচুড়ি সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা। ইলিশটা আমাদের বলাই, অর্থাৎ … বিস্তারিত পড়ুন

কীর্তি কাহিনী–সৌরেন চট্টোপাধ্যায় -শেষ পর্ব

গল্পের ১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন। সবাই মেঝের ওপর গোল হয়ে আসনপিঁড়ি হয়ে বসেছি। ভুলোদার বশংবদ চাকর গোবিন্দ কলা পাতায় গরমগরম খিচুড়ি পরিবেশন করেছে, সঙ্গে ইলিশের গোবদা গোবদা ভাজা পেটি। আহা! ঝমঝমে বর্ষায় এর চেয়ে উপাদেয় আর কিছু হতে পারে না কি! — উফ্! এই ভানুটা নির্ঘাত মহাভারতের আমলে রাক্ষস ছিল আর ভীমের হাতে … বিস্তারিত পড়ুন

কর্তাবাবু

কামারগাঁয়ের কর্তাবাবু হরপ্রসাদ সেনে উঠানে চেয়ার পেতে বসে তামাক খাচ্ছিলেন। আরো কিছু জমি কেনার তার খায়েস হয়েছে। কেদারপুরের শহর আলী ও সাহেদ আলীর কিছু জমি তিনি, পরপর দুই বছরের খরায় যে আকাল লেগেছিল, তখন কিনে নিয়েছিলেন। বাকী জমিগুলোও কেনা দরকার। এজন্যই ডেকে পাঠিয়ে ছেন, এখনো না আসার কারণ ভাবছিলেন। এই ভাবনার মধ্যে শহর আলী নমস্কার … বিস্তারিত পড়ুন

ইস্কুলের গল্প–সুকুমার রায়-১ম পর্ব

গল্পের শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন। চন্ডীপুরের ইংরেজি স্কুলে আমাদের ক্লাসে একটি নতুন ছাত্র আসিয়াছে। তার বয়স বারো-চোদ্দোর বেশি নয়। সে স্কুলে আসিয়া প্রথম দিনই সকলকে জানাইল, “আমি পোইট্রি লিখতে পারি!” এ কথা শুনিয়া ক্লাশসুদ্ধ সকলে অবাক হইয়া গেল; কেবল দু-একজন হিংসা করিয়া বলিল, “আমরাও ছেলেবেলায় ঢের ঢের কবিতা লিখেছি।” নূতন ছাত্রটি বোধ হয় … বিস্তারিত পড়ুন

ইস্কুলের গল্প–সুকুমার রায়-শেষ পর্ব

গল্পের ১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন। পাঁড়েজির বৃদ্ধ ছাগল যেদিন শিং নাড়িয়া দড়ি ছিঁড়িয়া স্কুলের উঠানে দাপাদাপি করিয়াছিল, আর শ্যামলালকে তাড়া করিয়া খানায় ফেলিয়াছিল, তাহার পরদিন ভারতবর্ষের বড়ো ম্যাপের উপর বড়ো-বড়ো অক্ষরে লেখা বাহির হইল— পাঁড়েজির ছাগলের একহাত দাড়ি, অপরূপ রূপ তার যাই বলিহারি! উঠানে দাপট করি নেচেছিল কাল— তার পর কি হইল জানে … বিস্তারিত পড়ুন

হংপাল– অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৩য় পর্ব

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। তার এত শত্রু আছে শুনে রিদয় ভাবলে, বাঁচা তো তাহলে শক্ত দেখছি। সে চকাকে বললে – “মরতে ভয় নেই। তবে শেয়াল-কুকুরের কিংবা শকুনের খাবার হতে আমি রাজী নই। এদের হাত থেকে বাঁচবার উপায় কিছু আছে বলতে পার?”চকা একটু ভেবে বললে – “বনের যত ছোট পাখি আর জন্তু এদের … বিস্তারিত পড়ুন

হংপাল–অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ পর্ব

গল্পের পঞ্চম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। সবাই ভাবলে, এমন খাঁচায় কাঠবেরালী সুখে থাকবে – খেলে বেড়াবে সারাদিন, দোলনায় দুলবে আর খই-দুধ খেয়ে মোটা হবে! কিন্তু কাঠবেরালি বৌ চুপটি করে মুখ লুকিয়ে খাঁচার কোণে বসে রইল আর থেকে-থেকে কিচ-কিচ করে কাঁদতে থাকল। সারাদিন সে কিছু মুখে দিলে না, দোলনাতে দুললে না, চৌকিতেও বসল না, খাটেও … বিস্তারিত পড়ুন

হংপাল — অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-পঞ্চম পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন । স্বপন দেখেছে বলে উড়িয়ে দিলে। কিন্তু বুড়ি বলতে লাগল – “ওরে তোরা দেখে আয় না!” সকালে সত্যি দেখা গেল চারটে ছানাকে নিয়ে কাঠবেরালি দুধ খাওয়াচ্ছে। এমন ঘটনা কেউ দেখেনি! সুরেশ্বরের মোহন্ত পর্যন্ত এই আশ্চর্য ঘটনা দেখতে হাতি চড়ে চাষার বাড়ি উপস্থিত! ওদিকে চাষার বৌ যত পিঠে সেদ্ধ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!