আত্মশুদ্ধি—- সম্বুদ্ধ সান্যাল

হাত দিয়ে কপালটা ঘষতেই কেমন যেন বালিময় লাগলো। কতক্ষণ এভাবে বসে আছি জানিনা। পেছন থেকে আরো একটা লোকাল ট্রেন বেড়িয়ে গেলো। ক’টা বাজে তাও জানিনা। রেললাইনের অপর পাশে বাড়ির গাছগুলোর ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে সূর্য্যটা নিভু নিভু। বোধহয় ঘুমিয়েই পড়েছিলাম খানিক। মাথাটা বড় ঝিমঝিম করছে। বাচ্চাদুটো খেলছিলো যে, তারাও বোধ হয় চলে গেছে। ভাইবোনই হবেমনে … বিস্তারিত পড়ুন

কসাই—– ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়

আ রে এ সাবন, এ পওবন …আ যা, আ যা বেটা, আরে এ পবনিয়া’ —-একটা ছাগল বাচ্চাকে একহাতে ধরে বাকী দুটো ছাগল বাচ্চাকে একটা দড়িতে বেঁধে টানতে টানতে গোয়ালে ঢোকালো ছগন। তার একটাই ঘর। লম্বা টানা মাটির ঘর, খাপরার চাল। উপরে ভাঙ্গা টিন ইঁট চাপা দিয়ে রেখেছে। মাঝে খাপরা কোথাও কোথাও ভেঙ্গে গেছে, বৃষ্টির জল … বিস্তারিত পড়ুন

ভগবান দা—- সুবীর কুমার রায়

হ্যালো, প্রভু আছেন? একটু লাইনটা দিন না প্লীজ। কে বলছেন? কাকে চাইছেন? আঁজ্ঞে আমি ভগবান ডট্ কম্ পত্রিকা থেকে ওনার এক সন্তান, মদন গুপ্ত বলছি। প্রভুকে একবার বিশেষ প্রয়োজন, লাইনটা ওনাকে একবার দিন না। আমি বেশী সময় নেব না। তাতো বুঝলাম, কিন্তু আপনি কাকে চাইছেন? আঁজ্ঞে স্যারকে, মানে ভগবান বাবু, সরি, মানে প্রভু ভগবানজীকে। কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

রক্তের ঋণ—– ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়

মন্দিরাকে খুব বিচলিত দেখাচ্ছে । সারা ঘরে পায়চারি করছে, যেন গভীর কোন সমস্যায় পড়েছেন, বেরোবার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না । একটু আগে একটা ফোন এসেছিল । তাঁর পরেই এই অস্থিরতা । এমনিতে খুব সুখী সচ্ছল পরিবার । স্বামী সুশান্ত একলাখী কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ, সে নিজেও সমাজের বেশ কেউকেটা – মহিলা সমিতির সম্পাদক। মহল্লার মান্যিগন্যি মানুষ, পাড়ার … বিস্তারিত পড়ুন

ঈর্ষা— ঝর্না চট্টোপাধ্যায়

ইদানীং লালু স্যাকরার ভাইপো রতন আর তাঁতিপাড়ার নিমাই তাঁতির ছোট ব্যাটা শিবুর বেশ ভাবসাব। রতন মাঠের ধারে বড় রাস্তার ওপরে একটা তেলেভাজার দোকান দিয়েছে। কিন্তু তেলেভাজা দিয়ে শুরু করলেও সেখানে ডিমভাজা, যাকে ওরা বলে মামলেট সঙ্গে পাঁউরুটি, মুড়ি-চপ, ঘুঘনি এসবও পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে লালু স্যাকরার ছো্ট মেয়ে বীণা ইশ্‌কুল থেকে ফিরবার পথে দাদার … বিস্তারিত পড়ুন

ভেজাচোখে স্বপ্ন—- রোজা অদিতি

দু’দিন আগে রহিম ঢাকা এসেছে । রহিমের খবর জানে না মা। মামার বাড়ি যত্নে থাকবে জানে। তবুও মায়ের মন। আনচান করে । কখনও তো রহিমকে ছাড়া থাকে নি।আসতে দিতে চায় নি মা। মায়ের প্রাণ। বুক কেঁপেছে থর থর, বাম চোখের নিচের পাতা ফড়কেছে বার বার। অশুভ লক্ষণ। মা বারণ করেছে। চৈতমাসের গরম বাজান, এখন গিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

অমল বাবু—- সুবীর কুমার রায়

অফিসে অমল বাবু নামে নতুন এক অফিসার জয়েন করলেন। ইনি অতি কৃপণ, তবে চেহারা ও ব্যবহার একবারেই শিশুসুলভ। তিনি স্থানীয় এলাকার দীর্ঘদিনের বাসা ছেড়ে অচেনা অজানা কোন্নগরে একটা বাড়ি কিনে বসলেন। অতদুরে হঠাৎ এক অচেনা জায়গায় চলে যাবার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি শুধু বললেন, “আপনার কোন ধারণা নেই, জায়গাটা খুব ভালো ও সস্তা। আমার বাড়ির … বিস্তারিত পড়ুন

স্বপন—- প্রবীর কুমার রায়

  দীর্ঘ তের বছর পর হঠাৎ গড়িয়াহাটের মোড়ে স্বপনের সাথে দেখা। না, ঠিক বললাম না। মধ্যে বার দু’এক ওর সাথে দূর্গাপুর বা পানাগড়, কোথায় যেন, হাওড়া আসার পথে খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা হয়েছিল। ভিড় ট্রেনে সে ভাবে কথা বলার সুযোগ ছিল না। তবু ওরই মধ্যে সামান্য দু’চার কথায়, তার পুরানো স্বভাবের ছবিটাই ফুটে উঠলো। … বিস্তারিত পড়ুন

খেলার পুতুল —– দেবাশিস কোনার

‘কত না রংবাহারি ফুলের মালায় খোঁপাটি মনের মত সবাই সাজায় ।’ এটি একটি গানের লাইন । লাইনটির মধ্যে ভুল থাকতে পারে আবার ঠিকও হতে পারে । কিন্তু এই বাক্যবন্ধের মধ্য দিয়ে যে কথা বলবার প্রয়াস , তা হল আমরা সকলেই নিজেকে ভালবাসি। নিজেকে সর্বদা সুন্দর করে সাজাতে চাই । আমরা আসলে খেলার পুতুল । কোনও … বিস্তারিত পড়ুন

মার্জার উপাখ্যান০—-সুবীর কুমার রায়

  ছোটবেলা থেকেই আমার পশুপাখির ওপর একটা কৌতুহল, ভালবাসা ও ভাললাগা আছে। পাখি পোষা আমার কপালে নেই, কিন্তু কুকুর, খরগোশ, গিনিপিগ, সাদা ইঁদুর, কী না বাড়িতে এনে যত্ন করে পুষেছি? তাদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে লক্ষ্যও রেখেছি। একবার একটা পায়রার নখ বড় হয়ে গেছে মনে করে ব্লেড দিয়ে নখ কেটে দিয়ে, বাবার কাছে প্রহারও খেয়েছি। পায়রাটার পা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!