হায় রে দাঁত

ছিল না, পরে এল, তার পরে চলে গেল, এটা কোনও ধাঁধার লাইন নয়৷‌ উক্তিটি প্রযোজ্য দাঁত সম্পর্কে৷‌ দাঁত সাধারণত বহু বছর মানুষের সঙ্গী হিসেবে থাকে, ছ-সাত মাস বয়সে গুটি গুটি মাড়ি থেকে ফুটি ফুটি হয়ে বেরোয় আবার শেষের কিছু বছরে হয়ে যায় উধাও৷‌ দাঁত গজানোর সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব বর্তায় তাকে পরিষ্কার রাখা, রোজ সকালে টুথপেস্ট … বিস্তারিত পড়ুন

অভিযোগ-কানন

  আমাদের পাশের বাড়িতে লালমুদ্দিন এর পরিবার থাকে। তার বড় মেয়ে হাজেরা আমার সমবয়সী। প্রায় সময়ই ওর সাথে আমি খেলাধুলা করি। হাজেরা যে বাড়িতে থাকে সে বাড়িতে  অনেক ধরনের ফলের গাছ আছে – বরই, পেয়ারা, আম, জাম ইত্যাদি। আমি সবে স্কুলে যাওয়া শুরু করেছি। ওদের বাড়ির পাশ দিয়েই স্কুলে যেতে হয়। প্রায় সময়ই হাজেরা আমাকে জাম, … বিস্তারিত পড়ুন

পুঁই মাচা-৫ম অংশ–বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর গল্প

ক্ষেত্তি মা’র মুখের দিকে একটুখানি চাহিয়া থাকিয়া একবার ভূপতিত মেটে আলুটার দিকে চাহিল, পরে পুনরায় মা’র মুখের দিকে চাহিয়া লইল, তাহার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখা দিল, কিন্তু মুখ দিয়া কথা বাহির হইল না। অন্নপূর্ণ কড়া সুরে বলিলেন-কথা বলছিল নে যে বড়? এই মেটে আলু তুই এনেছিস কিনা? ক্ষেত্তি বিপন্ন-চোখে মা’র মুখের দিকেই চাহিয়াছিল, উত্তর … বিস্তারিত পড়ুন

পুঁই মাচা-৬ষ্ঠ অংশ–বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর গল্প

অন্নপূর্ণ বড় গামলাটা হইতে একটুখানি গোলা তুলিয়া লইয়া হাতের আঙুল পাঁচটি দ্বারা একটি বিশেষ মুদ্রা রচনা করিয়া সেটুকু রাধার প্রসারিত হাতের উপর দিলেন। মেজোমেয়ে পুটি অমনি ডান হাতখানা কাপড়ে তাড়াতাড়ি মুছিয়া লইয়া, মার সামনে পাতিয়া বলিল-মা, আমায় একটু. ক্ষেত্তি শুচিবক্সে নারিকেল কুরিতে কুরিতে লুন্ধনেত্রে মধ্যে মধ্যে এদিকে চাহিতেছিল, এ-সময় খাইতে চাওয়ায় মা পাছে বকে, সেই … বিস্তারিত পড়ুন

পুঁই মাচা-৭ম অংশ–বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর গল্প

বাড়ির বাহির হইয়া আমলকীতলায় বেহারার সুবিধা করিয়া লইবার জন্য বরের পালকি একবার নামাইল। অন্নপূর্ণ চাহিয়া দেখিলেন, বেড়ার ধারের নীল রঙের মেদিফুলের গুচ্ছগুলি যেখানে নত হইয়া আছে, ক্ষেত্তির কম দামের বালুচরের রাঙা চেলির আঁচলখানা পালকির বাহির হইয়া সেখানে লুটাইতেছে।..তাহার এই অত্যন্ত অগোছালো, নিতান্ত নিরীহ, একটু অধিকমাত্রায় ভোজনপটু মেয়েটিকে পরের ঘরে অপরিচিত মহলে পাইয়াছে তার বুক উদ্বেল … বিস্তারিত পড়ুন

পুঁই মাচা-৩য় অংশ–বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর গল্প

সহায়হরি আমতা আমতা করিয়া বলিতে গেলেন—তা এনেছে ছেলেমানুষ খাবে বলে–তুমি আবার–বরং– পুঁইশাপের বোঝা লইয়া যাইতে যাইতে ছোটমেয়েটি ফিরিয়া দাঁড়াইয়া মা’র মুখের দিকে চাহিয়া বলিলেন-না না, নিয়ে যা, খেতে হবে না— মেয়েমানুষের আবার অত নোলা কিসের? একপাড়া থেকে আর-একপাড়ায় নিয়ে আসবে দুটো পাকা পুইশাক ভিক্ষে করে! যা, যা তুই যা, দূর করে বনে দিয়ে আয়. . … বিস্তারিত পড়ুন

যোগাযোগ–৪৫ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  মধুসূদন আপিসে গিয়েই দেখলে খবর ভালো নয়। মাদ্রাজের এক বড়ো ব্যাঙ্ক ফেল করেছে, তাদের সঙ্গে এদের কারবার। তার পরে কানে এল যে, কোনো ডাইরেক্‌টরের তরফ থেকে কোনো কর্মচারী মধুসূদনের অজানিতে খাতাপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করছে। এতদিন কেউ মধুসূদনকে সন্দেহ করতে সাহস করে নি, একজন যেই ধরিয়ে দিয়েছে অমনি যেন একটি মন্ত্রশক্তি ছুটে গেল। বড়ো কাজের ছোটো … বিস্তারিত পড়ুন

পুঁই মাচা-৪র্থ অংশ–বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর গল্প

দিন দুই-পরের কথা। সকালে উঠিয়া সহায়হরি উঠানে বাতাবিলেবু গাছের ফাক দিয়া যেটুকু নিতান্ত কচি রাঙা রৌদ্র আসিয়াছিল, তাহারই আতপে বসিয়া আপনমনে তামাক টানিতেছেন। বড়মেয়ে ক্ষেত্তি আসিয়া চুপি চুপি বলিল— বাবা, যাবে না? মা ঘাটে গেল… . সহায়হরি একবার বাড়ির পাশে ঘাটের পথের দিকে কী জানি কেন চাহিয়া দেখিলেন, পরে নিম্নস্বরে বলিলেন—যা শিগগির শাবলখানা নিয়ে আয় … বিস্তারিত পড়ুন

পুঁই মাচা-১ম অংশ–বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর গল্প

সহায়হরি চাটুয্যে উঠানে পা দিয়েই স্ত্রীকে বলিলেন-একটা বড় বাটি কি ঘটি যা হয় কিছু দাও তো, তারক খুড়ো গাছ কেটেছে, একটু ভালো রস আনি। স্ত্রী অন্নপূর্ণ খড়ের রান্নাঘরের দাওয়ায় বসিয়া শীতকালের সকালবেলা নারিকেল তেলের বোতলে ঝাটার কাটি পুরিয়া দুই আঙুলের সাহায্যে কাটার কাটিলগ্ন জমানো তৈলটুকু সংগ্ৰহ করিয়া চুলে মাখাইতেছিলেন। স্বামীকে দেখিয়া তাড়িতাড়ি গায়ের কাপড় একটু … বিস্তারিত পড়ুন

যোগাযোগ–৪২ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  মধুসূদনের মন থেকে মস্ত একটা ভার গেল নেমে, আত্মগৌরবের ভার— যে কঠোর গৌরব-বোধ ওর বিকাশোন্মুখ অনুরক্তিকে কেবলই পাথর-চাপা দিয়েছে। কুমুর প্রতি ওর মন যখন মুগ্ধ তখনো সেই বিহ্বলতার বিরুদ্ধে ভিতরে ভিতরে চলেছিল লড়াই। যতই অনন্যগতি হয়ে কুমুর কাছে ধরা দিয়েছে, ততই নিজের অগোচরে কুমুর ’পরে ওর ক্রোধ জমেছে। এমন সময় স্বয়ং নক্ষত্রদের কাছ থেকে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!