পাত্র ও পাত্রী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৪র্থ অংশ

আপনাকে উৎসর্গ করতে কিছুমাত্র কৃপণতা করবে। যে মেয়ের বড়ো রকমের আশা আছে তারই আশার অন্ত থাকে না। কিন্তু, এই দীপালির দীপটি মাটির, তাই আমার মতো মেটে ঘরের কোণে তার শিখাটির অমর্যাদা হবে না। সন্ধ্যার সময় আলো জ্বেলে বিলিতি কাগজ পড়ছি, এমন সময় খবর এল, একটি মেয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। বাড়িতে স্ত্রীলোক কেউ নেই, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রগতিসংহার-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

এই কলেজে ছেলেমেয়েদের মেলামেশা বরঞ্চ কিছু বাড়াবাড়ি ছিল। এরা প্রায় সবাই ধনী ঘরের—এরা পয়সার ফেলাছড়া করতে ভালোবাসে। নানারকম বাজে খরচ করে মেয়েদের কাছে দরাজ হাতের নাম কিনত। মেয়েদের মনে ঢেউ তুলত, তারা বুক ফুলিয়ে বলত—‘আমাদেরই কলেজের ছেলে এরা’। সরস্বতী পুজো তারা এমনি ধূম করে করত যে, বাজারে গাঁদা ফুলের আকাল পড়ে যেত। এ ছাড়া চোখ-টেপাটেপি … বিস্তারিত পড়ুন

প্রগতিসংহার-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

এই রকম কথা-কাটাকাটির পালা চলত যখন তখন। সুরীতি অস্থির হয়ে উঠল—তার স্বাভাবিক গাম্ভীর্য আর টেকে না। সে ঠাট্টা করতে জানে না, অথচ কড়া জবাব করবার ভাষাও তার আসে না। সে মনে মনে জ্বলে পুড়ে মরে। সুরীতির এই দুর্গতিতে দয়া হয় এমন পুরুষও ছিল ওদের মধ্যে, কিন্তু তারা ঠাঁই পায় না। আর-একদিন হঠাৎ কী খেয়াল গেল, … বিস্তারিত পড়ুন

ছুটি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-প্রথম অংশ

বালকদিগের সর্দার ফটিক চক্রবর্তীর মাথায় চট্ করিয়া একটা নূতন ভাবোদয় হইল, নদীর ধারে একটা প্রকাণ্ড শালকাষ্ঠ মাস্তুলে রূপান্তরিত হইবার প্রতীক্ষায় পড়িয়া ছিল ; স্থির হইল , সেটা সকলে মিলিয়া গড়াইয়া লইয়া যাইবে । যে ব্যক্তির কাঠ আবশ্যক-কালে তাহার যে কতখানি বিস্ময় বিরক্তি এবং অসুবিধা বোধ হইবে , তাহাই উপলব্ধি করিয়া বালকেরা এ প্রস্তাবে সম্পূর্ণ অনুমোদন … বিস্তারিত পড়ুন

ছুটি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় অংশ

অসুন্দর বালকের অন্তরে কেবলই আলোড়িত হইত । স্কুলে এতবড়ো নির্বোধ এবং অমনোযোগী বালক আর ছিল না । একটা কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে হাঁ করিয়া চাহিয়া থাকিত । মাস্টার যখন মার আরম্ভ করিত তখন ভারক্লান্ত গর্দভের মতো নীরবে সহ্য করিত । ছেলেদের যখন খেলিবার ছুটি হইত তখন জানালার কাছে দাঁড়াইয়া দূরের বাড়িগুলার ছাদ নিরীক্ষণ করিত ; … বিস্তারিত পড়ুন

আলতা | কামরুল আলম সিদ্দিকী

মঙ্গলবার, জ্যৈষ্ঠ, ১৩৬৮ বাংলা। আজ হাটবার। ময়নাপুরের সপ্তার হাট। সুরুজ মিয়ার বাড়ির দক্ষিণেই লাগোয়া পূর্ব-পশ্চিম মেঠোপথ। মধ্যাহ্নের সূর্য পশ্চিমে ঢলতেই পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে মানুষের স্রোত নামতে থাকল ঢলের পানির মতো। উদ্দেশ্য হাট। কারও মাথায় লম্বা বরাক বাঁশ, তিন-চারটে বাঁশ একত্রে আঁটি বেঁধে দুই মাথায় দু’জনে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যেন রাস্তার উপরে বাঁশের সেতু হাঁটে তালে … বিস্তারিত পড়ুন

কখন সকাল হবে? | সকাল রায়

০১. সন্ধ্যেটা সবে আসতে শুরু করেছে; আবছা হচ্ছে আলোটা। সূর্য এখন অনেকটা সময় নিয়ে আকাশটাকে মাতিয়ে রাখে; তাই সন্ধ্যেটা আসতে দেরি হয়। আর সন্ধ্যেটা পা ফেলতেই ঝুপঝাপ আধাঁর নামতে শুরু করে। আধাঁর নামতে যখন শুরু হয় তখন আবার পাশের নালাটায় ডাক শোনা যায় ঝি ঝি পোকার। একটানা ঝি পোকার শব্দে কান মাতায়। সেই সাথে ডোবার … বিস্তারিত পড়ুন

সীমাহীন বন্ধুত্ব | ইব্রাহিম নোমান

স্কুলে তো তোমাদের অনেক বন্ধু। বাবা-মার মতো বাসায়ও আছে কাছের কিছু বন্ধু। এদের সঙ্গে তোমরা প্রায় নিয়মিতই মেলামেশা কর। তারপরও তোমার প্রিয় বন্ধুদের জন্য ৩৬৫ দিনের মধ্যে আছে আলাদা একটি দিন। আলাদা এই দিনটি হচ্ছে ‘বন্ধু দিবস’। যে দিনে বন্ধুদের সঙ্গে তোমরা মিশে যেতে পার আপন মনে। প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে পার সুন্দর সব জায়গায়। … বিস্তারিত পড়ুন

দেনাপাওনা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

পাঁচ ছেলের পর যখন এক কন্যা জন্মিল তখন বাপমায়ে অনেক আদর করিয়া তাহার নাম রাখিল নিরুপমা । এ গোষ্ঠীতে এমন শৌখিন নাম ইতিপূর্বে কখনো শোনা যায় নাই । প্রায় ঠাকুরদেবতার নামই প্রচলিত ছিল — গণেশ কার্তিক পার্বতী তাহার উদাহরণ । এখন নিরুপমার বিবাহের প্রস্তাব চলিতেছে । তাহার পিতা রামসুন্দর মিত্র অনেক খোঁজ করেন কিন্তু পাত্র … বিস্তারিত পড়ুন

দেনাপাওনা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

রায়বাহাদুর ঘরে নাই , কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিতে হইবে । মনের উচ্ছ্বাস সংবরণ করিতে না পারিয়া রামসুন্দর কন্যার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । আনন্দে দুই চোখ দিয়া জল পড়িতে লাগিল । বাপও কাঁদে, মেয়েও কাঁদে ; দুইজনে কেহ আর কথা কহিতে পারে না । এমন করিয়া কিছুক্ষণ গেল । তার পরে রামসুন্দর কহিলেন , “ এবার তোকে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!