সাহেবালির ঘোড়ারোগ— মানস চৌধুরী

পরিসংখ্যান বিষয়ক পলানের আগ্রহ ধরা পড়ে হঠাৎ করেই। একেবারে হঠাৎ। বলা নেই কওয়া নেই একদিন স্কুল থেকে ফিরে বাসায় যা ছিল খেয়ে দেয়ে পলানের খেলতে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল না একেবারেই। বরং সে স্কুলের বাংলা রুলটানা খাতার পরিত্যক্ত পৃষ্ঠাগুলো খুলে সাহিত্যচর্চায় মন দিল। স্কুল বলতে চাটাই দেয়া একখানা ঘর যেরকম অনেকগুলো ঘর বাংলাদেশের শহরে গ্রামে ছড়িয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

তালা —– রূপঙ্কর সরকার

এ জায়গাটা মেদিনীপুরের পশ্চিম দিকে। খানিকটা জংলামত, তার মাঝখান দিয়ে লাল কাঁকড়ের রাস্তা। কেউ কোত্থাও নেই, শুধু দূর থেকে একটা ধাতব আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। আওয়াজটা থেমে থেমে হচ্ছে, একটানা নয়। কিছুক্ষণ পরে ঝোপঝাড়ের মাঝখান দিয়ে একটা গরুর গাড়িকে আসতে দেখা গেল। বলদটার গলাতে বাঁধা ঘন্টা থেকেই আওয়াজটা আসছিল। এ ঘন্টা পেতলের নয়, তাই অনুরণন হয়না, … বিস্তারিত পড়ুন

পশুপালনের দিন—- কাজল শাহনেওয়াজ

আমরা তখন সিদ্দিকী বানান লিখতাম ছিদ্দিকী। নতুন তিনটা শব্দ শিখছে সবাই: ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশ। এটা সেই সময়ের কথা। ঘাগর বাজার থেকে সিও অফিস হয়ে সিকির বাজারের দিকে যাওয়া থানা সদরের প্রধান সড়কের মাঝামাঝি যেখানটা জঙ্গল মত, একটা চিকন রাস্তা দক্ষিণে গেছে, সেখানে গাছের ডালে ঝুলানো টিনের সাইন বোর্ডে লেখা – ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশ। এমনিতে এরকম … বিস্তারিত পড়ুন

জ্বালা-যন্ত্রণার কথারূপ—– অনিল ঘোষ

সন্দেহ নাকি বিষপোকা! সে কুটুস করে না, কটাসও করে না। আঁচড়ায় না, কামড়ায়ও না। সরাসরি হুল ফোটায়। তাতেই গা-গতর জ্বলে ওঠে রি রি করে। তখন মন-মাথায় যেন বিষের ছোবল পড়ে। অস্থির লাগে সবকিছু। হ্যাঁ, সেই হুলের খোঁচায় এখন জেরবার আমিনা বেওয়া। বেশ কিছুদিন ধরে সন্দেহটা হচ্ছিল। বুকের মধ্যে পাথরচাপা হয়ে পড়েও ছিল। বেরুবার একটা পথ, … বিস্তারিত পড়ুন

ইজ্জত—- রিজিয়া রহমান

আকাশের রংটা কেমন অদ্ভুত কালচে। সাদা মেঘে ভরা সিসে রঙের আকাশ। হু হু উথাল-পাতাল হাওয়া। দূরে হাওয়ার ঝাপটার সঙ্গে যুদ্ধরত তালগাছের মাথায় একটা চিল। সিসে রঙের নিষ্ঠুর ঘোলাটে আকাশ। একটানা দমকা বাতাসের দাপটের সঙ্গে তালপাতার শোঁ-শোঁ গোঙানি।   সেই সঙ্গে থেকে থেকে চিলটার অসহায় চিৎকার। হালিমনের ভয় করছিল। রাগ হচ্ছিল। ইচ্ছে হচ্ছিল তালগাছের ঝুঁটি চেপে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রশ্ন– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শ্মশান হতে বাপ ফিরে এল। তখন সাত বছরের ছেলেটি— গা খোলা, গলায় সোনার তাবিজ—একলা গলির উপরকার জানলার ধারে। কী ভাবছে তা সে আপনি জানে না। সকালের রৌদ্র সামনের বাড়ির নিম গাছটির আগডালে দেখা দিয়েছে; কাঁচাআমওয়ালা গলির মধ্যে এসে হাঁক দিয়ে দিয়ে ফিরে গেল। বাবা এসে খোকাকে কোলে নিলে; খোকা জিজ্ঞাসা করলে, “মা কোথায়।” বাবা উপরের … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাণমন— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– প্রথম অংশ

আমার জানলার সামনে রাঙা মাটির রাস্তা। ওখান দিয়ে বোঝাই নিয়ে গোরুর গাড়ি চলে; সাঁওতাল মেয়ে খড়ের আঁটি মাথায় করে হাটে যায়, সন্ধ্যাবেলায় কলহাস্যে ঘরে ফেরে। কিন্তু, মানুষের চলাচলের পথে আজ আমার মন নেই। জীবনের যে ভাগটা অস্থির, নানা ভাবনায় উদ‍্‍বিগ্ন, নানা চেষ্টায় চঞ্চল, সেটা আজ ঢাকা পড়ে গেছে। শরীর আজ রুগ‍্‍ণ, মন আজ নিরাসক্ত। ঢেউয়ের … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাণমন— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– দ্বিতীয় অংশ

“ওর কালও ঘটনার কাল নয়, বেদনার কাল। তাই সে কাল সংখ্যার অতীত।” “দুই আকাশ দুই কালের জীব তুমি, তুমি অদ্ভুত। তোমার ভিতরের কথা কিচ্ছুই বুঝলেম না।” “নাই বা বুঝলে।” “আমার বাইরের কথা তুমিই কি ঠিক বোঝ।” “তোমার বাইরের কথা আমার ভিতরে এসে যে কথা হয়ে ওঠে তাকে যদি বোঝা বল তো সে বোঝা, যদি গান … বিস্তারিত পড়ুন

কালো

তল্লাবাঁশের ঘনবনের মাঝখান দিয়ে সরু পাহাড়ি পথ। কিছু দূর হাঁটতেই চাকুয়া কড়াই আর নাগেশ্বর গাছের জঙ্গল পড়ল। সে জঙ্গল পেরুতেই চোখে পড়ল বড় একটি টিলা। টিলার পুবপাশে ছোট একটি গুহা। অরু গতকাল বিকেলে আমাকে বলল যে ওই গুহার ভিতরে নাকি এক সন্ন্যাসী আস্তানা গেড়েছে। কথাটা শুনে আমি মোটেও অবাক হইনি। বান্দারবানের পূর্ব দিকে বার্মার বর্ডার। … বিস্তারিত পড়ুন

পুনরাবৃত্তি– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সেদিন যুদ্ধের খবর ভালো ছিল না। রাজা বিমর্ষ হয়ে বাগানে বেড়াতে গেলেন। দেখতে পেলেন, প্রাচীরের কাছে গাছতলায় বসে খেলা করছে একটি ছোটো ছেলে আর একটি ছোটো মেয়ে। রাজা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কী খেলছ।” তারা বললে, “আমাদের আজকের খেলা রামসীতার বনবাস।” রাজা সেখানে বসে গেলেন। ছেলেটি বললে, “এই আমাদের দণ্ডকবন, এখানে কুটীর বাঁধছি।” সে একরাশ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!