সে — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– পঞ্চদশ অংশ

লাগছে বৈকি । একেবারে দুম্‌দাম্‌ শব্দে লাগছে । সৃষ্টির সর্বপ্রধান পর্বে বেসুরেরই রাজত্ব , এ কথাটা বুঝতে পেরেছ তো ? বুঝিয়ে দাও – না । তরল জলের কোমল একাধিপত্যকে ঢুঁ মেরে , গুঁতো মেরে , লাথি মেরে , কিল মেরে , ঘুষো মেরে , ধাক্কা মেরে , উঠে পড়তে লাগল ডাঙা তার পাথুরে নেড়া মুণ্ডুগুলো … বিস্তারিত পড়ুন

সে — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– ষোড়শ অংশ

মনে করো , আমাদের মাস্টারমশায় । তিনি অদ্ভুত ছিলেন , কিন্তু খাঁটি অদ্ভুত । তাই তাঁকে এত ভালো লাগত । আচ্ছা , তাঁর কথাটা একটু ধরিয়ে দাও – না । আজও তাঁর মুখখানা স্পষ্ট মনে পড়ে । ক্লাসে বসতেন যেন আলগোছে , বইগুলো ছিল কণ্ঠস্থ । উপরের দিকে তাকিয়ে পাঠ বলে যেতেন , কথাগুলো যেন … বিস্তারিত পড়ুন

সে — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– সপ্তদশ অংশ

গান হবে রঙের সংগত । বড়ো সহজ হবে না । তান যখন ঠিকরে পড়তে থাকবে , ঝলক মারবে আকাশের দিকে দিকে । তখনকার তানসেনরা দিগন্তে অরোরা বোরিয়ালিস বানিয়ে দেবে । আর , তোমার গদ্যকাব্য কী হবে বলো তো । তাতে লোহার ইলেক্‌ট্রন্ও মিশবে , আবার সোনারও । সেদিনকার দিদিমা পছন্দ করবে না । আমার ভরসা … বিস্তারিত পড়ুন

সে — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– অষ্টদশ অংশ

  আমার কথা শুনে সুকুমার উৎসাহিত হয়ে উঠল ; বললে , আমার শোবার ঘরের জানলা থেকে যে শালগাছটা দেখা যায় , বিছানায় শুয়ে শুয়ে তার মাথাটা আমি দেখতে পাই ; মনে হয় , ও স্বপ্ন দেখছে । শালগাছ স্বপ্ন দেখছে শুনে বোধ হয় বলতে যাচ্ছিলে , কী বোকার মতো কথা । বাধা দিয়ে বলে উঠলুম … বিস্তারিত পড়ুন

দুটি বাজে গল্প – সুকুমার রায়

দুই বন্ধু ছিল। একজন অন্ধ আর একজন কালা। দুইজনে বেজায় ভাব। কালা বিজ্ঞাপনে পড়িল, আর অন্ধ লোকমুখে শুনিল, কোথায় যেন যাত্রা হইবে, সেখানে সঙরা নাচগান করিবে। কালা বলিল, ‘অন্ধ ভাই, চল যাত্রায় গিয়া দেখি।’ অন্ধ হাত নাড়িয়া গলা খেলাইয়া কালাকে বুঝাইয়া দিল, ‘কালা ভাই, চল যাত্রায় নাচগান শুনিয়া আসি।’ দুইজনে যাত্রার আসরে গিয়া বসিল। রাত … বিস্তারিত পড়ুন

একটি তুলসীগাছের কাহিনী – সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ

ধনুকের মতো বাঁকা কংক্রিটের পুলটার পরেই বাড়িটা। দোতলা, উঁচু এবং প্রকাণ্ড বাড়ি। তবে রাস্তা থেকেই সরাসরি দণ্ডায়মান। এদেশে ফুটপাত নাই বলে বাড়িটারও একটু জমি ছাড়ার ভদ্রতার বালাই নাই। তবে সেটা কিন্তু বাইরের চেহারা। কারণ, পেছনে অনেক জায়গা। প্রথমত প্রশস্ত উঠান। তারপর পায়খানা-গোসলখানার পরে আম-জাম-কাঁঠালগাছে ভরা জঙ্গলের মতো জায়গা। সেখানে কড়া সূর্যালোকেও সূর্যাস্তের ম্লান অন্ধকার এবং … বিস্তারিত পড়ুন

একমাত্র পথ – আনাতোলি ত্রুশকিন

—এই যে ভাই, ছাদের ওপর কী করছেন? —আত্মহত্যা করব। —ওহ্, আচ্ছা। তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু সঙ্গে ক্যানেস্তারা কেন? —গায়ে আগুন লাগিয়ে তারপর ঝাঁপ দেব; পুরোপুরি নিশ্চিত হতে এই ব্যবস্থা। —খুব সম্ভব কাজ হবে না। পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার উপায় এখন নেই রে ভাই। সময়টাই যে ও-রকম। —ভাবছেন, আমার কাজে বাধা পড়বে? —হ্যাঁ। ধরুন, ঝাঁপ দেওয়ার পর … বিস্তারিত পড়ুন

সে — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– ষষ্ঠ অংশ

চমকে উঠে কলমের খোঁচায় খানিকটা কাগজ ছিঁড়ে গেল । বললুম , কী হয়েছে , কে তুমি । সে বললে , আমার নাম পাল্লারাম , দিদির বাড়ি থেকে এসেছি , জানতে চাই তোমাদের সে কোথায় গেল । আমি বললুম , আমি কী জানি । পাল্লারাম চোখ পাকিয়ে হাঁক দিয়ে বললে , জান না বটে ! ঐ … বিস্তারিত পড়ুন

ডাকাতের হাতে – তারাপদ রায়

এতক্ষণ ভদ্রলোককে কেউই লক্ষ করেনি। ভদ্রলোক মেজের এক প্রান্তে দেয়াল ঘেঁষে গালে হাত দিয়ে বসে ছিলেন। ঘরময় দুরন্ত উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা। পুলিসের লোক, খবরের কাগজের লোক—কে কাকে লক্ষ করে! একটু আগে বাজারের পেছনে ব্যাঙ্কের এই একতলার ঘরে ডাকাতি হয়ে গেছে। পুলিসের কর্তারা ব্যাঙ্কের এজেন্ট ও ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে ডাকাতির বিবরণ ও অপহূত অর্থের পরিমাণ জেনে … বিস্তারিত পড়ুন

সিদ্ধি– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

স্বর্গের অধিকারে মানুষ বাধা পাবে না, এই তার পণ। তাই, কঠিন সন্ধানে অমর হবার মন্ত্র সে শিখে নিয়েছে। এখন একলা বনের মধ্যে সেই মন্ত্র সে সাধনা করে। বনের ধারে ছিল এক কাঠকুড়নি মেয়ে। সে মাঝে মাঝে আঁচলে ক’রে তার জন্যে ফল নিয়ে আসে, আর পাতার পাত্রে আনে ঝরনার জল। ক্রমে তপস্যা এত কঠোর হল যে, … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!