ললাটের লিখন– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– দ্বিতীয় অংশ

“ ওটা তো খাঁটি লেখকের লেখা নয় । ভিস্তির জলকে ঝরনার জল বলে না । সমাজের আবর্জনা ঝাঁটাবার জন্যে কোমর বেঁধেছিলে । আন্দাজে চলে না ও কাজ । আবর্জনাও সত্য হওয়া চাই আর ঝাঁটা-গাছটাও , সঙ্গে চাই ব্যবসায়ীর হাতটা । ” পৃথ্বীশ যখন একটা ঝকঝকে জবাবের জন্যে মনের মধ্যে হাতড়াচ্ছে এমন সময় বাঁশরি বললে , … বিস্তারিত পড়ুন

ললাটের লিখন– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– তৃতীয় অংশ

রকম আবিষ্ট অবস্থায় পৃথ্বীশের মুখের ভঙ্গি বাঁশরি সইতে পারত না । নিজেকে সামলে নিয়ে বললে , “ সস্তা মিষ্টান্নের কারবার শুরু করতে আজ ডাকি নি তোমাকে । সত্যি করে দেখতে শেখো , তার পরে সত্যি করে লিখতে শিখতে পারবে । অনেক মানুষ অনেক অমানুষ আছে চারি দিকে , ঠাহর করলেই চোখে পড়বে । ” “ … বিস্তারিত পড়ুন

ললাটের লিখন– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– চতুর্থ অংশ

ভ্রমণ করতে যায় দূর প্রদেশে , দেখা যায় সব জায়গাতেই ওর পরিচিত ভক্ত , তাদের ভাষাও ওর জানা । সুষমা যখন প্রথম কলেজে প্রবেশ করেছে তখন মুক্তারামের কাছে ওর পাঠ আরম্ভ । বাঁধা পাঠ্য বইটাকে গৌণ করে শিক্ষক পড়িয়েছে আপন মত অনুসারে নানা বিষয়ের বই । ছুটির সময় যথাযোগ্য স্থানে নিয়ে গিয়ে ওকে ছুরি খেলতে … বিস্তারিত পড়ুন

ললাটের লিখন– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– পঞ্চম অংশ

“ তা হলে সুষমাকে কিসের প্রয়োজন ? ” “ অন্ন চাই যে । ব্রহ্মচারীকেও ভিক্ষার জন্য আসতে হয় মেয়েদের দ্বারে । রাজভান্ডারের চাবি দিতে চান ওর হাতে । রোসো অনুষ্ঠানটা শেষ হয়ে আসছে , এইবার ঘরে ঢুকে দেখে আসি গে । ” গেল ঘরের মধ্যে । তখন মুক্তারাম বলছে , “ তোমরা যে সম্বন্ধ স্বীকার … বিস্তারিত পড়ুন

ললাটের লিখন– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– ষষ্ঠ অংশ

  “ উনি এতক্ষণ স্টেজের মনুবাবুর নকল করছিলেন । ভারি মজা । ” “ পৃথ্বীশবাবুর নকল আসে নাকি ?” “ ওঁর বই পড়লেই তো টের পাওয়া যায় । শোনো , ওর জন্যে মফিজকে কিছু খাবার আনতে বলে দাও তো । ” পৃথ্বীশ বললে , “ না দরকার নেই , কাজ আছে , দেরি করতে পরব … বিস্তারিত পড়ুন

ললাটের লিখন– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– সপ্তম অংশ

“ আমাকে ? নিতে সাহস আছে তোমার ?” “ আছে । ” “ সেন্টিমেন্ট এক ফোঁটাও থাকবে না । ” “ নেই রইল । ” “ নির্জলা একাদশী , নিষ্ঠুর সত্য । ” “ রাজি আছি । ” “ আচ্ছা , রাজি ? দেখো , নভেল লেখা নয় , সত্যিকার সংসার । ” “ শিশু … বিস্তারিত পড়ুন

সে — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– প্রথম অংশ

বিধাতা লক্ষলক্ষ কোটিকোটি মানুষ সৃষ্টি করে চলেছেন , তবু মানুষের আশা মেটে না ; বলে , আমরা নিজে মানুষ তৈরি করব । তাই দেবতার সজীব পুতুল – খেলার পাশাপাশি নিজের খেলা শুরু হল পুতুল নিয়ে , সেগুলো মানুষের আপন – গড়া মানুষ । তার পরে ছেলেরা বলে ‘গল্প বলো’ ; তার মানে , ভাষায় – … বিস্তারিত পড়ুন

রথযাত্রা– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রথযাত্রার দিন কাছে। তাই রানী রাজাকে বললে, “চলো, রথ দেখতে যাই।” রাজা বললে, “আচ্ছা।” ঘোড়াশাল থেকে ঘোড়া বেরোল, হাতিশাল থেকে হাতি। ময়ূরপংখি যায় সারে সারে, আর বল্লম হাতে সারে সারে সিপাইসান্ত্রি। দাসদাসী দলে দলে পিছে পিছে চলল। কেবল বাকি রইল একজন। রাজবাড়ির ঝাঁটার কাঠি কুড়িয়ে আনা তার কাজ। সর্দার এসে দয়া করে তাকে বললে, “ওরে, … বিস্তারিত পড়ুন

সে — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– দ্বিতীয় অংশ

পরীক্ষায় প্রবৃত্ত । একটুখানি বুঝিয়ে বলো — কী করছেন তাঁরা । হাল নিয়মে চাষবাস করছেন ? একেবারে উলটো , চাষের সম্পর্ক নেই । আহারের কী ব্যবস্থা । একেবারেই বন্ধ । প্রাণটা ? সেই চিন্তাটাই সব চেয়ে তুচ্ছ । পাকযন্ত্রের বিরুদ্ধে ওঁদের সত্যাগ্রহ । বলছেন , ঐ জঠরযন্ত্রটার মতো প্যাঁচাও জিনিস আর নেই । যত রোগ … বিস্তারিত পড়ুন

রাজপুত্তুর– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রাজপুত্তুর চলেছে নিজের রাজ্য ছেড়ে, সাত রাজার রাজ্য পেরিয়ে, যে দেশে কোনো রাজার রাজ্য নেই সেই দেশে। সে হল যে কালের কথা সে কালের আরম্ভও নেই, শেষও নেই। শহরে গ্রামে আর-সকলে হাটবাজার করে, ঘর করে, ঝগড়া করে, যে আমাদের চিরকালের রাজপুত্তুর সে রাজ্য ছেড়ে ছেড়ে চলে যায়। কেন যায়। কুয়োর জল কুয়োতেই থাকে, খাল বিলের … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!