নেহাত জলছাপ— নাহার মনিকা

সমুদ্রের গায়ে নিজের শরীরের ভার ছেড়ে দেয়া’র পলকা স্বপ্নটার ওজন বাড়ছে, যেন শ্যাওলা, যেন ভাসতে ভাসতে, বয়স বাড়তে বাড়তে গভীর তলদেশে গিয়ে থিতু হওয়া প্রক্রিয়াটার নাম বেঁচে থাকা। অথচ এখনও কোনদিন সমুদ্র দেখা হলো না। ‘এখন সমুদ্র তলদেশও হানিমুনে যাওয়ার উপযুক্ত’- ডিসকভারি চ্যানেল দেখতে দেখতে রায়হান বলে দেয়। কথাবার্তার মতই ওর সঙ্গে আমার ফারাক বেশী। … বিস্তারিত পড়ুন

মর্শিয়া বানুর আরেক সকাল — নাহার মনিকা

এমন সকালে, এমন সকাল বেলায় মর্শিয়া বানুর মনে হয়- জীবনে বিলাসিতা না থাকা ঠিক না। একতলা বাড়ির বারান্দায় বসে থাকার সকাল দশটা, নাশতা, চা শেষ। আধপড়া খবরের কাগজ আলস্য করে তার ইজি চেয়ারের হাতলে। আঙ্গুলের ডগা চুলে মই দেয়, অন্য হাত মনে মনে রোদের আভিজাত্য গায়ে মেখে পরিচ্ছন্ন উঠানে তার পোষা বেড়াল যেভাবে ইতস্তত ফড়িং … বিস্তারিত পড়ুন

হাওয়া বিবির রাশিচক্র —- পাবলো শাহি

চিত্ত গড়ার কাজে নিজেকে নিবৃত করা কঠিন। মানুষ তার আত্মাকে নির্মাণ করার মধ্যদিয়ে বিবেকের ক্ষতিপূরণ দেয়। জীবনের ছোটখাটো ঘটনাকে মহৎ করে তুলতে হবে– আত্মনিয়োগের বাসনা এভাবে পেয়ে বসে মানুষের মধ্যে। একে উচ্চপ্রশংসিত ভিতর-পাঠ বলা যেতে পারে। ভিতর মানে অবান্তর অর্থাৎ যে জিজ্ঞাসা আমাদের ছিটকে দিয়েছে ‘অখণ্ড’ থেকে। অন্তরের এ বিবরণী নিয়ে একটি বক্তৃতা দেওয়া যেতে … বিস্তারিত পড়ুন

হিজল ফুল ও অজ্ঞাতনামাবলি—মির্জা মুজাহিদ

যুবকটি দ্রত পায়ে হাঁটে, কোথায় যাবে জানে না। ফার্মগেট চৌরাস্তার কোণে দাঁড়িয়ে থাকে, তাকে অতিক্রম করে যায় দ্রুতগামী শহরের গাড়ি। সে গোনার চেষ্টা করে না। এভাবে কিছুক্ষণ প্রত্যহ সে দাঁড়িয়ে থাকে, তারপর হুট করে উঠে পড়ে মিরপুরের কোনো বাসে। মিরপুর, অনেক বেলা। সে কোথায় যাবে? একদিন তারও যাওয়ার জায়গা ছিল। একটা রাস্তা ছিল ব্যক্তিগত, হেমন্তের … বিস্তারিত পড়ুন

মেঘ এবং আষাঢ়ের বৃষ্টি— রমজান মাহমুদ

ফোনে কথা বলার মাঝে মজা করে বলতাম, আচ্ছা আমাদের কি কখনো দেখা হবে? মেঘ আলতো করে হাসতো, সে হাসি আমার কাছে খুব রহস্যময় মনে হতো। মাঝে মাঝে ভাবতাম, আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে থেকে কি কেউ মজা করছে, নাকি মেঘ নামে রহস্যময় এ বালিকা মেঘের রাজ্য থেকে খানিকটা সময় মজা করে সময় পার করছে, … বিস্তারিত পড়ুন

কর্ম কন্যা

আমার শ্বাশুড়ির দরকার নাই! কাজের বুয়া চাই; কাজের বুয়া। বুঝতে পেরেছো? বুঝে কি করবো? বয়স একটু নাজুক হলেইতো তোমাকে আবার সতীনের ভয় তাড়া করে! ওসব কবর চাপা দাও! এখন এই নবাবের বেটীকে বিদেয় করো প্লিজ! কাজের মেয়ে নিয়ে জামী মহাবিপাকে। ক’দিন পরপরই এক ধান্দা। এখানে যাও। ওখানে খোঁজো। যত্তেসব! ইচ্ছে করে সব ছেড়ে ছুঁড়ে একতারা … বিস্তারিত পড়ুন

মানুষ–শাওন চৌধুরী

||১|| পেছন থেকে একটা কষে লাথি মারলাম প্রাণীটাকে। এমনিতেই বিশাল মাথাটার কারণে প্রানীটা ঠিকভাবে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে না, তার ওপর প্রচন্ড বল প্রয়োগ করা হয়েছে। তাল সামলাতে না পেরে মুখ থুবড়ে পড়ে গেল প্রাণীটা। আমি নাক দিয়ে ফোঁস করে একটা শব্দ করে অন্যদের দিকে তাকিয়ে বল্লাম,”তোমাদের গবেষণায় সুবিধা করে দিলাম। মানুষ রেগে গেলে কি … বিস্তারিত পড়ুন

খেলাবুড়া— জাহেদ মোতালেব

মরা গরুর উপরে বসা মাছির ঝাঁক দেখছে-এ রকম চোখে দর্শকের দিকে তাকায়। বুড়া খেলা দেখাবে। তার সারা শরীরে প্রস্তুতির ভঙ্গি। শহীদ মিনারের সামনে লোকেরা গোলাকার দাঁড়িয়েছে। সে এক পাক ঘুরে মুখে চিতা বাঘের আদল আনে। বলে, শোনেন ভাইসকল, মাইনষের পোঁদে লাত্থি মারা এহন দারুণ কাজ। গাঢ় সন্ধ্যায় বুড়ার ন্যাড়া মাথা সোডিয়াম লাইটে চকচক করে। সে … বিস্তারিত পড়ুন

নিভে যাবার আগে— লাবিব ওয়াহিদ

চারপাশ অন্ধকার করে মাঝখানে একফোঁটা জলের মতো ছোট্ট হয়ে বসে আছে রোদ্দুর। রোদের চোখে জল শরতের মেঘের মতো ছুটে ছুটে আসে যায়। যদি দূর থেকে কেউ তাকায়, দেখবে অনেক অন্ধকারের মাঝখানে একটা আলোকবিন্দু। সেই বিন্দু নিজে যখন সামনে তাকায়, তখন শুধুই জেলীর মতো থকথকে অন্ধকার। রোদ্দুর ৫ বছর আগে থেকেই জানে, কেউ বাচবে না। কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

অসময়ের গল্প – ইকবাল মাহমুদ

সন্ধ্যেবেলা। বিকেলে আলো ম্রিয়মান হয়ে রাত্রির আঁধারে ডুবে যেতে না যেতেই হিম কুয়াশা চারপাশ ঢেকে দিয়েছে সাদা চাদরে। ব্যস্ত-ত্রস্ত লোকজন তাদের দিনের দেনা পাওনা মিটিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ঘরে। কিছু মানুষ-যাদের আশ্রয় বলতে গভর্নমেন্টর কালো পিচ-তারা শুকনো পাতা জমিয়ে শহরের প্রধান সড়কে জ্বেলে নিয়েছে আগুন। একটু উষ্ণতায় শরীর ঢাকবে বলে। কেউ বা চাদরে শরীর ঢেকে আশ্রয় … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!