অদ্ভুত হত্যা-রজনীচন্দ্র দত্ত-১ম অংশ

কৃত্রিম মুদ্রা প্রস্তুত করিবার অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির সম্বন্ধে বিশেষ অনুসন্ধানের নিমিত্তে আমাকে ময়মনসিংহ অঞ্চলে যাইতে হইয়াছিল। প্রায় সপ্তাহকাল সেখানে সে মোকদ্দমার যথাসম্ভব প্রমাণাদি সংগ্রহ করিয়া গোয়ালনন্দ-ট্রেনে রাত্রে কলিকাতা প্রত্যাবর্তন করি। পরদিন প্রাতঃকালে কাগজপত্র গুছাইয়া রিপোর্টাদি লিখিয়া নিজের প্রয়োজন বশতঃ জনৈক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত্ করিতে যাইবার উদ্যোগ করিতেছি, এমন সময়ে একজন কনেস্টবল যথারীতি লম্বা সেলাম … বিস্তারিত পড়ুন

অদ্ভুত হত্যা-রজনীচন্দ্র দত্ত-২য় অংশ

প্রাণের মহেশ তুমি আর এখন আসিতেছ না কেন? বিধুবাবুর সহিত ঝগড়া করিয়া আমায় পরিত্যাগ করা কি তোমার উচিত? আজ যা হয়, একটা হইয়া যাইবে। বিধুবাবু বাড়াবাড়ি করিলে, তাহলে আমার কাছে আসিতে বারণ করিব। আমার কুন্তলীন একেবারে ফুরাইয়া গিয়াছে। দেলখোস নামে নাকি এক প্রকার নূতন এসেন্স বাহির হইয়াছে, দেখিতে পাই কি? ঝিকে পাঠাইলাম, তুমি আজ অবশ্য … বিস্তারিত পড়ুন

দানপ্রতিদান-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

বড়োগিন্নি যে কথাগুলা বলিয়া গেলেন তাহার ধার যেমন তাহার বিষও তেমনি। যে হতভাগিনীর উপর প্রয়োগ করিয়া গেলেন তাহার চিত্তপুত্তলি একেবারে জ্বলিয়া জ্বলিয়া লুটিতে লাগিল। বিশেষত কথাগুলা তাহার স্বামীর উপর লক্ষ্য করিয়া বলা— এবং স্বামী রাধামুকুন্দ তখন রাত্রের আহার সমাপন করিয়া অনতিদূরে বসিয়া তাম্বুলের সহিত তাম্রকূটধূম সংযোগ করিয়া খাদ্য-পরিপাকে প্রবৃত্ত ছিলেন। কথাগুলো শ্রুতিপথে প্রবেশ করিয়া তাঁহার … বিস্তারিত পড়ুন

দানপ্রতিদান-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

ফিরাইয়া আনিব— কিছুতেই ছাড়িয়া দিব না। বেশিদিন দেরিও নাই।” বাস্তবিক বেশিদিন দেরিও হইল না। শশিভূষণের সম্পত্তি যে ব্যক্তি নিলামে খরিদ করিয়াছিল সে ব্যবসায়ী লোক, জমিদারির কাজে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। সম্মানের প্রত্যাশায় কিনিয়াছিল, কিন্তু ঘর হইতে সদর-খাজনা দিতে হইত— একপয়সা মুনাফা পাইত না। রাধামুকুন্দ বৎসরের মধ্যে দুই-একবার লাঠিয়াল লইয়া লুটপাট করিয়া খাজনা আদায় করিয়া আনিত। প্রজারাও তাহার … বিস্তারিত পড়ুন

তারাপ্রসন্নের কীর্তি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম অংশ

লেখকজাতির প্রকৃতি অনুসারে তারাপ্রসন্ন কিছু লাজুক এবং মুখচোরা ছিলেন। লোকের কাছে বাহির হইতে গেলে তাঁহার সর্বনাশ উপস্থিত হইত। ঘরে বসিয়া কলম চালাইয়া তাঁহার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ, পিঠ একটু কুঁজা, সংসারের অভিজ্ঞতা অতি অল্প। লৌকিকতার বাঁধি বোলসকল সহজে তাঁহার মুখে আসিত না, এইজন্য গৃহদুর্গের বাহিরে তিনি আপনাকে কিছুতেই নিরাপদ মনে করিতেন না। লোকেও তাঁহাকে একটা উজবুক-রকমের মনে … বিস্তারিত পড়ুন

তারাপ্রসন্নের কীর্তি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় অংশ

তখন তারাপ্রসন্ন একখানি ‘গৌড়বার্তাবহ’ আনিয়া গৃহিণীর ক্রোড়ে মেলিয়া দিলেন। পাঠ করিয়া তিনি মনে মনে সম্পাদকের অক্ষয় ধনপুত্র কামনা করিলেন, এবং তাঁহার লেখনীর মুখে মানসিক পুষ্পচন্দন-অর্ঘ্য উপহার দিলেন। পাঠ সমাপন করিয়া আবার স্বামীর মুখের দিকে চাহিলেন। স্বামী তখন ‘নবপ্রভাত’ আনিয়া খুলিয়া দিলেন। পাঠ করিয়া আনন্দবিহ্বলা দাক্ষায়ণী আবার স্বামীর মুখের প্রতি প্রত্যাশাপূর্ণ স্নিগ্ধনেত্র উত্থাপিত করিলেন। তখন তারাপ্রসন্ন … বিস্তারিত পড়ুন

কাবুলিওয়ালা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-৩য় অংশ

মতো রঙ ধরিয়াছে । কলিকাতার গলির ভিতরকার ইষ্টকজর্জর অপরিচ্ছন্ন ঘেঁষাঘেঁষি বাড়িগুলির উপরেও এই রৌদ্রের আভা একটি অপরূপ লাবণ্য বিস্তার করিয়াছে । আমার ঘরে আজ রাত্রি শেষ হইতে না হইতে সানাই বাজিতেছে । সে বাঁশি যেন আমার বুকের পঞ্জরের হাড়ের মধ্য হইতে কাঁদিয়া কাঁদিয়া বাজিয়া উঠিতেছে । করুণ ভৈরবী রাগিণীতে আমার আসন্ন বিচ্ছেদব্যথাকে শরতের রৌদ্রের সহিত … বিস্তারিত পড়ুন

খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-প্রথম পরিচ্ছেদ

রাইচরণ যখন বাবুদের বাড়ি প্রথম চাকরি করিতে আসে তখন তাহার বয়স বারো । যশোহর জিলায় বাড়ি, লম্বা চুল , বড়ো বড়ো চোখ , শ্যামচিক্কণ, ছিপ্‌ছিপে বালক । জাতিতে কায়স্থ । তাহার প্রভুরাও কায়সথ । বাবুদের এক-বৎসর-বয়স্ক একটি শিশুর রক্ষণ ও পালন-কার্যে সহায়তা করা তাহার প্রধান কর্তব্য ছিল । সেই শিশুটি কালক্রমে রাইচরণের কক্ষ ছাড়িয়া স্কুলে … বিস্তারিত পড়ুন

খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

রাইচরণ দেশে ফিরিয়া গেল । এতকাল তাহার সন্তানাদি হয় নাই , হইবার বিশেষ আশাও ছিল না । কিন্তু দৈবক্রমে বৎসর না যাইতেই তাহার স্ত্রী অধিক বয়সে একটি পুত্রসন্তান প্রসব করিয়া লোকলীলা সংবরণ করিল । এই নবজাত শিশুটির প্রতি রাইচরণের অত্যন্ত বিদ্বেষ জন্মিল । মনে করিল , এ যেন ছল করিয়া খোকাবাবুর স্থান অধিকার করিতে আসিয়াছে … বিস্তারিত পড়ুন

খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-তৃতীয় পরিচ্ছেদ

একদিন রাইচরণ হঠাৎ কর্মে জবাব দিল এবং ফেল্‌নাকে কিছু টাকা দিয়া বলিল , “ আবশ্যক পড়িয়াছে , আমি কিছুদিনের মতো দেশে যাইতেছি । ” এই বলিয়া বারাসাতে গিয়া উপস্থিত হইল । অনুকূলবাবু তখন সেখানে মুন্সেফ ছিলেন । অনুকূলের আর দ্বিতীয় সন্তান হয় নাই , গৃহিণী এখনো সেই পুত্রশোক বক্ষের মধ্যে লালন করিতেছিলেন । একদিন সন্ধ্যার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!