সাতরঙের দরোজা || উত্তম সেন

এখানে কী করে এলো সে! একেবারে অচেনা জায়গা। এর আগে কোনোদিন এসেছিল বলে মনে পড়ে না তার। তবে রঙগুলো খুব চেনা তার। রঙধনুর সাত রঙ। সাতটা দরোজাই খোলা। প্রত্যেক খোলা দরোজার ভেতর থেকে সাত রকমের আলোর দ্যুতি বেরুচ্ছে। কোথাও কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এবার আরেকটু সামনে এগিয়ে গেল ছেলেটা; একেবারে সাত দরোজার সামনে। প্রথমেই সে এসে … বিস্তারিত পড়ুন

ফড়িঙের ভাই পাখিদের মামা || ধ্রুব এষ

লাল ফড়িং, নীল ফড়িং, হলুদ ফড়িং, সবুজ ফড়িং_ দুনিয়ার সব ফড়িং ভাই হয় তার। ভাই হয়? হ্যাঁ, ভাই হয়। এ আবার কী রকমের কথা? ছেলে ফড়িংরা ভাই হয়, আচ্ছা! মেয়ে ফড়িংরাও তার ভাই হয়? হয়। সে বলে। কেন? পিপিকে তো সে ডাকে পিপি ভাই। পুপিকে ডাকে পুপি ভাই। পুপুকে ডাকে পুপু ভাই। পিপি হলো একটা … বিস্তারিত পড়ুন

সরকার সাহেবের গাধা || হুমায়ূন কবীর ঢালী

হেলাল সরকারের একটা পোষা কুকুর আর একটা গাধা আছে। কুকুরটা খুবই স্নেহবৎসল। বিশ্বস্তস্ন। সব সময় হেলাল সরকারের কাছাকাছি থাকে। হেলাল সরকার যেখানেই যান, প্রিয় কুকুরটাও সাথে যায়। তিনি গোসল করতে গেলে কুকুরটা পুকুরঘাটে দাঁড়িয়ে থাকে। রাতে হেলাল সরকার যে ঘরে ঘুমান, কুকুরটা সে ঘরের দরজায় বসে থাকে। অচেনা কাউকে দেখলে ঘেউঘেউ করে ডেকে ওঠে। হেলাল … বিস্তারিত পড়ুন

ভূতকথার গল্প || মোমিন মেহেদী

ভূতকথার সাথে আমার পরিচয় খুব ছোট থেকেই। শুনেছি গল্প না শুনালে আমাকে খাওয়ানো যেত না ছোটবেলায়। আমাকে প্রথম ভূতকথা শুনিয়েছিলেন আমার আপি। ছোটবেলায় আমার সাত ফুপি, একমাত্র বড় আপি, কারো কাছেই গল্প শোনা থেকে বিরত থাকিনি। ভূতকথা শব্দটিই অনেক অনেক বেশি কাছে টানতো আমাকে। আজো টানে। ছোটবেলায় মনে দাগ কেটে যাওয়া একটি ভূতকথা তোমাদের জন্য … বিস্তারিত পড়ুন

অধ্যাপক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-পঞ্চম পরিচ্ছেদ

একদিন মধ্যাহ্নকালে ভবনাথবাবুর গৃহে গিয়া দেখি, তিনি গ্রীষ্মের উত্তাপে চৌকিতে ঠেসান দিয়া ঘুমাইয়া পড়িয়াছেন এবং সম্মুখে গঙ্গাতীরের বারান্দায় নির্জন ঘাটের সোপানে বসিয়া কিরণ কী বই পড়িতেছে। আমি নিঃশব্দপদে পশ্চাতে গিয়া দেখি, একখানি নূতন কাব্যসংগ্রহ, যে-পাতাটি খোলা আছে তাহাতে শেলির একটি কবিতা উদ্‌ধৃত এবং তাহার পার্শ্বে লাল কালিতে একটি পরিষ্কার লাইন টানা। সেই কবিতাটি পাঠ করিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

সূর্য ও পাতার গল্প || হোসেন শওকত

লোকটা নাকি জাদুকর। দেখতে রবীন্দ্রনাথের মতো। বড় বড় চুল আর দাড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল শুকাতে দেয়। সেই চুল এতো বড় যে, পৃথিবী অব্দি চলে আসে। পৃথিবী একটা সবুজ গ্রহ। সেটার প্রতি সবার লোভ। সেখানে মানুষের বাস। ওই গ্রহের সবাই ভাবে, পৃথিবীটা দখল করার জন্যই বুঝি বুড়োর এই পাঁয়তারা, ফন্দি-ফিকির। চুলের মায়াজাল ফেলে পৃথিবীকে … বিস্তারিত পড়ুন

জলহস্তী ও কচ্ছপ || সুহৃদ সরকার

অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক জলহস্তীর নাম ছিলো পবন ঠাকুর। স্থলরাজ্যের বেশ বড়-সড় প্রাণী। হাতির পরেই ছিলো তার স্থান। তবে সে নিজেকে প্রাণীদের রাজা বলে ঘোষণা করেছিলো। তো রাজা জলহস্তীর ছিলো সাত সাতটি রানী। যখন তখন সে বড় বড় ভোজসভার আয়োজন করতো। রাজ্যের সবাইকে সে ভোজসভায় ডাকা হতো। মজার ব্যাপার ছিলো, জলহস্তীর সাত স্ত্রী … বিস্তারিত পড়ুন

পরীক্ষা || সুমন্ত আসলাম

বাতেন সাহেব অফিস থেকে বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে রাবিদ বলল, ‘বাবা, জরুরি কিছু কথা আছে তোমার সঙ্গে। তুমি জামা-কাপড় খুলে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি কম্পিউটারটা বন্ধ করে আসি।’ কিছু বললেন না বাতেন সাহেব। ছেলের চঞ্চলতা দেখে সামান্য হাসলেন। ঘরে ঢুকে সোফায় বসে জুতোর ফিতা খুলতে খুলতে স্ত্রীকে বললেন, ‘নিতু, তোমার ছেলের কী হয়েছে বলো তো?’ … বিস্তারিত পড়ুন

অনধিকার প্রবেশ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

একদা প্রাতঃকালে পথের ধারে দাঁড়াইয়া এক বালক আর-এক বালকের সহিত একটি অসমসাহসিক অনুষ্ঠান সম্বন্ধে বাজি রাখিয়াছিল। ঠাকুরবাড়ির মাধবীবিতান হইতে ফুল তুলিয়া আনিতে পারিবে কি না, ইহাই লইয়া তর্ক। একটি বালক বলিল, “পারিব”, আর-একটি বালক বলিল, “কখনোই পারিবে না।” কাজটি শুনিতে সহজ অথচ করিতে কেন সহজ নহে তাহার বৃত্তান্ত আর-একটু বিস্তারিত করিয়া বলা আবশ্যক। পরলোকগত মাধবচন্দ্র … বিস্তারিত পড়ুন

রাজপথের কথা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমি রাজপথ। অহল্যা যেমন মুনির শাপে পাষাণ হইয়া পড়িয়া ছিল, আমিও যেন তেমনি কাহার শাপে চিরনিদ্রিত সুদীর্ঘ অজগর সর্পের ন্যায় অরণ্যপর্বতের মধ্য দিয়া, বৃক্ষশ্রেণীর ছায়া দিয়া, সুবিস্তীর্ণ প্রান্তরের বক্ষের উপর দিয়া দেশদেশান্তর বেষ্টন করিয়া বহুদিন ধরিয়া জড়শয়নে শয়ান রহিয়াছি। অসীম ধৈর্যের সহিত ধুলায় লুটাইয়া শাপান্তকালের জন্য প্রতীক্ষা করিয়া আছি। আমি চিরদিন স্থির অবিচল, চিরদিন একই … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!