ভূত ধরলেন বিনোদবিহারী — উল্লাস মল্লিক-৩য় পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ক’দিন আগেই তো, রান্নাঘরে খুটুর-খুটুর শব্দ শুনে বড় মাসিমা উঁকি দিয়ে দেখেন, কালোমতো কেউ একটা উবু হয়ে বসে মাছভাজা খাচ্ছে। চোরছাঁচড় হবে ভেবে বড় মাসিমা ‘চোর-চোর চিৎকার করে উঠলেন। সেই চিৎকার শুনে ভূতটা এত ঘাবড়ে গেল যে, বলার নয়। সোজা বড় মাসিমার পা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে … বিস্তারিত পড়ুন

ভূত ধরলেন বিনোদবিহারী — উল্লাস মল্লিক-শেষ পর্ব

গল্পের ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। বিনোদবিহারী দৌড়ে গেলেন; ব্যাগ থেকে লম্বা একটা কন্টেনার বের করে অ্যান্টিভ্যানিশিং-ম্প্রে ফসফস করে ছিটিয়ে দিলেন ভূত দুটোর গায়ে। সাতাশরকম জড়িবুটির সঙ্গে ওঝাদের হাঁচি আর কাপালিকের হাই মিশিয়ে, তারপর তার মধ্যে দিয়ে আলফা, বিটা আর গামা রে পাস করিয়ে, তৈরি এই প্রে সম্প্রতি উবুন্ডুর এক বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন। এর … বিস্তারিত পড়ুন

ক্লাস ফ্রেণ্ড–সত্যজিৎ রায়-১ম পর্ব

গল্পের ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। সকাল সোয়া নটা। মোহিত সরকার সবেমাত্র টাইয়ে ফাঁসটা পরিয়েছেন, এমন সময় তাঁর স্ত্রী অরুণা ঘরে ঢুকে বললেন, ‘তোমার ফোন।’ ‘এই সময় আবার কে?’ কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে নটায় অফিসে পৌঁছানোর অভ্যাস মোহিত সরকারের; ঠিক বেরোনোর মুখে ফোন এসেছে শুনে স্বভাবতই তাঁর কপালে ভাঁজ পড়ল। অরুণাদেবী বললেন, ‘বলছে তোমার সঙ্গে … বিস্তারিত পড়ুন

ক্লাস ফ্রেণ্ড — সত্যজিৎ রায়-২য় পর্ব

গল্পের ৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। তারপর সেই বন্ধু বদলে গেল যখন ছাত্রজীবন শেষ করে মোহিত চাকরির জীবনে প্রবেশ করলেন। এখন তিনি তাঁর আপিসের চারজন মাথার মধ্যে একজন; এবং তাঁর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলো তাঁরই একজন সহকর্মী। স্কুলের সহপাঠীদের মধ্যে একমাত্র প্রজ্ঞান সেনগুপ্তের সঙ্গে মাঝে মাঝে ক্লাবে দেখা হয়; সেও ভালো আপিসে বড় কাজ … বিস্তারিত পড়ুন

তোতা-কাহিনী– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এক-যে ছিল পাখি। সে ছিল মূর্খ। সে গান গাহিত, শাস্ত্র পড়িত না। লাফাইত, উড়িত, জানিত না কায়দাকানুন কাকে বলে। রাজা বলিলেন, ‘এমন পাখি তো কাজে লাগে না, অথচ বনের ফল খাইয়া রাজহাটে ফলের বাজারে লোকসান ঘটায়।’ মন্ত্রীকে ডাকিয়া বলিলেন, ‘পাখিটাকে শিক্ষা দাও।’ ২ রাজার ভাগিনাদের উপর ভার পড়িল পাখিটাকে শিক্ষা দিবার। পণ্ডিতেরা বসিয়া অনেক বিচার … বিস্তারিত পড়ুন

কুড়িয়ে পাওয়া ভালোবাসা— মাটির মানুষ মিজান

আমি এখন চায়ের দোকানে বসে চা খাইতেছি, হঠাৎ মনে হল চায়ের দোকান থেকে একটা গানের আওয়াজ শুনতে পেলাম আওয়াজটা হচ্ছে পুরুনো সেই কথা মনে পরে যায়, বন্ধ তুমি কি আসবে প্রিয়, আজও তোমায় অপেক্ষায় আছি দাড়িয়ে তুমি কি আসবে ফিরে। আমার জীবনের একটা ঘটনা মনে পরে গেল। আমার একটা স্বরনীয় ঘটনা আপনাদের এখন বলব, সবে … বিস্তারিত পড়ুন

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-পঞ্চম পর্ব

গল্পের ষষ্ঠ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। —হুঃ, গুড কন্ডাকটরের প্রাইজ পাওয়া ছেলে। রাজাবাহাদুরের সুরে অনুকম্পার আভাস : আমি কিন্তু চৌদ্দ বছর বয়সেই প্রথম ড্রিঙ্ক ধরি। রাজা-রাজড়ার ব্যাপার—সবই অলৌকিক। জন্মাবার সঙ্গে সঙ্গেই কেউটের বাচ্চা। সুতরাং মন্তব্য অনাবশ্যক। ট্রে বারবার যাতাযায়াত করতে লাগল : রাজাবাহাদুরের প্রখর উজ্জ্বল্ চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে এল ক্রমশ, ফর্সা লাল গোলাপী … বিস্তারিত পড়ুন

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-ষষ্ঠ পর্ব

গল্পের সপ্তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। কিন্তু জঙ্গলের সেই আশ্চর্য স্তব্ধতা। অরণ্য যেন আজ রাত্রে বিশ্রাম করছে, একটি রাত্রের জন্যে ক্লান্ত হয়ে জানোয়ারগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে খাদের ভেতরে, ঝোপের আড়ালে। কেটে চলেছে মন্থর সময়। রাজাবাহাদুরের হাতের রেডিয়াম ডায়াল ঘড়িটা একটা সবুজ চোখের মতো জ্বলছে, রাত দেড়টা পেরিয়ে গেছে। ক্রমশ উসখুস করছেন উৎকীর্ণ রাজাবাহাদুর। —নাঃ হোপলেস। … বিস্তারিত পড়ুন

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-সপ্তম পর্ব

গল্পের অষ্টম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। তারপরই চমক ভাঙ্গে আমার। তাকিয়ে দেখি ঠোঁটের কোণে ম্যানিলা চুরুট পুড়ছে। অস্থির চঞ্চল পায়ে রাজাবাহাদুর ঘরের ভেতর পায়চারি করছেন। চোখেমুখে একটা চাপা আ—ঠোঁটদুটোর নিষ্ঠুর কঠিনতা। কখনো ভোজালি তুলে নিয়ে নিজের হাতের ওপরে ফলাটা রেখে পরীক্ষা করেন সেটার ধার। আবার কখনো বা জানালার সামনে খানিকক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন … বিস্তারিত পড়ুন

টোপ–নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-অষ্টম পর্ব

গল্পের শেষ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। মাতৃহীন ছেলেমেয়েগুলো সারাদিন হুটোপুটি করে ডাকবাংলোর সামনে। রাজাবাহাদুর বেশ অনুগ্রহের চোখে দেখেন ওদের। তেতলার জানলা থেকে পয়সা রুটি কিংবা বিস্কুট ছুঁড়ে দেন, নিচে ওরা সেগুলো নিয়ে কুকুরের মতো লোফালুফি করে। রাজাবাহাদুর তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন সকৌতুকে। আজও ছেলেমেয়েগুলো হুল্লোড় করে তাঁর চারপাশে এসে ঘিরে দাঁড়ালো। বলল—হুজুর, সেলাম।–রাজাবাহাদুর পকেটে হাত … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!