চিত্তরঞ্জন অথবা যযাতির বৃত্তান্ত————হরিশংকর জলদাস

‘খেয়াল করেছ?’ ‘কী?’ ‘ছেলেটা কেমন করে দিন দিন বদলে যাচ্ছে।’ চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলেন চিত্তরঞ্জনবাবু। স্ত্রীর কথায় চোখ তুলে তাকালেন। কিছুটা আন্দাজ করেছেন তিনি। তারপরও বললেন, ‘কার কথা বলছ?’ ‘তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে, ছেলে আমাদের ডজনখানেক।’ একটু করে হাসলেন সুপ্রভা দেবী। বললেন, ‘ছেলে তো আমাদের ওই একটাই, অর্ণব। তার কথাই তো বলছি তোমা…।’ মুখের … বিস্তারিত পড়ুন

চমক ——————রহম মাহবুব তালুকদার

চমক নামের মধ্যে একটা চমক আছে। নিজের নাম নিয়ে রীতিমতো গর্ব অনুভব করে সে। আজকাল সব লেখক নিজেরা নিজেদের নামকরণ করে থাকে। পিতৃপ্রদত্ত হাবীবুর রহমান ওসমানী বাদ দিয়ে এখন সে চমক রহম। রহম শব্দটা রহমানের শর্টকাট। রহমানকে কোনো কোনো কবি-লেখক রাহমান বা রেহমান করেছেন। কিন্তু রহম কথাটা রহমানের অপভ্রংশ হিসেবে বেটার। নতুন নাম নিয়ে একজন … বিস্তারিত পড়ুন

মায়ার প্রার্থনা———–নীহারুল ইসলাম

  রিয়া ক্লাস ফাইভে পড়ে। ওর দাদা বিভাস ক্লাস সেভেনে। বিভাস পোলিও আক্রান্ত। অবশ্য তার একটা হুইল চেয়ার আছে। যেবার দরগার স্কুলে ফাইভে ভর্তি হয়, স্কুল থেকে ওটা দিয়েছিল। ওটায় চড়ে দাদা স্কুলে যায়। সঙ্গে রিয়া নিজে থাকে। স্কুলের রাস্তাটা খুব খারাপ। তার ওপর গাড়িঘোড়ার ভিড়। গাড়িঘোড়া বলতে গরুগাড়ি-ঘোড়াগাড়ি নয়, মাটির বহা ট্রাক-ট্রাক্টর – আজকাল … বিস্তারিত পড়ুন

অসামান্য অতিথি—- মোশতাক আহমদ

তার একটা আলাদা রকমের দীপ্তি ছিল, না হলে কী এই আমি অত সহজেই আলোকিত হই! সে ছিল এক সম্মোহনী আলো। আমরা দু জনে সেই কবে জলের মধ্যে ঘর বেঁধেছি ‘জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার’ শূন্য করে দিয়ে! দু’জনের প্রথম যৌবন যে নিয়মে চলেছে, তা অচল এখন । জলের ওপরের বস্তু, দৃশ্য, শব্দ, সময় ইত্যাদি যেসব অর্থ বহন … বিস্তারিত পড়ুন

ডেকচি— জান্নাতুন নাঈম প্রীতি

সে মেলাদিন আগের কথা,সোহাগপুর গ্রামে একটা ডেকচি কেনা হয়েছিল এককালে। এতবড় ডেকচি সে গ্রামের ছেলেপুলেরা আগে কখনো দেখেনি। মসজিদের শিরনী রান্না হত এই ডেকচিতে, বিয়ের পোলাও রান্না হত এই ডেকচিতে। ডেকচি দিয়ে কাজের অন্ত ছিলোনা গ্রামের লোকের, আবার কাজ ফুরালে গালি দেয়ারও অন্ত ছিলোনা। গালি দেয়ার কেন অন্ত ছিলোনা সেই ঘটনাটা বিতং করে বলাই ভালো। … বিস্তারিত পড়ুন

সময়ের গল্প – ইকবাল মাহমুদ

সন্ধ্যেবেলা। বিকেলে আলো ম্রিয়মান হয়ে রাত্রির আঁধারে ডুবে যেতে না যেতেই হিম কুয়াশা চারপাশ ঢেকে দিয়েছে সাদা চাদরে। ব্যস্ত-ত্রস্ত লোকজন তাদের দিনের দেনা পাওনা মিটিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ঘরে। কিছু মানুষ-যাদের আশ্রয় বলতে গভর্নমেন্টর কালো পিচ-তারা শুকনো পাতা জমিয়ে শহরের প্রধান সড়কে জ্বেলে নিয়েছে আগুন। একটু উষ্ণতায় শরীর ঢাকবে বলে। কেউ বা চাদরে শরীর ঢেকে আশ্রয় … বিস্তারিত পড়ুন

দিন ফাল্গুন সকালে — শামসুজ্জোহা মানিক

সেদিন ছিল ফাল্গুনের মিঠে রোদ মাখানো সকাল। সুজন সকালের সব কাজ শেষ করে একটা বই নিয়ে বসেছিল। এমন সময় রেখা এসে উপসি’ত হয়। রেখার সঙ্গে সুজনের পরিচয় তার এক বন্ধু হাসান সাহেবের বাসায়। হাসান সাহেবের বাসায় সুজন মাঝে মাঝে যায়। আর সেখানে গেলে অনেক সময় রেখার সঙ্গে তার দেখা হয়। হাসান সাহেব যে বাসায় থাকেন … বিস্তারিত পড়ুন

চর্যাচর্য গল্প বিনিশ্চয় — মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন

এক সে শুণ্ডিনী দুই ঘরে সান্ধই। চীঅন বাকলত বারুণী বান্ধই।। সহজে থির করি বারুণী সান্ধ। জে অজরামর হোই দিঢ় কান্ধ।। দশমি দুয়ারত চিহ্ন দেখিআ। আইল গরাহক আপনে বহিআ।। চউশঠী ঘড়িয়ে দেউ পসারা। পইঠেল গরাহক নাহি নিসারা।। এক খড়ুলী সরুঅ নাল। ভনন্তি বিরুআ থির করি চাল।। আধুনিক বাংলা: এক সে শুঁড়িনী দু’ঘরে ঢোকে। চিকঅ (গাছের) বাকল … বিস্তারিত পড়ুন

জবরদস্ত জাদুবাস্তবতার জাদুকর – হাবিব ইমরান —- জাল বিস্তার পর্ব

এক. আকাশে তখন অনেক তারা ছিলো। এমন একটা সময়ে মেয়ের হাত ধরে এডওয়ার্ড ডি কস্তা ফিরে এসেছিলো তার গ্রামে। প্রায় বিশ বছর পর তার এই প্রত্যাবর্তন ছিলো। তারপরও আট বছর বয়সী মেয়ের হাত ধরে পূর্বপুরুষের জমিদার বাড়ি খঁুজে পেতে তার মোটেও কষ্ট হয় না। সে আবিষ্কার করে গুটিকয়েক পাকা বিল্ডিং আর দুয়েকটি বাড়িতে ইলেকট্রিক বাল্ব … বিস্তারিত পড়ুন

এক বাদলের গল্প – অবনী চারিতা

কার ছেলে তুমি, জিজ্ঞেস করতেই শান্ত স্বরে সাত-আট বছরের ছেলেটি বলল, বেশ্যার ছেলে আমি। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম আমি, কি বলছে এই ছেলে! আমার ভিতরে ঝড়ের মত উন্মাদনা শুরু হল। পার্কে এসেছিলাম একটু হাওয়া খাবার জন্যে, ভিক্টোরিয়া পার্ক আমাদের জগন্নাথ কলেজের সামনেই, প্রতিদিনই কলেজে ঢোকার সময় গাঢ় লিপস্টিক পরা মেয়েদের দেখি, ছোট ছোট বাচ্চাদের দেখি … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!