পিকনিক ও হলুদ ভাঁট ফুল —তাপসকিরণ রায়

আমি মরে পড়ে ছিলাম। পাথরের বিরাট এক চাঁইয়ের ওপর। আমার দেহ সটান পড়েছিল। নির্জীব। বন্ধুরা আমায় জঙ্গলের আনাচে কানাচে নদীর পারে খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছিল। ওরা গলা ফাটিয়ে আমার উপস্থিতির জাহির চাইছিল। কিন্তু আমি তো তখন নিশ্চুপ। বস্তুত ঘটনাটা এমনি ছিল। পিকনিকে বেরিয়ে ছিলাম বন্ধুরা মিলে। আমি,মনোজ,ভোলা,দুলাল সব মিলে সাত জনের মত। মফস্বল জাগায় থেকেও … বিস্তারিত পড়ুন

সমীরদার বিয়ে— ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী

পেন্টু আমার ছোটবেলার বন্ধু । আমি , পেন্টু ,খোকন তিনজনেই এক স্কুলে পড়তাম । সকালে স্কুল থেকে ফিরতে ফিরতে ১ টা বাজতো । স্নান সেরে খাওয়ার পর হোম ওয়ার্ক থাকলে সেরে ফেলতাম । মা , সারা বাডির কাজ সেরে একটু বিশ্রাম নিতেন দুপুরে । ঠিক সেই ফাঁকে আমি জাল আলমারিতে রাখা নারকেলের নাড়ু সব ফাঁক … বিস্তারিত পড়ুন

বাসা জানাচ্ছে — রূপঙ্কর সরকার

কাজকুমারী হাঁফাতে হাঁফাতে সিঁড়ি দিয়ে উঠে এল। মামা, মামা, ডেড বডিটা এখনও পড়ে আছে । মুখে মাছি বসতেছে গো। আমি চায়ের সঙ্গে খবরের কাগজের একটা নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টায় মগ্ন ছিলাম, বললাম, কিসের ডেড বডি? আসলে কাজকুমারী নিয়তই স্কুপ নিউজ ছাড়ার ভঙ্গিতে হাঁফাতে হাঁফাতে সিঁড়ি দিয়ে উঠে এসে নানা রকম খবর সরবরাহ করে। দুহাজার এগার … বিস্তারিত পড়ুন

অবাক প্রজাপতি—— তন্ময় দত্ত গুপ্ত

প্রজাপতি উড়ে এলেই চোখ খুলে যায় সায়ন্তনীর। প্রজাপতির ডানায় কেমন মেরুন রঙের পুঁথির গোল গোল দাগ।কিন্তু মানুষ কি করে প্রজাপতি হবে?মার কথাগুলো পিং পং বলের মত নাচতে থাকে।তারপর ধীরে ধীরে শান্ত হয়। সায়ন্তনী চেয়ে দেখে।কতো আগুন কতো ঝড় ঝাপটার মাঝেও প্রজাপতিরা ডানা ঝাপটায়।প্রশান্তির বৃষ্টি নামে।জীবন তো রোদ বৃষ্টির বালুকা বেলা।কখনও রোদ তো কখনও বৃষ্টি।কারও কারও … বিস্তারিত পড়ুন

সহকর্মী—- ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়

মাঠ ভেঙ্গে একরকম ছুটেই আসছিল মিত্রা। বড় বড় পা ফেলে ফেলে আসছিল অফিস ঘরের দিকে। কালকে স্কুলের একটা মিটিং আছে। ঠিক স্টাফ রুম থেকে বেরোবার মুখে বড়দি হাতে ধরিয়ে দিলেন কাগজটা। বড়দির মুখের ওপর না বলতে পারেনি। এখন এই কাগজটা দিয়ে আসতে হবে অফিসে, বরুণবাবু কে। বরুণবাবু তাদের অনেক দিনের পুরোনো কর্মী, তাঁকেও ঠিক ডেকে পাঠানো … বিস্তারিত পড়ুন

নিমন্ত্রণ—- নন্দিতা ভট্টাচার্য

এক আমগাছের নিচে মানুষটি ঝুড়ি হাতে কিছু একটা তুলছিল, ঢেঁকিশাক বোধহয় । আমাকে দেখে মুখ তুলে চাইল , কি করছ দিদি ? আধবয়েসি মানুষটির মুখ থেকে দিদি ডাক শুনে কেমন অস্বস্তি লাগছিল । ‘দিদি’ সম্বোধন এক ধরনের সম্ভ্রম জাগায় । আমি এগিয়েগিয়ে বললাম , আপনি কি করছেন ? শাক তুলছেন?– তিনি বন আঁতিপাঁতি করে শাক … বিস্তারিত পড়ুন

হা -ডু-ডু—- ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়

মা ষষ্ঠীর কৃপায় আমার দিদিমায়ের ছেলেপুলের অভাব ছিল না। পুত্রকন্যা সব মলিয়ে নয়টি সন্তান ছিল তাঁর। আমার মায়েরা ছিল পাঁচবোন ও চার ভাই। সব ভাই বোনেদের প্রায় ছয়টি করে সন্তান। সন্তানে সন্তানে ছয়লাপ একেবারে। প্রথম চারজনের চব্বিশটি, বাকি পাঁচজনের মিলিয়ে বারোটি। অর্থাৎ দিদিমার নাতি-নাতনীর সংখ্যা ছত্রিশটি । এই বিশাল বাহিনী জমায়েত হত বছরে একবার পুজোর … বিস্তারিত পড়ুন

তির্যক— ত্রিভুবন মুখার্জী

আমার গল্পের নায়িকা উচ্চ মধ্যবিত্ত ঘরের এক মহিলা। তিনি সর্ব গুণসম্পন্না এক ভারতীয় নারী। শিক্ষিতা, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও ওডিষি নৃত্যেও পারদর্শী । বলতে গেলে প্রতিভাসম্পন্না নারী । তা সেই মেয়েটিকে নিয়ে আমার গল্প লেখা কেন ? তার মনে , আচরণে প্রেম-প্রীতির যে ছবি আমি দেখেছিলাম সেটাই আমার গল্প লেখার কারণ । মেয়েটির নাম পায়েল । … বিস্তারিত পড়ুন

রক্তের গন্ধ —-দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

  অলকেশ একটা সাধারণ লাইব্রেরীয়ান হতে চেয়েছিল । আজকাল পাঠক সংখ্যা কিভাবে যে কমে আসছে । এখন এই অলকেশকিছু কাজ সেরে নেয় । মিলিয়ে নেয় বইয়ের সংখ্যা । তারপর বইগুলো ঘেঁটে ঘেঁটে সঠিক না পড়া বইটিকে খুঁজে মুখ গুঁজে দেয় অলকেশ । আজ সে বের করেছে বাংলায় লেখা সেক্সপীয়রের ‘ ম্যাকবেথ’ । এতোবার বইটা পড়েছে … বিস্তারিত পড়ুন

নিহত বাসনা —- শান্তিময়কর

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই মনটা কেমন কু গাইছিল সুলতার । রাত্রে ঘুমের মধ্যে কি রকম বিচ্ছিরি একটা স্বপ্ন দেখেছিল সে, কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছে না এখন আর ।  মনটা কেমন যেন ভারি হয়ে আছে এবং তার কেবলই মনে হচ্ছে একটা অঘটন কিছু ঘটতে যাচ্ছে । সকালে জেগে ওঠার পর থেকে ঘর সংসারের … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!