ঠাকুরদা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম পরিচ্ছেদ

নয়নজোড়ের জমিদারেরা এককালে বাবু বলিয়া বিশেষ বিখ্যাত ছিলেন। তখনকার কালের বাবুয়ানার আদর্শ বড়ো সহজ ছিল না। এখন যেমন রাজা-রায়বাহাদুর খেতাব অর্জন করিতে অনেক খানা নাচ ঘোড়দৌড় এবং সেলাম-সুপারিশের শ্রাদ্ধ করিতে হয়, তখনো সাধারণের নিকট হইতে বাবু উপাধি লাভ করিতে বিস্তর দুঃসাধ্য তপশ্চরণ করিতে হইত। আমাদের নয়নজোড়ের বাবুরা পাড় ছিঁড়িয়া ফেলিয়া ঢাকাই কাপড় পরিতেন, কারণ পাড়ের … বিস্তারিত পড়ুন

ঠাকুরদা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় পরিচ্ছেদ

নিজের অতীত মনোভাব বিশ্লেষণ করিয়া যতটা মনে পড়ে তাহাতে বোধ করি, কৈলাসবাবুর প্রতি আমার আন্তরিক বিদ্বেষের আর-একটি গূঢ় কারণ ছিল। তাহা একটু বিবৃত করিয়া বলা আবশ্যক। আমি বড়োমানুষের ছেলে হইয়াও যথাকালে এম. এ. পাস করিয়াছি, যৌবন সত্ত্বেও কোনোপ্রকার কুসংসর্গ কুৎসিত-আমোদে যোগ দিই নাই, এবং অভিভাবকদের মৃত্যুর পরে স্বয়ং কর্তা হইয়াও আমার স্বভাবের কোনোপ্রকার বিকৃতি উপস্থিত … বিস্তারিত পড়ুন

দুরাশা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-প্রথম অংশ

দার্জিলিঙে গিয়া দেখিলাম , মেঘে বৃষ্টিতে দশ দিক আচ্ছন্ন । ঘরের বাহির হইতে ইচ্ছা হয় না , ঘরের মধ্যে থাকিতে আরো অনিচ্ছা জন্মে । হোটেলে প্রাতঃকালের আহার সমাধা করিয়া পায়ে মোটা বুট এবং আপাদমস্তক ম্যাকিন্টশ পরিয়া বেড়াইতে বাহির হইয়াছি । ক্ষণে ক্ষণে টিপ্‌ টিপ্‌ করিয়া বৃষ্টি পড়িতেছে এবং সর্বত্র ঘন মেঘের কুজ্ঝটিকায় মনে হইতেছে , … বিস্তারিত পড়ুন

দুরাশা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় অংশ

কেশরলালঠাকুর কাহারো অন্নগ্রহণ বা দানপ্রতিগ্রহ করেন না । ‘ এইরূপে প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে কেশরলালকে কোনোরূপ ভক্তিচিহ্ন দেখাইতে না পারিয়া আমার চিত্ত যেন ক্ষুব্ধ ক্ষুধাতুর হইয়া থাকিত । আমাদের পূর্বপুরুষের কেহ-একজন একটি ব্রাক্ষ্মণকন্যাকে বলপূর্বক বিবাহ করিয়া আনিয়াছিলেন , আমি অন্তঃপুরের প্রান্তে বসিয়া তাঁহারই পুণ্যরক্তপ্রবাহ আপন শিরার মধ্যে অনুভব করিতাম , এবং সেই রক্তসূত্রে কেশরলালের সহিত একটি … বিস্তারিত পড়ুন

দুরাশা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-তৃতীয় অংশ

কিন্তু জীবনের এই কয়টা দিনে বুঝিয়াছি যে , অসাধ্য অসম্ভব কিছুই নাই । নবাব-অন্তঃপুরের বালিকার পক্ষে বাহিরের সংসার একান্ত দুর্গম বলিয়া মনে হইতে পারে , কিন্তু তাহা কাল্পনিক ; একবার বাহির হইয়া পড়িলেই একটা চলিবার পথ থাকেই । সে পথ নবাবি পথ নহে , কিন্তু পথ ; সে পথে মানুষ চিরকাল চলিয়া আসিয়াছে — তাহা … বিস্তারিত পড়ুন

ছুটি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-প্রথম অংশ

বালকদিগের সর্দার ফটিক চক্রবর্তীর মাথায় চট্ করিয়া একটা নূতন ভাবোদয় হইল, নদীর ধারে একটা প্রকাণ্ড শালকাষ্ঠ মাস্তুলে রূপান্তরিত হইবার প্রতীক্ষায় পড়িয়া ছিল ; স্থির হইল , সেটা সকলে মিলিয়া গড়াইয়া লইয়া যাইবে । যে ব্যক্তির কাঠ আবশ্যক-কালে তাহার যে কতখানি বিস্ময় বিরক্তি এবং অসুবিধা বোধ হইবে , তাহাই উপলব্ধি করিয়া বালকেরা এ প্রস্তাবে সম্পূর্ণ অনুমোদন … বিস্তারিত পড়ুন

ছুটি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় অংশ

অসুন্দর বালকের অন্তরে কেবলই আলোড়িত হইত । স্কুলে এতবড়ো নির্বোধ এবং অমনোযোগী বালক আর ছিল না । একটা কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে হাঁ করিয়া চাহিয়া থাকিত । মাস্টার যখন মার আরম্ভ করিত তখন ভারক্লান্ত গর্দভের মতো নীরবে সহ্য করিত । ছেলেদের যখন খেলিবার ছুটি হইত তখন জানালার কাছে দাঁড়াইয়া দূরের বাড়িগুলার ছাদ নিরীক্ষণ করিত ; … বিস্তারিত পড়ুন

খানিকটা তামার তার-১ম অংশ

মানিক চেঁচিয়ে পড়ছিল খবরের কাগজ শ্রোতা হচ্ছে জয়ন্ত। সে চোখ বুজে ইজিচেয়ারে শুয়ে আছে। তার মুখে বিরক্তির লক্ষণ । কোন খবরে নূতনত্ব নেই। খুনীরা খুন করছে সেই পুরাতন উপায়ে। চোররাও চুরি করবার নূতন পথ আবিষ্কার করতে পারছে না। সাধু এবং অসাধু সব মানুষই হচ্ছে একই বাঁধা পথের পথিক। মানিক একটা নূতন খবর পড়ছে : ‘ … বিস্তারিত পড়ুন

খানিকটা তামার তার-২য় অংশ

তাড়াতাড়ি জানালা বন্ধ করতে গিয়ে মানিকের চোখে পড়ল আর এক দৃশ্য। অমরবাবুর বাড়ির সামনে গ্যাস-পোস্টের উপরে একটা মূর্তি। পরমুহূর্তে মূর্তিটি ঝাঁপ খেল মাটির উপরে । গ্যাসের আলোকে চিনতে বিলম্ব হল না। জয়ন্ত । মানিক হতভম্বের মত দাঁড়িয়ে আছে, জয়ন্ত আবার এসে দাঁড়ালো ঘরের ভিতরে । তার হাসি-হাসি মুখ। ‘ এসব কী জয়ন্ত, তুমি চোরের মত … বিস্তারিত পড়ুন

অদ্ভুত হত্যা-রজনীচন্দ্র দত্ত-১ম অংশ

কৃত্রিম মুদ্রা প্রস্তুত করিবার অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির সম্বন্ধে বিশেষ অনুসন্ধানের নিমিত্তে আমাকে ময়মনসিংহ অঞ্চলে যাইতে হইয়াছিল। প্রায় সপ্তাহকাল সেখানে সে মোকদ্দমার যথাসম্ভব প্রমাণাদি সংগ্রহ করিয়া গোয়ালনন্দ-ট্রেনে রাত্রে কলিকাতা প্রত্যাবর্তন করি। পরদিন প্রাতঃকালে কাগজপত্র গুছাইয়া রিপোর্টাদি লিখিয়া নিজের প্রয়োজন বশতঃ জনৈক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত্ করিতে যাইবার উদ্যোগ করিতেছি, এমন সময়ে একজন কনেস্টবল যথারীতি লম্বা সেলাম … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!