টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-সপ্তম পর্ব

গল্পের অষ্টম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। তারপরই চমক ভাঙ্গে আমার। তাকিয়ে দেখি ঠোঁটের কোণে ম্যানিলা চুরুট পুড়ছে। অস্থির চঞ্চল পায়ে রাজাবাহাদুর ঘরের ভেতর পায়চারি করছেন। চোখেমুখে একটা চাপা আ—ঠোঁটদুটোর নিষ্ঠুর কঠিনতা। কখনো ভোজালি তুলে নিয়ে নিজের হাতের ওপরে ফলাটা রেখে পরীক্ষা করেন সেটার ধার। আবার কখনো বা জানালার সামনে খানিকক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন … বিস্তারিত পড়ুন

অদৃশ্য আশা– মাটির মানুষ মিজান

  একটাই ভাল শার্ট আমার।ইস্ত্রি করে পড়লে খুব একটা খারাপ দেখায় না।মুখে কিছু না দিয়েই চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে চললাম।পকেটে খুচরা খাচড়া মিলে আছে ৫০ টাকা।কাল ফোন দিয়েছিলাম বন্ধু রিয়াদ কে।১০০ টা টাকা ধার চেয়েছিলাম।কিন্তু বলল তার কাছে নেই।যাক বন্ধু মানুষ মিথ্যা হয়ত বলে নি। এই বাস, টেম্পুতে ধাক্কাধাক্কি মারামারি করে শেষ পর্যন্ত ইন্টারভিউ হলে পৌছালাম।আজকাল … বিস্তারিত পড়ুন

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-১ম পর্ব

গল্পের ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। সকালে একটা পার্সেল এসে পৌঁছেছে। খুলে দেখি একজোড়া জুতো। না, শত্রুপক্ষের কাজ নয়। একজোড়া জুতো পাঠিয়ে আমার সঙ্গে রসিকতার চেষ্টাও করেনি কেউ। চমৎকার ঝকঝকে বাঘের চামড়ার নতুন চটি। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, পায়ে দিতে লজ্জা বোধ হয় দস্তুরমতো। ইচ্ছে করে বিছানাইয় শুইয়ে রাখি। কিন্তু জুতোজোড়া পাঠালো কে? কোথাও … বিস্তারিত পড়ুন

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-২য় পর্ব

গল্পের ৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। পথের দুপাশে তখন নতুন একটা জগতের ছবি। সবুজ শালবনের আড়ালে আড়ালে চা-বাগানের বিস্তার, চকচকে উজ্জ্বলে পাতার শান্ত, শ্যামল সমুদ্র। দূরে আকাশের গায়ে কালো পাহাড়ের রেখা। ক্রমশঃ চা-বাগান শেষ হয়ে এল, পথের দুপাশে ঘন হয়ে দেখা দিতে লাগল অবিচ্ছিন্ন শালবন। একজন আর্দালি জানাল হুজুর, ফরেস্ট এসে পড়েছে। ফরেস্টই বটে।পথের … বিস্তারিত পড়ুন

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-৩য় পর্ব

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আশ্চর্য এই জঙ্গলের ভেতরেও এত নিখুঁত আয়োজন। এমন একটা বাথরুমে জীবনে আমি স্নান করি নি। ব্রাকেটে তিন চারখানা সদ্য পাট ভাঙ্গা নতুন তোয়ালে, তিনটে দামি সোপ কেসে তিন রকমের নতুন সাবান, র্যাকে দামি দামি তেল, লাইমজুস। অতিকায় বাথটাব—ওপরের ঝাঁজরির। নিচে টিউবোয়েল থেকে পাম্প করে এখানে ধারাস্নানের ব্যবস্থা। একেবারে … বিস্তারিত পড়ুন

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-চতুর্থ পর্ব

গল্পের পঞ্চম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। বললাম—ছেলেবেলায় এয়ার গান ছুঁড়েছি। রাজাবাহাদুর হেসে উঠলেন—তা বটে। আপনারা কবি মানুষ। অস্ত্রশস্ত্রের ব্যাপার আপনাদের মানায় না। আমি অবশ্য বারো বয়সেই রাইফেল হাতে তুলে নিয়েছিলাম। আপনি চেষ্টা করে দেখুন না, কিছু শক্ত ব্যাপার নয়। উঠে দাঁড়ালেন রাজাবাহাদুর। ঘরের একদিকে এগিয়ে গেলেন। তাঁকে অনুসরণ করে আমি দেখলাম—এ শুধু লাউঞ্জ নয়, … বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষুধার মন্দির–৩য় পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। যে এতিমখানায় সালাম থাকে সেখানে খাবার দেয় নাম মাত্র। তারা বেশির ভাগ এতিমই কুড়িয়ে বাছিয়ে কাম কাজ করে চেয়ে চিন্তে কখনোবা চুরি চামারি করে খুঁটে খায়। ছোট বলে কেউ সালামকে কাজ  দেয় না। আর এতিমখানার দেওয়া সবুজ পুরানো পাঞ্জাবী টুপি দেখলে সবাই দূর দূর করে  বকে  দেয়, সরকারের … বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষুধার মন্দির–শেষ পর্ব

গল্পের ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। হোক তার নাক হাতির শুড়ের মত। তবু মা পাবে তো সে। তার মা । এক ভাগ খাবার পাঁচভাগ করে রাসিদাসি যখন খেতে দেয় তখন ওর বুক ফুলে ওঠে। ও নিশ্চিত আনন্দে বোঝে এই মা। মা এইরকমই হয়।গলির মোড়ে সালাম থরথর করে কাঁপে আর ভাবে গরীবের জন্যে কেউ নাই … বিস্তারিত পড়ুন

বংকা স্যারের ব্যঙ্গচিত্র — শৈবাল চক্রবর্তী- পঞ্চম পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ভাল করে দেখবে বলে একটু এগুতে গেছে এমন সময় পেছন থেকে ক্যাক করে কে তার ঘাড়টি চেপে ধরে। ভোম্বল দেখে বংকিম-স্যার। মুখে নিষ্ঠুর হাসি, এইবার তোমায় আমি ব্যঙ্গচিত্র বানাচ্ছি, দাঁড়াও। ডোম্বল পাঁচিলের দিকে আঙুল তুলে বলে, স্যার দেখুন। স্যার পাঁচিলের দিকে তাকান। আর সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজে কার্টুন … বিস্তারিত পড়ুন

বংকা স্যারের ব্যঙ্গচিত্র — শৈবাল চক্রবর্তী-শেষ পর্ব

গল্পের ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। পাছে নিজের চেহারা দেখলে লোকে চিনে ফেলে, দুয়ো দেয় বুড়ে বয়সে পড়তে আসছে, তাই একটা সাজ গায়ে চাপিয়ে হাজির হতো উন্টে রাস্তা ধরে.যদি একটুও বুঝত যে ওকে এইভাবে দেখলে কেউ ভূত ভাববে তাহলে কি ভুলেও এমন কাজ…কি জটাইদা, সত্যি কিনা? জটাই জিভ কাটে, মাথা নাড়ে। অর্থাৎ রাম বল, … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!