পরিচয়

পরিচয় এতদূর পৌঁছতে কাঠ খড় নেহাত কম পোড়াতে হয় নি। সার্ভার হ্যাক করা থেকে শুরু করে ফ্ল্যাটের সিকিউরিটি গার্ড কে ঘুষ দেয়া। অবশেষে গন্তব্যে পৌঁছেছি। গন্তব্য এখন আমার সামনে। সত্যি বলতে কি এর পরে কি করব সে ব্যাপারে কোন প্ল্যান করিনি। আসলে ভেবেছিলাম নিজেকে ইন্ট্রোডিউস করা তেমন কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু হচ্ছে। আসলে শুধু … বিস্তারিত পড়ুন

শুভদা—— অভীক মুখোপাধ্যায়

শুভদা। তার শুভনাম শ্যামাশ্যাম কৃষ্ণপূজারী চৌধুরী হলেও পাড়ায় এবং পরিচিত মহলে শুভ নামেই সকলে চিনত আর ডাকতও। এই শুভদাই আজ আমার কাহিনীর মূল চরিত্র। শুভদার সবথেকে বেশি পরিচিতি হয়েছিল অ্যাংলো কলেজের জি.এস. হিসাবে। বলা যেতে পারে পপুলারিটির দিক দিয়ে একেবারে গোল্ডেন টাইম। যদিও আমি ওকে চিনতাম সেই ছোট থেকেই, আর সেটা অবশ্যই এক পাড়ায় থাকার … বিস্তারিত পড়ুন

অন্তর্ধান —– হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায়

সকাল থেকে বাবা-কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাবা মর্নিংওয়াকে কখনও যান না। শরীর তো তাঁর দিব্যি সুস্থ, সবল। সামান্য সর্দি-কাশি ছাড়া বড়ো একটা প্রবলেম তাঁর ছেলে-মেয়েরা দেখে নি। অসুস্থ ব’লতে যিনি ছিলেন, তিনি মা। মিতুর প্রবলেমটা ধরা প’ড়তে তিনি সেই যে বিছানায় প’ড়ে গিয়েছিলেন, আর ওঠেন নি। পাঁচটা মাস তিনি ভুগেছেন আর ভুগিয়েছেন বাড়ির মানুষকে। … বিস্তারিত পড়ুন

ডাকাতি—- কনাদ মুখোপাধ্যায়

গড়ের পাঁচিলটা এখানেই ভেঙে ভেঙে শেষ হয়েছে। না, কেউ থাকে না ওই গড়টায়। কবে কার একটা পুরনো দুর্গ, সাত বুড়োর আমলের। ভূতের ভয়ে কেউ তার চারধারও মাড়ায় না। আলোছায়া ঘেরা, শাল-পিয়ালের জঙ্গলে ভরা এই জায়গাটায় পা দিলেই গা ছমছম করে। অথচ আজ না এসে উপায় ছিল না। বাবা এখনও ঘরে আসেনি। রাতদিন যে কোথায় থাকে … বিস্তারিত পড়ুন

অকপট —- হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায়

সমবেত গুণীজন ও এই সোসাইটি-র মান্যবর অধিবাসিবৃন্দ! আমাকে যে আপনারা আজ এ্যাতো মূল্য দিয়ে সম্বধর্না আর বিদায় অভিনন্দন জানাতে ইচ্ছে প্রকাশ ক’রেছেন, এতেই আমি সম্মানিত ও ধন্য। তবে এ্যাতোটা দরকার ছিল না। আমাকে আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন, আমার অভিনীত ছবিগুলো যে আপনারা নানা থিয়েটারে গিয়ে দেখে আমাকে আর আমার কাজ-কে সার্থক করেছেন, তাতেই আমার প্রতি … বিস্তারিত পড়ুন

অবয়ব —– হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায়

নিতাই নাকি একেবারে রাতারাতি ব’দলে গেছে। গোটা কুবেরপুর গ্রামজুড়ে ওকে নিয়ে এই তিনটে দিনেই একটা মাত্র আলোচনা ছড়িয়ে প’ড়েছে। সকালবেলা পঞ্চায়েত প্রধান সাহেবের সাথে দেখা পণ্ডিতমশাই মাধব ভট্টাচার্জের। প্রধান সাহেব জিজ্ঞেস ক’রলেন, — কী ব্যাপার, পণ্ডিতমশাই! কি সব শুনছি! পণ্ডিতমশাই-এর বয়স হয়েছে। ভ্রু-তে লোমগুলো বিরাট বিরাট আকৃতি নিয়েছে। তাও পাক ধ’রে গেছে আজকাল। এ অবস্থায় … বিস্তারিত পড়ুন

পর্ণমোচী— ঝর্না চট্টোপাধ্যায়

দোকানে কাউন্টারের উপরে নানান রঙের উলের গোলা। তার উপরে ঝুঁকে পড়ে রঙ বাছছিল তৃণা। হাতে বোনা সোয়েটার কেউ আর পরে না এখন। সে সব আগে পরত। শীত এলেই মা-কাকির দল উলের গোলা নিয়ে দুপুরে খাবার পরে রোদে বসে উল ছাড়ানো, কিংবা সন্ধ্যেয় রেডিওতে খবর শুনতে শুনতে, দেখতে দেখতে সোফায় বসে উলবোনার একটা রেওয়াজই ছিল বলা … বিস্তারিত পড়ুন

গদাধর——বীর কুমার রায়

প্রায় ত্রিশ-বত্রিশ বছর পর, সেদিন রাস্তায় গদাকে দেখলাম। পরণে বোতাম ছেঁড়া নোংরা জামা, প্যান্ট ও ক্ষয়ে যাওয়া হাওয়াই চপ্পল। ঠোঁটের কষ্ দুটো সাদা, পাগলাটে দৃষ্টি। ও কিন্তু আমার দিকে তাকিয়েও চিনতে পারলো না। আমিই ডেকে ওর সাথে কথা বললাম। “কী রে কেমন আছিস”? “ও ছুবীর? ভাল নেই রে”। “কেন? কী হয়েছে”? “হাতে একটাও পয়ছা নেই। … বিস্তারিত পড়ুন

ব্ল্যাকমেল— ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়

খেলার মাঠের বাঁদিক ঘেঁষে একটা অনেকদিনের পুরনো বকুল গাছ। তার বাঁধানো বেদীতে বসেছিল ওরা তিনজনে। টুবলুর হাতে তখনও ধরা সিগারেটের শেষ টুকরোটা। একটু আড়াল করে বসেছে সে। শেষ টানটা দিয়ে সিমেন্টের বেদীতে টুকরোটা একবার ঘষে নিয়ে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিল টুবলু। জগন সেটার দিকে একবার তাকিয়ে দেখে নিল আগুন আছে কিনা, তারপর তপো মানে তপোব্রতর … বিস্তারিত পড়ুন

চিঠিচাপাটি—— সৌরেন চট্টোপাধ্যায়

আমাদের বলাই, অর্থাৎ পাতিয়ালার বলবিন্দর সিং ওর নতুন কেনা স্করপিওর স্টিয়ারিং-এর পিছনে বসে সুরেলা গলায় গুনগুন করে রবীন্দ্রসংগীত গাইছে। শান্তিনিকেতন থেকে বাংলায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বলবিন্দরকে গুরুদেবের গান আর কবিতার একজন বিশেষজ্ঞই বলা যায়। ওর ভরাট গলার আবৃত্তি শুনে অনেককেই বলতে শুনেছি, ‘বলাইবাবুর দাড়ি আর পাগড়ি এক্কেবারে ঠিক আসল পাঞ্জাবীদের মত’। বলাই-এর পাশের সিটটা এখনও ফাঁকা, … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!